ইয়েমেন যুদ্ধে মিত্রকে দেয়া মার্কিন অস্ত্র এখন শত্রুর হাতে
আঞ্চলিক
যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মিত্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত।
পাশাপাশি ওয়াশিংটনে তৈরি অস্ত্রের অন্যতম বড় ক্রেতা এই দুই দেশ। এদের সঙ্গে
বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি রয়েছে ওয়াশিংটনের। কিন্তু মিত্র দেশ হিসেবে
সৌদি আরব ও আমিরাতকে যুক্তরাষ্ট্র যেসব অস্ত্র দিয়েছে, তা শুধু তাদের
মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। হাত ঘুরে এখন সেগুলো ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি জোটের মিত্র
হয়ে ওঠা কয়েকটি সশস্ত্র সংগঠন ও সালাফি মিলিশিয়াদের হাতে পৌঁছেছে। অথচ
আল-কায়েদা সম্পৃক্ততার অভিযোগে অনেক আগেই যুক্তরাষ্ট্র এই গোষ্ঠীগুলোকে
সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। অর্থাৎ মিত্র দেশ হিসেবে
সৌদি আরবকে দেয়া অস্ত্র এখন যুক্তরাষ্ট্রেরই শত্রুদের হাতে। এমনকি ইরান
সমর্থিত কয়েকটি সংগঠনের কাছেও মার্কিন অস্ত্র পৌঁছে গেছে।
ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের কাছে মার্কিন অস্ত্রের গোপনীয় প্রযুক্তি ফাঁস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। আর এতে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মদতপুষ্টদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে যুদ্ধরত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আনুগত্য প্রকাশের বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করছে সৌদি জোট। এর মাধ্যমে সেখানে প্রভাব বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে তারা আঞ্চলিক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে এক জটিল সমীকরণের মুখোমুখি করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুসারে, তৃতীয় পক্ষের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করে সৌদি আরব তাদের অস্ত্র চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত করে দেখছে। তবে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি জোটের ওপর কর্তৃত্ব হারিয়েছে কিনা, এখন সে প্রশ্নও উঠেছে। একই সঙ্গে মার্কিন অস্ত্র কেনা অব্যাহত রাখার জন্য সৌদি আরব যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে কিনা সে বিষয়টিও এখন সামনে এসেছে। এর আগে, সিএনএনের আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা অস্ত্র দিয়ে সৌদি আরব বাছবিচারহীনভাবে ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে। যাতে শিশুসহ ডজন ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হচ্ছে।
এদিকে, কলামিস্ট জামাল খাসোগির হত্যার ঘটনায় বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবের প্রতি ক্ষুব্ধ। এর মধ্যে দেশটির বিরুদ্ধে তৃতীয় পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ওয়াশিংটনের দেয়া অস্ত্র দিয়েই আঞ্চলিক যুদ্ধ পরিচালনা করে সৌদি আরব। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াদকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করার জন্য কংগ্রেস ট্রাম্প প্রশাসনকে বাধ্য করার উদ্যোগও নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৫ সালে ইয়েমেনে হামলা শুরু করে। তারা রাজধানী সানা থেকে ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের উৎখাত করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দুরাবু মানসুর হাদির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে ইয়েমেন কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এখন সেখানে বন্দুকের পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের সামরিক অস্ত্রের প্রয়োগ করা হচ্ছে। অস্ত্রের বন্যায় সয়লাব হয়েছে গোটা ইয়েমেন। সেখানে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক অস্ত্র যেমন ঢুকছে, অন্যদিকে ইরান সাধ্যমতো সব ধরনের অস্ত্র দিয়ে হুতি বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে।
ফলে মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইরানের কাছে মার্কিন অস্ত্রের গোপনীয় প্রযুক্তি ফাঁস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত। আর এতে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্য সংঘাতপ্রবণ অঞ্চলগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মদতপুষ্টদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইয়েমেনে যুদ্ধরত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে আনুগত্য প্রকাশের বিনিময়ে অস্ত্র সরবরাহ করছে সৌদি জোট। এর মাধ্যমে সেখানে প্রভাব বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর মাধ্যমে তারা আঞ্চলিক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে এক জটিল সমীকরণের মুখোমুখি করেছে। মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরের তথ্য অনুসারে, তৃতীয় পক্ষের কাছে অস্ত্র হস্তান্তর করে সৌদি আরব তাদের অস্ত্র চুক্তির শর্ত লঙ্ঘন করেছে। বিষয়টি যুক্তরাষ্ট্র তদন্ত করে দেখছে। তবে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্র সৌদি জোটের ওপর কর্তৃত্ব হারিয়েছে কিনা, এখন সে প্রশ্নও উঠেছে। একই সঙ্গে মার্কিন অস্ত্র কেনা অব্যাহত রাখার জন্য সৌদি আরব যথেষ্ট দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করছে কিনা সে বিষয়টিও এখন সামনে এসেছে। এর আগে, সিএনএনের আরেক তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কেনা অস্ত্র দিয়ে সৌদি আরব বাছবিচারহীনভাবে ইয়েমেনে হামলা চালাচ্ছে। যাতে শিশুসহ ডজন ডজন বেসামরিক নাগরিক নিহত হচ্ছে।
এদিকে, কলামিস্ট জামাল খাসোগির হত্যার ঘটনায় বর্তমানে মার্কিন কংগ্রেস সৌদি আরবের প্রতি ক্ষুব্ধ। এর মধ্যে দেশটির বিরুদ্ধে তৃতীয় পক্ষকে অস্ত্র সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠায় পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটেছে। ওয়াশিংটনের দেয়া অস্ত্র দিয়েই আঞ্চলিক যুদ্ধ পরিচালনা করে সৌদি আরব। এমন পরিস্থিতিতে রিয়াদকে সমর্থন দেয়া বন্ধ করার জন্য কংগ্রেস ট্রাম্প প্রশাসনকে বাধ্য করার উদ্যোগও নিতে পারে।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের নেতৃত্বাধীন জোট ২০১৫ সালে ইয়েমেনে হামলা শুরু করে। তারা রাজধানী সানা থেকে ইরানের মদতপুষ্ট হুতি বিদ্রোহীদের উৎখাত করে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত প্রেসিডেন্ট আব্দুরাবু মানসুর হাদির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু এর মধ্য দিয়ে বর্তমানে ইয়েমেন কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এখন সেখানে বন্দুকের পাশাপাশি প্রায় সব ধরনের সামরিক অস্ত্রের প্রয়োগ করা হচ্ছে। অস্ত্রের বন্যায় সয়লাব হয়েছে গোটা ইয়েমেন। সেখানে একদিকে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক অস্ত্র যেমন ঢুকছে, অন্যদিকে ইরান সাধ্যমতো সব ধরনের অস্ত্র দিয়ে হুতি বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে।
No comments