ব্রেক্সিটের চাবি করবিনের হাতে
ইউরোপিয়ান
ইউনিয়ন থেকে বৃটেনের প্রস্থান অর্থাৎ ব্রেক্সিট নিয়ে যে পরিকল্পনা হাজির
করেছেন প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে, তা ঐতিহাসিক ব্যবধানে প্রত্যাখ্যান করেছেন
পার্লামেন্টের সদস্যরা। এর কিছুক্ষণ পরই বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা
জেরেমি করবিন পার্লামেন্টে উঠে দাঁড়িয়ে বজ্রকণ্ঠে প্রধানমন্ত্রীর ওপর
অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেন।
মৃদুভাষী করবিন একসময় দলে ব্রাত্য ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি বিরোধী দলের প্রধান হন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে কয়েক বছর তিনি চুপচাপ ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি বিতর্কের কেন্দ্রে। আর তাকে এখন একটি বিকল্প বেছে নিতেই হবে। তার এই সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে ব্রেক্সিটের কী হবে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে এমনটা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নিজেকে সাচ্চা বামপন্থী ও তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করে দলের ক্ষমতায় আসেন করবিন। তাই এই তৃণমূলকে অগ্রাহ্য করে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা থেকে বিরত থাকাটা তার জন্য ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে।
‘আনাদার ইউরোপ ইজ পসিবল’ নামে বামপন্থী একটি গ্রুপের নেতা মাইকেল চেসাম বলেন, ‘মানুষ যদি ভাবতে শুরু করে করবিন আর দশজন রাজনীতিকের মতোই একজন রাজনীতিক, তাহলে করবিন ম্যানিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।’ চেসামের গ্রুপ চায় লেবার দল ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলুক।
কিন্তু করবিন কি দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলবেন নাকি ব্রেক্সিট কার্যকরের দিকেই মনোনিবেশ করবেন? এ নিয়ে যেকোনো একটি সিদ্ধান্তে আসাটা তার জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে। করবিন যে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, তা প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। ফলে পার্লামেন্ট ফের অসাড় হয়ে পড়ছে। কিন্তু আগামী কয়েক সপ্তাহে যে-ই পরিকল্পনাই আসুক পার্লামেন্টে, তার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে করবিনের।
যদি তিনি মৃদু ব্রেক্সিট সমর্থন করেন, অর্থাৎ ইইউ থেকে বের হয়ে এলেও সংস্থাটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে থাকেন, তাহলে সেই প্রস্তাব হয়তো পার্লামেন্টে পাস হবে। তিনি যদি দ্বিতীয় গণভোটের প্রস্তাব দেন, যার ফলে হয়তো ব্রেক্সিটই বাতিল হয়ে যেতে পারে, সেই প্রস্তাবনারও পাস হওয়ার একটা সুযোগ রয়েছে। তিনি যদি নিজে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে না দিয়ে, লেবার দলীয় এমপিদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার কোনো সংশোধিত সংস্করণ সমর্থন দেওয়ার অনুমতি দেন, তাহলেও সেই ব্রেক্সিট পরিকল্পনা উতরে যাবে। আর তিনি যদি উপর্যুক্ত কোনো বিকল্পই বেছে না নেন, অর্থাৎ সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন, তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেনের ইইউ ত্যাগের সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই ক্ষেত্রে দেশটি অর্থনৈতিক মন্দা, এমনকি অর্থ ও ঔষুধ সঙ্কটেও পড়ে যেতে পারে! অর্থাৎ করবিনের যেকোনো সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে অনেক কিছু।
কিন্তু যেকোনো একটি বিকল্প বেছে নেওয়া সহজ কিছু নয়। তেরেসা মের কনজারভেটিভ দলে ব্রেক্সিট নিয়ে যতটা বিরোধ আছে, ততটা বিরোধ লেবার পার্টিতে নেই। কিন্তু এরপরও দলটি এই ইস্যুতে বেশ বিভক্ত। কিন্তু লেবার দলকে ক্ষমতায় ফেরানো ও কয়েক দশকের নব্য-উদারবাদী নীতি পাল্টে দেওয়ার যে চূড়ান্ত লক্ষ্য করবিনের, তা বাস্তবায়ন করতে হলে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা অপরিহার্য। এটিই তার জন্য উভয় সংকট।
করবিন সারাজীবন ইইউ’র সমালোচনা করেছেন। তার মতে, এটি হলো ব্যাংকারদের একটি ক্লাব যেটি কিনা বামপন্থী নীতি আটকে দিয়েছে। ব্রেক্সিট উলটে দেওয়ারও পক্ষে নন তিনি। কর্মজীবী যেসব লেবার ভোটার ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ক্ষুব্ধ করতে চান না তিনি। কিন্তু তাকে বিস্ময়করভাবে লেবার দলের নেতা বানিয়েছে যে অ্যাক্টিভিস্টরা, তারা করবিনকে ব্যাপক চাপ দিচ্ছেন যাতে তিনি ব্রেক্সিট বাতিল করার দিকে যান।
এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও তীব্র হচ্ছে। আর এই উভয় সংকট যেন পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বামপন্থী আন্দোলনেরই। জনতোষণবাদী আন্দোলনের বিপক্ষে লড়তে গিয়ে এই প্রশ্নেই পড়েছে বামপন্থীরা। জনতোষণবাদীরা মানুষের মধ্যে ক্রমেই তীব্র হওয়া অভিবাসন-বিরোধী সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করছে। সুতরাং, বামপন্থীরা কি তাহলে উন্মুক্ত সীমান্ত, বহুসংস্কৃতিবাদের পক্ষে অবস্থান নেবে? তা করতে গেলে দীর্ঘদিনের বামপন্থী আন্দোলনের সমর্থক শ্বেতাঙ্গ কর্মজীবীরা ক্ষুব্ধ হবে। এরা হয়তো অভিবাসন-বিরোধী ডানপন্থার দিকে ঝুঁকবে। নাকি বামপন্থীরা বৈশ্বিক সংগঠন, বাণিজ্য চুক্তি ও অভিবাসনের বিরুদ্ধে উদারবাদী কায়দায় লড়াই করে ওই সমর্থকদের ফের কাছে টানার চেষ্টা করবে?
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক টিম বেল বলেন, ‘আপনি যদি ইউরোপের দিকে তাকান, দেখবেন যে মধ্য-বামপন্থী দলগুলো এই উভয় সংকটের সম্মুখীন।’ ব্রেক্সিট ইস্যুতে লেবার দলের সদস্যদের নিয়ে জরিপ পরিচালনা করা অধ্যাপক টিম বেল আরও বলেন, ‘কর্মজীবী ও মধ্যবিত্ত ও অধিক শিক্ষিত ভোটারদের কীভাবে তারা কাছে টানবে?’ এক পক্ষকে কাছে টানলে আরেক পক্ষ দূরে সরে যাবে। এই রাজনৈতিক সমীকরণই করবিন কিছু ইস্যুতে স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসছেন না।
এই কৌশলের অনেক সমর্থকও আছে লেবার দলে। তারা ব্রেক্সিট ইস্যুর চেয়েও সরকারের কৃচ্ছতাসাধনের নীতি বন্ধ ও বৃটিশদেরকে দারিদ্র্য থেকে রক্ষা করাটাই বড় ইস্যু বানিয়েছেন। করবিন সমর্থক লেবার নেতা ক্যালাম ক্যান্ট বলেন, এই দেশ যে সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি, তার তুলনায় ব্রেক্সিট আসলে ছোট ইস্যু। ইইউ নিয়ে মানুষের অবস্থান যা-ই হোক না কেন, সামাজিক রূপান্তরের জায়গায় আমাদের এক সাথে লড়াই করতে হবে।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রেক্সিটে সমর্থন দিলে মাত্র এক-পঞ্চমাংশ ভোটারের সমর্থন পাবে লেবার। দ্বিতীয় গণভোটের দাবিকে সমর্থন দিলে, এক-তৃতীয়াংশ ভোটার লেবারকে সমর্থন দেবেন। ক্যালাম ক্যান্ট মনে করেন, ইউরোপ-পন্থী ভোটাররা সাধারণত লেবার দলের সমর্থক। এদেরকে ধরে না রাখলে কোনো সমীকরণেই কাজ হবে না। তার মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়ে আমেরিকান ভোটাররা অভিবাসন ইস্যুতে কিছুটা বাম দিকে ঘেঁষে গেছেন। ঠিক তেমনই, ব্রেক্সিট গণভোটের পর অভিবাসন ইস্যুতে বৃটিশদের মনোভাব নরম হয়েছে।
মৃদুভাষী করবিন একসময় দলে ব্রাত্য ছিলেন। তিন বছর আগে তিনি বিরোধী দলের প্রধান হন। ব্রেক্সিট ইস্যুতে কয়েক বছর তিনি চুপচাপ ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি বিতর্কের কেন্দ্রে। আর তাকে এখন একটি বিকল্প বেছে নিতেই হবে। তার এই সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে ব্রেক্সিটের কী হবে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের এক বিশ্লেষণে এমনটা বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, নিজেকে সাচ্চা বামপন্থী ও তৃণমূলের সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করে দলের ক্ষমতায় আসেন করবিন। তাই এই তৃণমূলকে অগ্রাহ্য করে ব্রেক্সিট নিয়ে কোনো স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসা থেকে বিরত থাকাটা তার জন্য ক্রমেই কঠিন হয়ে উঠেছে।
‘আনাদার ইউরোপ ইজ পসিবল’ নামে বামপন্থী একটি গ্রুপের নেতা মাইকেল চেসাম বলেন, ‘মানুষ যদি ভাবতে শুরু করে করবিন আর দশজন রাজনীতিকের মতোই একজন রাজনীতিক, তাহলে করবিন ম্যানিয়া ধ্বংস হয়ে যাবে।’ চেসামের গ্রুপ চায় লেবার দল ব্রেক্সিট নিয়ে দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলুক।
কিন্তু করবিন কি দ্বিতীয় গণভোটের দাবি তুলবেন নাকি ব্রেক্সিট কার্যকরের দিকেই মনোনিবেশ করবেন? এ নিয়ে যেকোনো একটি সিদ্ধান্তে আসাটা তার জন্য জরুরী হয়ে পড়েছে। করবিন যে অনাস্থা প্রস্তাব উত্থাপন করেছেন, তা প্রায় ব্যর্থ হয়েছে। ফলে পার্লামেন্ট ফের অসাড় হয়ে পড়ছে। কিন্তু আগামী কয়েক সপ্তাহে যে-ই পরিকল্পনাই আসুক পার্লামেন্টে, তার ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তারের সুযোগ থাকবে করবিনের।
যদি তিনি মৃদু ব্রেক্সিট সমর্থন করেন, অর্থাৎ ইইউ থেকে বের হয়ে এলেও সংস্থাটির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে থাকেন, তাহলে সেই প্রস্তাব হয়তো পার্লামেন্টে পাস হবে। তিনি যদি দ্বিতীয় গণভোটের প্রস্তাব দেন, যার ফলে হয়তো ব্রেক্সিটই বাতিল হয়ে যেতে পারে, সেই প্রস্তাবনারও পাস হওয়ার একটা সুযোগ রয়েছে। তিনি যদি নিজে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে না দিয়ে, লেবার দলীয় এমপিদেরকে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনার কোনো সংশোধিত সংস্করণ সমর্থন দেওয়ার অনুমতি দেন, তাহলেও সেই ব্রেক্সিট পরিকল্পনা উতরে যাবে। আর তিনি যদি উপর্যুক্ত কোনো বিকল্পই বেছে না নেন, অর্থাৎ সিদ্ধান্তহীনতায় থাকেন, তাহলে কোনো চুক্তি ছাড়াই বৃটেনের ইইউ ত্যাগের সম্ভাবনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। সেই ক্ষেত্রে দেশটি অর্থনৈতিক মন্দা, এমনকি অর্থ ও ঔষুধ সঙ্কটেও পড়ে যেতে পারে! অর্থাৎ করবিনের যেকোনো সিদ্ধান্তের ওপরই নির্ভর করছে অনেক কিছু।
কিন্তু যেকোনো একটি বিকল্প বেছে নেওয়া সহজ কিছু নয়। তেরেসা মের কনজারভেটিভ দলে ব্রেক্সিট নিয়ে যতটা বিরোধ আছে, ততটা বিরোধ লেবার পার্টিতে নেই। কিন্তু এরপরও দলটি এই ইস্যুতে বেশ বিভক্ত। কিন্তু লেবার দলকে ক্ষমতায় ফেরানো ও কয়েক দশকের নব্য-উদারবাদী নীতি পাল্টে দেওয়ার যে চূড়ান্ত লক্ষ্য করবিনের, তা বাস্তবায়ন করতে হলে দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখাটা অপরিহার্য। এটিই তার জন্য উভয় সংকট।
করবিন সারাজীবন ইইউ’র সমালোচনা করেছেন। তার মতে, এটি হলো ব্যাংকারদের একটি ক্লাব যেটি কিনা বামপন্থী নীতি আটকে দিয়েছে। ব্রেক্সিট উলটে দেওয়ারও পক্ষে নন তিনি। কর্মজীবী যেসব লেবার ভোটার ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাদেরকে ক্ষুব্ধ করতে চান না তিনি। কিন্তু তাকে বিস্ময়করভাবে লেবার দলের নেতা বানিয়েছে যে অ্যাক্টিভিস্টরা, তারা করবিনকে ব্যাপক চাপ দিচ্ছেন যাতে তিনি ব্রেক্সিট বাতিল করার দিকে যান।
এই বিপজ্জনক পরিস্থিতি প্রতিদিন আরও তীব্র হচ্ছে। আর এই উভয় সংকট যেন পুরো ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বামপন্থী আন্দোলনেরই। জনতোষণবাদী আন্দোলনের বিপক্ষে লড়তে গিয়ে এই প্রশ্নেই পড়েছে বামপন্থীরা। জনতোষণবাদীরা মানুষের মধ্যে ক্রমেই তীব্র হওয়া অভিবাসন-বিরোধী সেন্টিমেন্টকে ব্যবহার করছে। সুতরাং, বামপন্থীরা কি তাহলে উন্মুক্ত সীমান্ত, বহুসংস্কৃতিবাদের পক্ষে অবস্থান নেবে? তা করতে গেলে দীর্ঘদিনের বামপন্থী আন্দোলনের সমর্থক শ্বেতাঙ্গ কর্মজীবীরা ক্ষুব্ধ হবে। এরা হয়তো অভিবাসন-বিরোধী ডানপন্থার দিকে ঝুঁকবে। নাকি বামপন্থীরা বৈশ্বিক সংগঠন, বাণিজ্য চুক্তি ও অভিবাসনের বিরুদ্ধে উদারবাদী কায়দায় লড়াই করে ওই সমর্থকদের ফের কাছে টানার চেষ্টা করবে?
লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতির অধ্যাপক টিম বেল বলেন, ‘আপনি যদি ইউরোপের দিকে তাকান, দেখবেন যে মধ্য-বামপন্থী দলগুলো এই উভয় সংকটের সম্মুখীন।’ ব্রেক্সিট ইস্যুতে লেবার দলের সদস্যদের নিয়ে জরিপ পরিচালনা করা অধ্যাপক টিম বেল আরও বলেন, ‘কর্মজীবী ও মধ্যবিত্ত ও অধিক শিক্ষিত ভোটারদের কীভাবে তারা কাছে টানবে?’ এক পক্ষকে কাছে টানলে আরেক পক্ষ দূরে সরে যাবে। এই রাজনৈতিক সমীকরণই করবিন কিছু ইস্যুতে স্পষ্ট সিদ্ধান্তে আসছেন না।
এই কৌশলের অনেক সমর্থকও আছে লেবার দলে। তারা ব্রেক্সিট ইস্যুর চেয়েও সরকারের কৃচ্ছতাসাধনের নীতি বন্ধ ও বৃটিশদেরকে দারিদ্র্য থেকে রক্ষা করাটাই বড় ইস্যু বানিয়েছেন। করবিন সমর্থক লেবার নেতা ক্যালাম ক্যান্ট বলেন, এই দেশ যে সামাজিক সমস্যার মুখোমুখি, তার তুলনায় ব্রেক্সিট আসলে ছোট ইস্যু। ইইউ নিয়ে মানুষের অবস্থান যা-ই হোক না কেন, সামাজিক রূপান্তরের জায়গায় আমাদের এক সাথে লড়াই করতে হবে।
সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, ব্রেক্সিটে সমর্থন দিলে মাত্র এক-পঞ্চমাংশ ভোটারের সমর্থন পাবে লেবার। দ্বিতীয় গণভোটের দাবিকে সমর্থন দিলে, এক-তৃতীয়াংশ ভোটার লেবারকে সমর্থন দেবেন। ক্যালাম ক্যান্ট মনে করেন, ইউরোপ-পন্থী ভোটাররা সাধারণত লেবার দলের সমর্থক। এদেরকে ধরে না রাখলে কোনো সমীকরণেই কাজ হবে না। তার মতে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সময়ে আমেরিকান ভোটাররা অভিবাসন ইস্যুতে কিছুটা বাম দিকে ঘেঁষে গেছেন। ঠিক তেমনই, ব্রেক্সিট গণভোটের পর অভিবাসন ইস্যুতে বৃটিশদের মনোভাব নরম হয়েছে।
No comments