উপজেলা পর্যায়ে মহাপরিকল্পনার নির্দেশ -এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, অবকাঠামো নির্মাণে শৃঙ্খলা আনতে উপজেলা পর্যায়ে
উন্নয়নের মাস্টারপ্ল্যান করতে হবে। ইতিমধ্যে আমি একটা নির্দেশ দিয়েছিলাম,
সেটা সেভাবে কার্যকর হয়নি। গতকাল স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়
মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময়
প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, এখন কারও টাকা থাকলেই ধানি জমি
নষ্ট করে দালান তুলছে। কোনো হিসাবনিকাশ নেই। এখন থেকে এ বিষয়ে আমরা যদি
একটা নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করতে পারি তবে ধানি জমি রক্ষা পাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন দেখা যাচ্ছে যে, যেখান থেকে দাবি করছে সেখানে
রাস্তা হচ্ছে। সেটা না করে আমরা যদি এটা পরিকল্পিতভাবে করতে পারি, তবে বেশি
মানুষ তার সুবিধা পাবে।
যেহেতু প্রচুর রাস্তা হয়ে গেছে আমাদের কিছু করার নেই, সবচেয়ে মুশকিল হচ্ছে রাস্তাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই।
রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে এক সময় সেই রাস্তা আর কাজে লাগে না। এজন্য বলেছি, আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে একটা মাস্টারপ্ল্যান করে দেই তবে এখনো যেটুকু সময় আছে আমরা অনেক দ্রুত উন্নত করতে পারবো। শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়বারের মতো এসে এটুকু সান্ত্বনা পেলাম যে, আমরা কিছু কাজ করার সুযোগ পেলাম। তাই বাজেট প্রণয়নের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছাতে পারি। আগামীতেও কেন্দ্রীয়ভাবে বাজেট প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরপর আমি চাচ্ছি দায়িত্ব দিয়ে দেব আমাদের প্রতিটি জেলায়। ওই অঞ্চলের কী চাহিদা, কীভাবে মানুষের কাছে সেবা পৌঁছাতে পারে, তাদের কাছ থেকে মতামত ও পরিকল্পনা আমরা নেবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা স্তর থেকে আমরা বাজেট কীভাবে হবে সেই ধারণাটা নিয়ে আমরা বাজেট তৈরি করবো। যাতে প্রতিটি পয়সা মানুষের কল্যাণে কাজে লাগে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে স্থানীয় সরকারকে আরো শক্তিশালী করা। যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বেশি মনোনিবেশ ও অবদান রাখতে পারে।
বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া উন্নয়নও টেকসই হবে না। যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে বারবার ক্ষমতায় এসেছিল তাদের মধ্যে দেশগড়ার চেতনতাটাই ছিল না। এর ফলে দেশটা অনেক পিছিয়ে ছিল। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আমরা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যতটুকু কাজ এগিয়েছিলাম, মাঝখানে ৭ বছর আমরা ছিলাম না। এ সময়ে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময় হাতে পেয়েছিলাম বলে অনেকগুলো কাজ করতে পেরেছি, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে গেলে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা নিতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে। সেখানে যে মানুষগুলো বাস করে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা, তাদের জীবনমান উন্নত করা- এটা করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই আস্তে আস্তে সমস্ত দেশটাই উন্নত হবে। সেদিকে লক্ষ্য করে এই মন্ত্রণালয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বাজেটের সবচেয়ে বড় টাকার অংশটাই এই মন্ত্রণালয়ে আসে।
তিনি বলেন, অনেকগুলো কাজ রয়ে গেছে; যেগুলো আমাদের করতে হবে। আমি সব সময় চিন্তা করেছি কীভাবে মানুষের কাছে যাওয়া যায়; মানুষের কাজটা করা যায়। এই মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সুপেয় পানির নিশ্চয়তা দেয়া। স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে আবার রাস্তাগুলোকেও উন্নত করতে হবে। বহুমুখী কাজ, আবার জনস্বাস্থ্যের দিকেও গুরুত্ব দেয়া। আমি মনে করি যতগুলো মন্ত্রণালয় আছে এই মন্ত্রণালয়টা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। গতকাল সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে প্রবেশ করলে তাকে স্বাগত জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এসময় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
যেহেতু প্রচুর রাস্তা হয়ে গেছে আমাদের কিছু করার নেই, সবচেয়ে মুশকিল হচ্ছে রাস্তাগুলো রক্ষণাবেক্ষণের কোনো ব্যবস্থা নেই।
রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা না থাকলে এক সময় সেই রাস্তা আর কাজে লাগে না। এজন্য বলেছি, আমরা যদি তৃণমূল পর্যায়ে একটা মাস্টারপ্ল্যান করে দেই তবে এখনো যেটুকু সময় আছে আমরা অনেক দ্রুত উন্নত করতে পারবো। শেখ হাসিনা বলেন, তৃতীয়বারের মতো এসে এটুকু সান্ত্বনা পেলাম যে, আমরা কিছু কাজ করার সুযোগ পেলাম। তাই বাজেট প্রণয়নের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আমরা মানুষের কাছে কীভাবে পৌঁছাতে পারি। আগামীতেও কেন্দ্রীয়ভাবে বাজেট প্রণয়ন করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এরপর আমি চাচ্ছি দায়িত্ব দিয়ে দেব আমাদের প্রতিটি জেলায়। ওই অঞ্চলের কী চাহিদা, কীভাবে মানুষের কাছে সেবা পৌঁছাতে পারে, তাদের কাছ থেকে মতামত ও পরিকল্পনা আমরা নেবো। এভাবে পর্যায়ক্রমে প্রত্যেকটা স্তর থেকে আমরা বাজেট কীভাবে হবে সেই ধারণাটা নিয়ে আমরা বাজেট তৈরি করবো। যাতে প্রতিটি পয়সা মানুষের কল্যাণে কাজে লাগে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হচ্ছে ক্ষমতাকে বিকেন্দ্রীকরণ করে স্থানীয় সরকারকে আরো শক্তিশালী করা। যাতে তারা নিজ নিজ এলাকার উন্নয়নে বেশি মনোনিবেশ ও অবদান রাখতে পারে।
বিকেন্দ্রীকরণ ছাড়া উন্নয়নও টেকসই হবে না। যারা অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে বারবার ক্ষমতায় এসেছিল তাদের মধ্যে দেশগড়ার চেতনতাটাই ছিল না। এর ফলে দেশটা অনেক পিছিয়ে ছিল। এখন আমাদের কাজ হচ্ছে বাংলাদেশকে উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলা। তিনি বলেন, আমরা ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত যতটুকু কাজ এগিয়েছিলাম, মাঝখানে ৭ বছর আমরা ছিলাম না। এ সময়ে অনেক কিছু নষ্ট হয়ে যায়। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময় হাতে পেয়েছিলাম বলে অনেকগুলো কাজ করতে পেরেছি, আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে উন্নীত হয়েছে। শেখ হাসিনা বলেন, সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করতে গেলে আমাদের সমস্ত পরিকল্পনা নিতে হবে তৃণমূল পর্যায়ে। সেখানে যে মানুষগুলো বাস করে তাদের মৌলিক চাহিদাগুলো পূরণ করা, তাদের জীবনমান উন্নত করা- এটা করতে পারলে স্বাভাবিকভাবেই আস্তে আস্তে সমস্ত দেশটাই উন্নত হবে। সেদিকে লক্ষ্য করে এই মন্ত্রণালয়টা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, বাজেটের সবচেয়ে বড় টাকার অংশটাই এই মন্ত্রণালয়ে আসে।
তিনি বলেন, অনেকগুলো কাজ রয়ে গেছে; যেগুলো আমাদের করতে হবে। আমি সব সময় চিন্তা করেছি কীভাবে মানুষের কাছে যাওয়া যায়; মানুষের কাজটা করা যায়। এই মন্ত্রণালয়ের কাজ হচ্ছে সুপেয় পানির নিশ্চয়তা দেয়া। স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করা। সেই সঙ্গে আবার রাস্তাগুলোকেও উন্নত করতে হবে। বহুমুখী কাজ, আবার জনস্বাস্থ্যের দিকেও গুরুত্ব দেয়া। আমি মনে করি যতগুলো মন্ত্রণালয় আছে এই মন্ত্রণালয়টা হচ্ছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়। গতকাল সকাল দশটায় প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ে প্রবেশ করলে তাকে স্বাগত জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। এসময় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব এস এম গোলাম ফারুক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. কামাল উদ্দিন তালুকদারসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments