এ কি করলেন ওরা
তারা
পেশাদার পরিচ্ছন্নকর্মী। কেউ পার্কে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজ করেন। কেউ
গৃহস্থালির। কিন্তু তারা অসীম সাহসিকতার পরিচয় দিলেন। কয়েকদিন আগে সুপার
মডেল কেন্দাল জেনার (২৩) ‘ভৌগ ইতালিয়া’র জন্য যে নগ্ন পোজ দিয়েছিলেন,
যেভাবে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন সব পোশাক খুলে, ঠিক সেইভাবে তারা
ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন। এ সময় তাদের শরীরে পোশাক বলতে ছিল শুধু হাতে
মেরিগোল্ড আর পায়ে ছিল সাদা হাই-হিল। হাঁটুর নিচ অবধি স্বচ্ছ টাইটস। এমন
সাহসিকতা দেখিয়েছেন চারজন নারী। তারা বলছেন, তাদেরও শক্তি আছে সেটা দেখাতে
এমনটা করেছেন।
তাদের একজন জেনি ফ্রাঁসিস। তিনি বলেন, আমি জানি আমি কোনো সুপারমডেল নই। তবে আমি এভাবে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে পেরে গর্বিত। নর্থ ডেভোনের সাউনটনের বাসিন্দা বোনি স্টেইনার (৩৪)। তিনি ক্যারাভান পার্কের একজন পরিচ্ছন্নকর্মী। তার রয়েছে পেইসলে নামের চার বছর বয়সী একটি মেয়ে। তিন বছর বয়সী ছেলে রেকো। বনি স্টেইনার বলেন, পর্যটকরা চলে যাওয়ার পর আমি পার্ক পরিষ্কার করি। আমি একজন সিঙ্গেল নারী। আমি এই পার্কে পরিচ্ছন্ন কাজ করে আসছি তিন বছর ধরে। কাজটি আমি পছন্দ করি। কাজের অংশ হিসেবে আমাকে ইউনিফর্ম পরতে হয়। হলুদ গ্লোভস পরতে হয়। সঙ্গে থাকে একটি বাকেট। মানুষ তা দেখে হাসাহাসি করে। কেউ আমাকে দেখে কিছু বলে না। কিন্তু কেন্দাল জেনার যেখানেই যায় সেখানেই ক্যামেরা। তার ওপর ওত পেতে থাকে। আমি তো তার মতো নই। তাই আমার দিকে কেউ দ্বিতীয়বার তাকায় না। এখনও না। তাই আমি তার ওই ছবিটা দেখার পর নতুন করে নিজের ছবি তৈরি করতে চেয়েছি। পরতে চেয়েছি ওই গ্লোভস, যা আমরা প্রতিদিন পরি। এমন গ্লোভসকে বলা হয় মেরিগোল্ড। এই মেরিগোল্ড পরে আমরা পর্যটকদের ফেলে যাওয়া সব নোংরা পরিষ্কার করি। কর্দমাক্ত জিনিসপত্র পরিষ্কার করি। থালাবাসন পরিষ্কার করি। নোংরা শাওয়ার বা টয়লেট পরিষ্কার করি। আমার কাছে এই হলুদ গ্লোভস ভৌগ ম্যাগাজিনের উপকরণ নয়। এটা আমার জীবন বাঁচিয়ে রাখার উপকরণ। তাই এটাকে আমার শক্তির উৎস হিসেবে মনে করি। আমি জানি আমি কোনো সুপারমডেল নই। তবে কেন্দাল জেনারের মতো আবেদনময়ী ও গর্বিত বলে নিজেকে মনে করি।
একই রকম পোজ দিয়েছেন আরেক কুকুরের ঘর পরিচ্ছন্নকর্মী ও কুকুরের প্রজননকাজে সহায়তাকারী মিশেল বেল (২২)। তিনি মোটা অনেক। তবু তিনি মনে করেন, তার সাইজ যাই হোক না কেন, যদি কেন্দাল জেনারের মতো তিনিও নগ্ন হয়ে পোজ দেন তাহলে তাতে যৌন আবেদন ফুটে উঠবে। তিনি বলেন, যখন আমি কেন্দালের ওই নগ্ন ছবি দেখেছি তখনই আমি ভেবেছি, এটা অন্য যেকোনো উচ্চ মাত্রার ফ্যাশনের ছবি। কিন্তু যখন আরো মনোযোগ দিলাম ছবিতে, বুঝতে পারলাম কেন্দাল জেনার মেরিগোল্ড পরিধান করেছেন। তা দেখে আমি শিহরিত হলাম। ছবিটি বন্ধুবান্ধবকে দেখালাম এবং বললাম, আমি তো এই প্রবণতার সঙ্গেই। এরপর মনে হলো, আমি এই ছবিটি নিজের মতো করে ধারণ করবো। আমি কুকুরের ঘর পরিষ্কার করি। তাদের প্রজননে সহায়তা করি। তাদেরকে গোসল করিয়ে দেই। পরিষ্কার করি। এ কাজটি করতে আমি ভালোবাসি। প্রতিদিন আমার শরীরে লেগে যায় ডিটারজেন্ট, ময়লা আবর্জনা, কুকুরের পশম, কখনো কুকুরের মূত্র। কিন্তু আমাকে তা থেকে রক্ষা করে ওই হলুদ গ্লোভস। ওই মেরিগোল্ড আমার ময়লা আবর্জনার সঙ্গে সাধারণভাবে যুক্ত। কিন্তু যখন সেটা আমি কেন্দাল জেনারের ওই ছবির পোজে দেখতে পেলাম তখন মনে হলো এটা নারীর শক্তির প্রতীক হতে পারে। আরো বেশি হতে পারে নিজেকে যৌন আবেদনময়ী হিসেবে প্রকাশের প্রতীক।
উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ৩৩ বছর বয়সী গৃহকর্মী এমিলি কুপারসও কম যান না। তিনিও কেন্দাল জেনারের অনুকরণে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন একেবারে নগ্ন হয়ে। তিনি মনে করেন, কেন্দাল জেনার শিখিয়ে দিয়েছেন এই হলুদ গ্লোভস হতে পারে নারীর যৌন আবেদনের নতুন উপকরণ, যা বেডরুমকে গরম রাখবে। তিনি বলেন, দেড় বছর ধরে আমি বর্তমান গৃহকর্তার বাড়িতে পরিচ্ছন্নতার কাজ করি। অন্যদের বাড়িও পরিষ্কার করি। আমার কাছে কখনো কাজটিকে গ্লামারহীন মনে হয় নি। তবে কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। বিরক্তি লাগতো। একদিন রাত তিনটায় আমি উঠে পড়েছিলাম। দেখলাম কেন্দাল জেনারের ওই ছবিটি। দেখে প্রথমে হেসেছি। তারপর ভেবেছি, একই রকম এই রাবারের গ্লোভস তো আমাকে কখনো এভাবে যৌন আবেদনময়ী হিসেবে প্রকাশিত হতে ভাবায় নি। কিন্তু কেন্দাল জেনারের ওই ছবি অবিশ্বাস্যরকমভাবে যৌন আবেদনময়ী। এতে প্রকাশ পেয়েছে যে, একজন নারী কীভাবে তার নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রদর্শন করেন। তার পার্টনার তাকে বেডরুমে কীভাবে অনুসরণ করবেন তার এক নতুন আকর্ষণের মধ্যে। তাই আমি এভাবেই ছবি ধারণ করতে উৎসাহিত হয়েছি।
ওয়াটফোর্ডের ভ্যানেসা হিলডার (৪৭)। তিনি বর্তমানে একটি গৃহের পরিচ্ছন্নকর্মী। আগে তিনি নার্সিং-হাউজ পরিষ্কার করতেন। তিনি বলেন, ক্যামেরার সামনে নগ্ন হওয়া তো ভীতির বিষয়। কিন্তু গ্লোভস আমাকে এক্ষেত্রে সাহস দিয়েছে। যখন কেন্দাল জেনারের ছবি দেখেছি তখনই বুঝতে পেরেছি এই রাবারের হলুদ গ্লোভসে একজন নারী কতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেন। আমি কেন্দালের মতো আগে কখনো এই মেরিগোল্ড পরি নি। আমরা শুধু এটা পরি ময়লা পরিষ্কার করার সময়। কিন্তু তা এখন ফ্যাশনে উঠে এসেছে। আসলে যেকোনো কিছুকে আপনি ফ্যাশনের উপকরণ বানিয়ে ফেলতে পারেন।
তাদের একজন জেনি ফ্রাঁসিস। তিনি বলেন, আমি জানি আমি কোনো সুপারমডেল নই। তবে আমি এভাবে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে পেরে গর্বিত। নর্থ ডেভোনের সাউনটনের বাসিন্দা বোনি স্টেইনার (৩৪)। তিনি ক্যারাভান পার্কের একজন পরিচ্ছন্নকর্মী। তার রয়েছে পেইসলে নামের চার বছর বয়সী একটি মেয়ে। তিন বছর বয়সী ছেলে রেকো। বনি স্টেইনার বলেন, পর্যটকরা চলে যাওয়ার পর আমি পার্ক পরিষ্কার করি। আমি একজন সিঙ্গেল নারী। আমি এই পার্কে পরিচ্ছন্ন কাজ করে আসছি তিন বছর ধরে। কাজটি আমি পছন্দ করি। কাজের অংশ হিসেবে আমাকে ইউনিফর্ম পরতে হয়। হলুদ গ্লোভস পরতে হয়। সঙ্গে থাকে একটি বাকেট। মানুষ তা দেখে হাসাহাসি করে। কেউ আমাকে দেখে কিছু বলে না। কিন্তু কেন্দাল জেনার যেখানেই যায় সেখানেই ক্যামেরা। তার ওপর ওত পেতে থাকে। আমি তো তার মতো নই। তাই আমার দিকে কেউ দ্বিতীয়বার তাকায় না। এখনও না। তাই আমি তার ওই ছবিটা দেখার পর নতুন করে নিজের ছবি তৈরি করতে চেয়েছি। পরতে চেয়েছি ওই গ্লোভস, যা আমরা প্রতিদিন পরি। এমন গ্লোভসকে বলা হয় মেরিগোল্ড। এই মেরিগোল্ড পরে আমরা পর্যটকদের ফেলে যাওয়া সব নোংরা পরিষ্কার করি। কর্দমাক্ত জিনিসপত্র পরিষ্কার করি। থালাবাসন পরিষ্কার করি। নোংরা শাওয়ার বা টয়লেট পরিষ্কার করি। আমার কাছে এই হলুদ গ্লোভস ভৌগ ম্যাগাজিনের উপকরণ নয়। এটা আমার জীবন বাঁচিয়ে রাখার উপকরণ। তাই এটাকে আমার শক্তির উৎস হিসেবে মনে করি। আমি জানি আমি কোনো সুপারমডেল নই। তবে কেন্দাল জেনারের মতো আবেদনময়ী ও গর্বিত বলে নিজেকে মনে করি।
একই রকম পোজ দিয়েছেন আরেক কুকুরের ঘর পরিচ্ছন্নকর্মী ও কুকুরের প্রজননকাজে সহায়তাকারী মিশেল বেল (২২)। তিনি মোটা অনেক। তবু তিনি মনে করেন, তার সাইজ যাই হোক না কেন, যদি কেন্দাল জেনারের মতো তিনিও নগ্ন হয়ে পোজ দেন তাহলে তাতে যৌন আবেদন ফুটে উঠবে। তিনি বলেন, যখন আমি কেন্দালের ওই নগ্ন ছবি দেখেছি তখনই আমি ভেবেছি, এটা অন্য যেকোনো উচ্চ মাত্রার ফ্যাশনের ছবি। কিন্তু যখন আরো মনোযোগ দিলাম ছবিতে, বুঝতে পারলাম কেন্দাল জেনার মেরিগোল্ড পরিধান করেছেন। তা দেখে আমি শিহরিত হলাম। ছবিটি বন্ধুবান্ধবকে দেখালাম এবং বললাম, আমি তো এই প্রবণতার সঙ্গেই। এরপর মনে হলো, আমি এই ছবিটি নিজের মতো করে ধারণ করবো। আমি কুকুরের ঘর পরিষ্কার করি। তাদের প্রজননে সহায়তা করি। তাদেরকে গোসল করিয়ে দেই। পরিষ্কার করি। এ কাজটি করতে আমি ভালোবাসি। প্রতিদিন আমার শরীরে লেগে যায় ডিটারজেন্ট, ময়লা আবর্জনা, কুকুরের পশম, কখনো কুকুরের মূত্র। কিন্তু আমাকে তা থেকে রক্ষা করে ওই হলুদ গ্লোভস। ওই মেরিগোল্ড আমার ময়লা আবর্জনার সঙ্গে সাধারণভাবে যুক্ত। কিন্তু যখন সেটা আমি কেন্দাল জেনারের ওই ছবির পোজে দেখতে পেলাম তখন মনে হলো এটা নারীর শক্তির প্রতীক হতে পারে। আরো বেশি হতে পারে নিজেকে যৌন আবেদনময়ী হিসেবে প্রকাশের প্রতীক।
উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের হ্যাম্পস্টেডের ৩৩ বছর বয়সী গৃহকর্মী এমিলি কুপারসও কম যান না। তিনিও কেন্দাল জেনারের অনুকরণে ক্যামেরার সামনে পোজ দিয়েছেন একেবারে নগ্ন হয়ে। তিনি মনে করেন, কেন্দাল জেনার শিখিয়ে দিয়েছেন এই হলুদ গ্লোভস হতে পারে নারীর যৌন আবেদনের নতুন উপকরণ, যা বেডরুমকে গরম রাখবে। তিনি বলেন, দেড় বছর ধরে আমি বর্তমান গৃহকর্তার বাড়িতে পরিচ্ছন্নতার কাজ করি। অন্যদের বাড়িও পরিষ্কার করি। আমার কাছে কখনো কাজটিকে গ্লামারহীন মনে হয় নি। তবে কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়তাম। বিরক্তি লাগতো। একদিন রাত তিনটায় আমি উঠে পড়েছিলাম। দেখলাম কেন্দাল জেনারের ওই ছবিটি। দেখে প্রথমে হেসেছি। তারপর ভেবেছি, একই রকম এই রাবারের গ্লোভস তো আমাকে কখনো এভাবে যৌন আবেদনময়ী হিসেবে প্রকাশিত হতে ভাবায় নি। কিন্তু কেন্দাল জেনারের ওই ছবি অবিশ্বাস্যরকমভাবে যৌন আবেদনময়ী। এতে প্রকাশ পেয়েছে যে, একজন নারী কীভাবে তার নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রদর্শন করেন। তার পার্টনার তাকে বেডরুমে কীভাবে অনুসরণ করবেন তার এক নতুন আকর্ষণের মধ্যে। তাই আমি এভাবেই ছবি ধারণ করতে উৎসাহিত হয়েছি।
ওয়াটফোর্ডের ভ্যানেসা হিলডার (৪৭)। তিনি বর্তমানে একটি গৃহের পরিচ্ছন্নকর্মী। আগে তিনি নার্সিং-হাউজ পরিষ্কার করতেন। তিনি বলেন, ক্যামেরার সামনে নগ্ন হওয়া তো ভীতির বিষয়। কিন্তু গ্লোভস আমাকে এক্ষেত্রে সাহস দিয়েছে। যখন কেন্দাল জেনারের ছবি দেখেছি তখনই বুঝতে পেরেছি এই রাবারের হলুদ গ্লোভসে একজন নারী কতটা আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারেন। আমি কেন্দালের মতো আগে কখনো এই মেরিগোল্ড পরি নি। আমরা শুধু এটা পরি ময়লা পরিষ্কার করার সময়। কিন্তু তা এখন ফ্যাশনে উঠে এসেছে। আসলে যেকোনো কিছুকে আপনি ফ্যাশনের উপকরণ বানিয়ে ফেলতে পারেন।
No comments