ছদ্মবেশে দুই বোনের ভাগ্য জয়
জয়তী
কুমারী ও নেহা কুমারী। ভারতের উত্তর প্রদেশের এই দুই কিশোরী এখন ভাসছে
সকলের প্রশংসায়। কারণ তারা দুইবোন মিলে যা করেছে তা এক কথায় বিরল।
জয়তী ও নেহার বাবা পেশায় ছিলেন নাপিত। দুইবোন, মা এবং বাবা মিলে টানাপড়েনের সংসার। হঠাৎ করেই তাদের বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়ে। জয়তী ও নেহা তখন মাত্র তেরো ও এগারো বছরের কিশোরী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় অকুল পাথারে পড়ে তাদের পরিবার। এদিকে বাবার চিকিৎসায় তাদের পরিবারের সামান্য সঞ্চয়টুকু শেষ হয়ে যায়।
সবকিছু হারিয়ে যখন দিশেহারা তাদের মা, তখন এগিয়ে আসে জয়তী ও নেহা। বাবার বন্ধ সেলুনটি পুনরায় চালু করে দুইবোন। কিন্তু মেয়েরা কাটবে ছেলেদের চুল-দাড়ি? অনেকেই ভ্রু কুঁচকে তাদের দোকানে আসা বন্ধ করে দেয়। একদিকে অসুস্থ বাবার চিকিৎসার অর্থ, অন্যদিকে মমতাময়ী মায়ের অসহায় মুখ, সবকিছু মিলিয়ে এক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেয় দুইবোন। তারা মেয়ে নয়, ছেলের ছদ্মবেশ ধরবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ! পরদিন ছেলেদের মতো করে নিজেদের চুল ছেটে, ছেলেদের পোশাক গায়ে চাপিয়ে, হাতে ছেলেদের ব্রেসলেট পরে দোকানে হাজির হয় দুইবোন। শুধু পোশাক নয়, জয়তী ও নেহা নাম ছেড়ে তারা দীপক ও রাজু নাম ধারণ করে।
এবার ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হয়। আবার গ্রাহক আসা শুরু করে তাদের সেলুনে। একটু একটু করে তাদের আস্থা জন্মাতে থাকে দীপক ও রাজু নামধারী জয়তী ও নেহার উপর। ধীরে ধীরে উপার্জনও বাড়তে থাকে তাদের। পরিবারে ফিরে আসে স্বচ্ছলতা। গত চারবছর তারা এভাবেই মানুষের চুল-দাড়ি কেটে আসছে। একদিনের জন্যও কেউ জানতে পারেনি তাদের পরিচয়।
সম্প্রতি তারা যখন বুঝতে পেরেছে গ্রাহকের আস্থা তারা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তখন তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে। এরপর থেকে রীতিমতো তারকা বনে গেছে দুইবোন। পত্র-পত্রিকায় তাদের ছবি ছাপা হচ্ছে। মানুষের আশীর্বাদে ভাসছে তারা।
জয়তী ও নেহার বাবা পেশায় ছিলেন নাপিত। দুইবোন, মা এবং বাবা মিলে টানাপড়েনের সংসার। হঠাৎ করেই তাদের বাবা পক্ষাঘাতগ্রস্থ হয়ে পড়ে। জয়তী ও নেহা তখন মাত্র তেরো ও এগারো বছরের কিশোরী। পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়ায় অকুল পাথারে পড়ে তাদের পরিবার। এদিকে বাবার চিকিৎসায় তাদের পরিবারের সামান্য সঞ্চয়টুকু শেষ হয়ে যায়।
সবকিছু হারিয়ে যখন দিশেহারা তাদের মা, তখন এগিয়ে আসে জয়তী ও নেহা। বাবার বন্ধ সেলুনটি পুনরায় চালু করে দুইবোন। কিন্তু মেয়েরা কাটবে ছেলেদের চুল-দাড়ি? অনেকেই ভ্রু কুঁচকে তাদের দোকানে আসা বন্ধ করে দেয়। একদিকে অসুস্থ বাবার চিকিৎসার অর্থ, অন্যদিকে মমতাময়ী মায়ের অসহায় মুখ, সবকিছু মিলিয়ে এক চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নেয় দুইবোন। তারা মেয়ে নয়, ছেলের ছদ্মবেশ ধরবে। যেমন ভাবা তেমন কাজ! পরদিন ছেলেদের মতো করে নিজেদের চুল ছেটে, ছেলেদের পোশাক গায়ে চাপিয়ে, হাতে ছেলেদের ব্রেসলেট পরে দোকানে হাজির হয় দুইবোন। শুধু পোশাক নয়, জয়তী ও নেহা নাম ছেড়ে তারা দীপক ও রাজু নাম ধারণ করে।
এবার ভাগ্যদেবী সুপ্রসন্ন হয়। আবার গ্রাহক আসা শুরু করে তাদের সেলুনে। একটু একটু করে তাদের আস্থা জন্মাতে থাকে দীপক ও রাজু নামধারী জয়তী ও নেহার উপর। ধীরে ধীরে উপার্জনও বাড়তে থাকে তাদের। পরিবারে ফিরে আসে স্বচ্ছলতা। গত চারবছর তারা এভাবেই মানুষের চুল-দাড়ি কেটে আসছে। একদিনের জন্যও কেউ জানতে পারেনি তাদের পরিচয়।
সম্প্রতি তারা যখন বুঝতে পেরেছে গ্রাহকের আস্থা তারা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে তখন তারা তাদের পরিচয় প্রকাশ করেছে। এরপর থেকে রীতিমতো তারকা বনে গেছে দুইবোন। পত্র-পত্রিকায় তাদের ছবি ছাপা হচ্ছে। মানুষের আশীর্বাদে ভাসছে তারা।
No comments