বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা ভারতীয় পাসপোর্টে যাচ্ছে সার্বিয়া -ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্ট
ভারতে
অবৈধ অভিবাসনে নতুন এবং অতিশয় অভিনব অভিযোগ যুক্ত হয়েছে। কেরালার কোচি
প্রশাসন দাবি করছে, বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গারা জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে ভারতীয়
পাসপোর্ট যোগাড় করে তারা ভারত হয়ে সার্বিয়ার মতো ইউরোপীয় দেশে পাড়ি
জমাচ্ছে। ইতিমধ্যে কিছু বাংলাদেশি আটক হয়েছে। আরো বেশি সংখ্যায় ধরা পড়তে
যাচ্ছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে পুলিশ একটি আন্তঃরাজ্য আদম পাচারকারী চক্রকে
ধরেছিল। তারা স্কুল সার্টিফিকেট, ভোটার আইডি, প্যান কার্ড/আধার প্রদান করে
অবৈধ অভিবাসীদের ভারতীয় বানানোর চেষ্টায় ছিল। কেরালা বিমানবন্দরে এই ঘটনা
ঘটে। ১৫ই জানুয়ারি প্রকাশিত ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য
উল্লেখ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে তারা কলকাতায় পৌঁছায়। তাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল হায়দরাবাদ হয়ে কেরালা রাজ্যের কোচি। তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য অবশ্য অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা থেকে সার্বিয়ার মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে বিস্তৃত। এই অভিযানের আন্তর্জাতিক পদচিহ্ন উন্মোচিত করে কেরালা পুলিশ। এরপর তাতে যুক্ত হয় গোয়েন্দা ব্যুরো এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। উভয়ই সংস্থাই তদন্ত শুরু করেছে।
উদ্বেগজনকভাবে ডজনখানেক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার কানাডা এবং কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে অবৈধ অভিবাসনের পরিকল্পনায় কোচি মুখ্য পাচার পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবৈধ অভিবাসীরা তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সময় তারা সবাই ‘‘বৈধ ভারতীয় দলিল’’ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত থাকবে। মাত্র কয়েক মাস আগেই কেরালা পুলিশ এই অবৈধ মাইগ্রেশন চক্রের বিরুদ্ধে একটি সাফল্যজনক পদক্ষেপ নিতে পেরেছিল। অথচ এখন দেখা গেল এই দালালদের হাত অনেক লম্বা। কেরালা পুলিশ দল হায়দরাবাদ থেকে সুমিত বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকেই মূল চাবিকাঠি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তারা আগামী দিনগুলোতে আরো গ্রেপ্তার করার আশংকা করছে। তাদের আশঙ্কা হলো হায়দরাবাদের সরকারি কর্মকর্তা এবং পুলিশ এতে জড়িত। মি. বড়ুয়া এখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এরনাকুলাম জেলা পুলিশ প্রধান রাহুল আর নায়ার এবিষয়ের অগ্রগতি তদারক করছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে উত্তর প্রদেশ পুলিশ কর্তৃক একই ধরনের একটি চক্রকে আটক করেছিল। পাঁচ বাংলাদেশি অভিবাসী ও তাদের হ্যান্ডলারকে তখন আটক করা সম্ভব হয়। তারাও বাংলাদেশিদের স্কুল সার্টিফিকেট এবং ভোটার আইডি সহ বেশ কয়েকটি দলিল বহন করছিল। মি. নায়ার বলেন, ‘সারা দেশজুড়ে একই চক্র সক্রিয় রয়েছে। আমরা এটির বিস্তারিত তদন্ত করছি।’’
এদিকে ডিএসপি কে এস উদধারণু, যিনি এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার কথায়, ‘‘আমাদের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে শুরু করেছে। গত দুই বছরে এই প্রতারণামূলক মাইগ্রেশন বিভিন্ন ভারতীয় বিমানবন্দর থেকে ঘটে চলেছে। এর মধ্যে কোচি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক । যে কেউ এই চক্রের মাধ্যমে ভারত থেকে মাইগ্রেশন করতে পারেন।
একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা যেই হোন না কেন, এই চক্রের পরিষেবা ব্যবহার করে যে কেউ ভারত থেকে মাইগ্রেট করতে পারেন। এজন্য পেমেন্ট প্রতি ব্যক্তির জন্য এক লাখ থেকে দেড় লাখ রুপি খরচ করতে হবে। আমাদের তদন্ত অনুযায়ী, কমপক্ষে এক ডজন অবৈধ অভিবাসী গত পাঁচ থেকে ছয় মাসে এই চক্রের সহায়তায় কোচি বিমানবন্দর থেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। তবে এই সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি হতে পারে। তদন্ত দলটি প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে বলেছে, প্রথমত কলকাতা থেকে স্কুল সার্টিফিকেট আসে যা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ার প্রমাণ দেয়। স্কুল রেকর্ডের মাধ্যমে দেখানো হয় তারা বেশিরভাগই সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করেছে। এরপর তাদের কর্মস্থল দাঁড়ায় হায়দরাবাদ। যেখানে তাদের নামে বসবাসের সার্টিফিকেট জারি করা হয়। তদন্ত দল বলছে, স্পষ্টতই সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত বলে মনে হচ্ছে। গত এক বছরের বা তার চেয়েও বেশি সময় একটি বিশেষ ঠিকানায় তাদের আবাসিক ঠিকানার সাক্ষ্য বহন করে। আর এই দলিলটিই তাদেরকে ভোটার আইডি, আধার কার্ড এবং একটি ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সহায়তা দেয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন তারা যে পেয়ে যায়, সেটা প্রমাণ করে যে, পুলিশের একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে তারা কলকাতায় পৌঁছায়। তাদের পরবর্তী গন্তব্য ছিল হায়দরাবাদ হয়ে কেরালা রাজ্যের কোচি। তাদের চূড়ান্ত গন্তব্য অবশ্য অস্ট্রেলিয়া এবং কানাডা থেকে সার্বিয়ার মতো ইউরোপীয় দেশগুলোতে বিস্তৃত। এই অভিযানের আন্তর্জাতিক পদচিহ্ন উন্মোচিত করে কেরালা পুলিশ। এরপর তাতে যুক্ত হয় গোয়েন্দা ব্যুরো এবং জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ)। উভয়ই সংস্থাই তদন্ত শুরু করেছে।
উদ্বেগজনকভাবে ডজনখানেক বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গার কানাডা এবং কয়েকটি ইউরোপীয় দেশে অবৈধ অভিবাসনের পরিকল্পনায় কোচি মুখ্য পাচার পয়েন্ট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবৈধ অভিবাসীরা তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর সময় তারা সবাই ‘‘বৈধ ভারতীয় দলিল’’ দ্বারা সম্পূর্ণরূপে সজ্জিত থাকবে। মাত্র কয়েক মাস আগেই কেরালা পুলিশ এই অবৈধ মাইগ্রেশন চক্রের বিরুদ্ধে একটি সাফল্যজনক পদক্ষেপ নিতে পেরেছিল। অথচ এখন দেখা গেল এই দালালদের হাত অনেক লম্বা। কেরালা পুলিশ দল হায়দরাবাদ থেকে সুমিত বড়ুয়াকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকেই মূল চাবিকাঠি বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তারা আগামী দিনগুলোতে আরো গ্রেপ্তার করার আশংকা করছে। তাদের আশঙ্কা হলো হায়দরাবাদের সরকারি কর্মকর্তা এবং পুলিশ এতে জড়িত। মি. বড়ুয়া এখন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজ্য পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।
এরনাকুলাম জেলা পুলিশ প্রধান রাহুল আর নায়ার এবিষয়ের অগ্রগতি তদারক করছে। ২০১৮ সালের নভেম্বরে উত্তর প্রদেশ পুলিশ কর্তৃক একই ধরনের একটি চক্রকে আটক করেছিল। পাঁচ বাংলাদেশি অভিবাসী ও তাদের হ্যান্ডলারকে তখন আটক করা সম্ভব হয়। তারাও বাংলাদেশিদের স্কুল সার্টিফিকেট এবং ভোটার আইডি সহ বেশ কয়েকটি দলিল বহন করছিল। মি. নায়ার বলেন, ‘সারা দেশজুড়ে একই চক্র সক্রিয় রয়েছে। আমরা এটির বিস্তারিত তদন্ত করছি।’’
এদিকে ডিএসপি কে এস উদধারণু, যিনি এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তার কথায়, ‘‘আমাদের সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী গত কয়েক বছরে কানাডা ও অস্ট্রেলিয়ায় অনেক বাংলাদেশি নাগরিক ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে শুরু করেছে। গত দুই বছরে এই প্রতারণামূলক মাইগ্রেশন বিভিন্ন ভারতীয় বিমানবন্দর থেকে ঘটে চলেছে। এর মধ্যে কোচি ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্ট এখন একটি গুরুত্বপূর্ণ লিঙ্ক । যে কেউ এই চক্রের মাধ্যমে ভারত থেকে মাইগ্রেশন করতে পারেন।
একজন সিনিয়র গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, ‘বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা যেই হোন না কেন, এই চক্রের পরিষেবা ব্যবহার করে যে কেউ ভারত থেকে মাইগ্রেট করতে পারেন। এজন্য পেমেন্ট প্রতি ব্যক্তির জন্য এক লাখ থেকে দেড় লাখ রুপি খরচ করতে হবে। আমাদের তদন্ত অনুযায়ী, কমপক্ষে এক ডজন অবৈধ অভিবাসী গত পাঁচ থেকে ছয় মাসে এই চক্রের সহায়তায় কোচি বিমানবন্দর থেকে বিদেশে পাড়ি জমিয়েছে। তবে এই সংখ্যা বাস্তবে অনেক বেশি হতে পারে। তদন্ত দলটি প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করে বলেছে, প্রথমত কলকাতা থেকে স্কুল সার্টিফিকেট আসে যা ভারতীয় বংশোদ্ভূত হওয়ার প্রমাণ দেয়। স্কুল রেকর্ডের মাধ্যমে দেখানো হয় তারা বেশিরভাগই সপ্তম থেকে অষ্টম শ্রেণি পাস করেছে। এরপর তাদের কর্মস্থল দাঁড়ায় হায়দরাবাদ। যেখানে তাদের নামে বসবাসের সার্টিফিকেট জারি করা হয়। তদন্ত দল বলছে, স্পষ্টতই সরকারি কর্মকর্তারা জড়িত বলে মনে হচ্ছে। গত এক বছরের বা তার চেয়েও বেশি সময় একটি বিশেষ ঠিকানায় তাদের আবাসিক ঠিকানার সাক্ষ্য বহন করে। আর এই দলিলটিই তাদেরকে ভোটার আইডি, আধার কার্ড এবং একটি ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সহায়তা দেয়। পুলিশ ভেরিফিকেশন তারা যে পেয়ে যায়, সেটা প্রমাণ করে যে, পুলিশের একটি চক্র এর সঙ্গে জড়িত।
No comments