লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ হচ্ছেন নারী
আরবিএস
ইন্ডিয়ায় চাকরি করেন প্রহাসিনি অরুমুগাম। তিনি জীবনের সবচেয়ে বড় একটি
পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্চেন। ১১ বছর আগে তিনি এই ব্যাংকে চাকরি শুরু
করেছিলেন। তখন তিনি ছিলেন একজন পুরুষ। এখন তিনি আর পুরুষ নন। তিনি এখন
নারীতে পরিণত হচ্ছেন। ফলে ইংরেজিতে তার নামের সর্বনাম ‘হি’র স্থলে এখন
ব্যবহার হচ্ছে ‘শি’। সাত মাস ধরে তার হরমোন পরীক্ষা করা হয়েছে।
এখন যৌনাঙ্গের পরিবর্তন ঘটানানের জন্য তিনি অপারেশনের জন্য প্রস্তুত। এ অপারেশনের মাধ্যমে তিনি পুরুষ থেকে একজন পরিপূর্ণ নারীতে রূপান্তরিত হবেন। প্রহাসিনি যখন এত বড় একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিলেন তিনি তখন চেয়েছিলেন চাকরিটা ছেড়ে দেবেন। পরে নতুন চাকরি খুঁজে নেবেন। কিন্তু তাকে অনুমতি দিল না আরবিএস ইন্ডিয়া ব্যাংক। তাকে ধরেই রাখলো। তারা তাকে তার এই রূপান্তরের সময়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। প্রহাসিনির স্কুলে নাম ছিল প্রভু। সেই প্রভুই আস্তে আস্তে নিজের ভিতর পরিবর্তন অনুভব করেন। তিনি বুঝতে পারেন তার ভিতর ‘পুরুষ’ বাস করে না। তার অন্তরাত্মায় রয়েছেন একজন ‘নারী’।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আর্টিকেল ৩৭৭ লেখার পর বেশ কিছু সংগঠন এখন এলজিবিটি বা সমকামি সম্প্রদায়কে সহায়তা করার নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে প্রহাসিনি বিষয়টি নিয়ে আরবিএস ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন যে, প্রভু থেকে তিনি প্রহাসিনি হতে চান। এতে তাকে কিভাবে তার কোম্পানি সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, এ সময়ে আমর ছুটির দরকার ছিল। তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আর্থিক সহযোগিতা। এমন লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ থেকে মেয়ে হতে গেলে অপারেশন ও তা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরতে সময় লাগে কমপক্ষে দেড় মাস। ওই সময়টাতে আমি তো অফিসেও যেতে পারবো না। এমন কি বাসায়ও থাকতে পারবো না। আমার কথা শুনে আরবিএস ইন্ডিয়া বললো, তারা হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য তাদের নীতি পর্যালোচনা করবে। এখন তাদের সাড়া কি হয় সেই অপেক্ষায় আছি।
লিঙ্গ পরিবর্তনের এমন একটি অপারেশনের খরচ হতে পারে কমপক্ষে ২ লাখ রুপি। আরবিএস ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা রীতি দুবে বলেন, অর্থের বিষয়টি বড়। এটা ইনসুরেন্স কোম্পানি বা কোম্পানির তহবিল থেকে দেয়া যেতে পারে। এই অপারেশনে একটি মানুষের জীবন পরিবর্তন হচ্ছে। এ নিয়ে ভীতি ও উদ্বেগ থাকতে পারে। এভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন করা মানুষের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ আবার কাজে ফিরতে পারেন। তারা দেশ ছেড়েও যান। এক্ষেত্রে প্রচুর কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
এলজিবিটি সম্প্রদায়কে সমর্থন দেয় এমন আরেকটি কোম্পানি হলো টেক টেক মাহিনদ্্র। এর প্রধান জনসংযোগ কমৃকর্তা হর্ষবেন্দ্র সোইন বলেছেন, যারা এমন অপারেশন করাতে চান তাদেরকে আমরা ৩০ দিনের ছুটি প্রস্তাব করেছি। এক্ষেত্রে নীতি অনুযায়ী আমরা পুরোপুরি গোপনীয়তা বজায় রাখি। মেডিকেল খরচ চালিয়ে নেয়ার জন্য আমরা ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি।
এখন যৌনাঙ্গের পরিবর্তন ঘটানানের জন্য তিনি অপারেশনের জন্য প্রস্তুত। এ অপারেশনের মাধ্যমে তিনি পুরুষ থেকে একজন পরিপূর্ণ নারীতে রূপান্তরিত হবেন। প্রহাসিনি যখন এত বড় একটি বলিষ্ঠ পদক্ষেপ নিলেন তিনি তখন চেয়েছিলেন চাকরিটা ছেড়ে দেবেন। পরে নতুন চাকরি খুঁজে নেবেন। কিন্তু তাকে অনুমতি দিল না আরবিএস ইন্ডিয়া ব্যাংক। তাকে ধরেই রাখলো। তারা তাকে তার এই রূপান্তরের সময়ে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। প্রহাসিনির স্কুলে নাম ছিল প্রভু। সেই প্রভুই আস্তে আস্তে নিজের ভিতর পরিবর্তন অনুভব করেন। তিনি বুঝতে পারেন তার ভিতর ‘পুরুষ’ বাস করে না। তার অন্তরাত্মায় রয়েছেন একজন ‘নারী’।
ভারতের সুপ্রিম কোর্ট আর্টিকেল ৩৭৭ লেখার পর বেশ কিছু সংগঠন এখন এলজিবিটি বা সমকামি সম্প্রদায়কে সহায়তা করার নীতি গ্রহণ করেছে। এর ফলে প্রহাসিনি বিষয়টি নিয়ে আরবিএস ইন্ডিয়ার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেন যে, প্রভু থেকে তিনি প্রহাসিনি হতে চান। এতে তাকে কিভাবে তার কোম্পানি সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, এ সময়ে আমর ছুটির দরকার ছিল। তার চেয়েও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো আর্থিক সহযোগিতা। এমন লিঙ্গ পরিবর্তন করে পুরুষ থেকে মেয়ে হতে গেলে অপারেশন ও তা থেকে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ফিরতে সময় লাগে কমপক্ষে দেড় মাস। ওই সময়টাতে আমি তো অফিসেও যেতে পারবো না। এমন কি বাসায়ও থাকতে পারবো না। আমার কথা শুনে আরবিএস ইন্ডিয়া বললো, তারা হিজড়া সম্প্রদায়ের জন্য তাদের নীতি পর্যালোচনা করবে। এখন তাদের সাড়া কি হয় সেই অপেক্ষায় আছি।
লিঙ্গ পরিবর্তনের এমন একটি অপারেশনের খরচ হতে পারে কমপক্ষে ২ লাখ রুপি। আরবিএস ইন্ডিয়ার কর্মকর্তা রীতি দুবে বলেন, অর্থের বিষয়টি বড়। এটা ইনসুরেন্স কোম্পানি বা কোম্পানির তহবিল থেকে দেয়া যেতে পারে। এই অপারেশনে একটি মানুষের জীবন পরিবর্তন হচ্ছে। এ নিয়ে ভীতি ও উদ্বেগ থাকতে পারে। এভাবে লিঙ্গ পরিবর্তন করা মানুষের মধ্যে শতকরা ৯৫ ভাগ মানুষ আবার কাজে ফিরতে পারেন। তারা দেশ ছেড়েও যান। এক্ষেত্রে প্রচুর কাউন্সেলিং প্রয়োজন।
এলজিবিটি সম্প্রদায়কে সমর্থন দেয় এমন আরেকটি কোম্পানি হলো টেক টেক মাহিনদ্্র। এর প্রধান জনসংযোগ কমৃকর্তা হর্ষবেন্দ্র সোইন বলেছেন, যারা এমন অপারেশন করাতে চান তাদেরকে আমরা ৩০ দিনের ছুটি প্রস্তাব করেছি। এক্ষেত্রে নীতি অনুযায়ী আমরা পুরোপুরি গোপনীয়তা বজায় রাখি। মেডিকেল খরচ চালিয়ে নেয়ার জন্য আমরা ইন্সুরেন্স কোম্পানিগুলোর সঙ্গে কথা বলেছি।
No comments