ইয়াবা ও দেহব্যবসা: সিলেটে এসআই রোকন গ্রেপ্তার, বন্দিদশা থেকে উদ্ধার দুই শিশু
‘ভয়ঙ্কর
অপরাধী’ সিলেট পুলিশের এসআই রোকন উদ্দিন। এতদিন অপরাধ আস্তানাগুলোতে
‘হাওয়া’য় ভাসছিল তার নাম। তরুণীদের ব্ল্যাকমেইল করে ইয়াবা ব্যবসায় জড়িত ও
জোরপূর্বক দেহব্যবসায় জড়ানোর অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। অবশেষে বহুল আলোচিত
এসআই রোকনউদ্দিন ভুইয়া র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে। রোববার রাতে যখন
র্যাব তাকে গ্রেপ্তার করে তখন তার কাছে দীর্ঘদিন ধরে থাকা ‘রক্ষিতা’ রিমা
বেগমও গ্রেপ্তার হয়েছে।
সিলেট নগরীর মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা এসআই রোকন উদ্দিন। তার পিতা ওই এলাকার মৃত আব্দুল রশিদ। বর্তমানে ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন লালাবাজারে কর্মরত সে। এর আগে সিলেটের জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করে।
এক দাপুটে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। গত বছর সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকায় অপরাধ আস্তানার নিয়ন্ত্রক রোকেয়া ও তার ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনার পর হাওয়াপাড়ায় বসবাসকারী আরেক মক্ষীরানী হালিমা বেগমের নামও শোনা গিয়েছিল। ওই হালিমা বেগমের সঙ্গেও এসআই রোকনের সম্পর্কের কথা তখন উঠে আসে আলোচনায়। এরপর থেকে বেশ কিছু দিন নীরব ছিল সিলেটের এসব অপরাধ আস্তানা।
সূত্র জানায়, এসআই রোকনের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া রিমা বেগমও সিলেটের আরেক ‘মক্ষীরানী’। অপরাধ জগতে পরিচিত মুখ। এক সময় সিলেটের বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়িতে থেকে ইয়াবা ব্যবসা ও পতিতাবৃত্তি করলেও কয়েক মাস ধরে সে স্বামী পরিচয় দিয়ে রোকনের সঙ্গেই বসবাস করছিল। আটক রিমা নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি থানার আটগাঁও গ্রামের মৃত মফিজুল মিয়ার মেয়ে। দুই বছর আগে কাজের সন্ধানে সিলেটে আসা রিমা বেগম এক সময় হালিমার সঙ্গে নগরীর হাওয়াপাড়া এলাকায় বসবাস করতো। সিলেটের মিরাবাজারের রোকেয়া বেগমের বাসায়ও তার অবাধ যাতায়াত ছিল। বর্তমানে দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ ভাড়া বাসায় এসআই রোকনের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করছিল। গত রোববার রাতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে রোকন ও রিমাকে গ্রেপ্তার করে। এই বাসায় তারা প্রায় এক বছর ধরে বসবাস করছিল বলে জানান এলাকাবাসী।
র্যাব জানায়, রোকন ও রিমার কাজ দুটো। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। আর অপরটি হচ্ছে তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা। সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়িতে পতিতাবৃত্তির মক্ষীরানীদের কাছে তারা নিয়মিত নারী সরবরাহ করতো। পাশাপাশি ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত তারা। রোকন নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার নেটওয়ার্কে থাকা মহিলাদের পুলিশি ঝামেলা থেকে রক্ষা করতো। সাম্প্রতিক সময়ে তারা কিশোরগঞ্জের তামান্না আহমদ তমা ও সিলেটের গোলাপগঞ্জের দীপা নামের দুই শিশুকে তাদের বাসায় এনে রাখে এবং সেখানে বন্দি রেখে তাদের জোরপূর্বক ইয়াবা ব্যবসা ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। একই সঙ্গে তাদের ওপর নির্যাতনও চালানো হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে র্যাব সদস্যরা দাড়িয়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোকন ও রিমাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের আস্তানা থেকে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরপরই র্যাবের কাছে এসআই রোকন ও তার রক্ষিতার অপরাধ নেটওয়ার্কের পুরো কাহিনী বেরিয়ে আসে। র্যাব অভিযানকালে আটকদের রুম তল্লাশি করে ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এদিকে, গ্রেপ্তারের পর র্যাব সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর জানিয়েছেন, রোকন ও রিমার বিরুদ্ধে মাদক ও মানবপাচারের অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
সিলেট নগরীর মুন্সিপাড়ার বাসিন্দা এসআই রোকন উদ্দিন। তার পিতা ওই এলাকার মৃত আব্দুল রশিদ। বর্তমানে ৭ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন লালাবাজারে কর্মরত সে। এর আগে সিলেটের জেলা ও মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় দায়িত্ব পালন করে।
এক দাপুটে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত। গত বছর সিলেট নগরীর মিরাবাজার এলাকায় অপরাধ আস্তানার নিয়ন্ত্রক রোকেয়া ও তার ছেলে নিহত হওয়ার ঘটনার পর হাওয়াপাড়ায় বসবাসকারী আরেক মক্ষীরানী হালিমা বেগমের নামও শোনা গিয়েছিল। ওই হালিমা বেগমের সঙ্গেও এসআই রোকনের সম্পর্কের কথা তখন উঠে আসে আলোচনায়। এরপর থেকে বেশ কিছু দিন নীরব ছিল সিলেটের এসব অপরাধ আস্তানা।
সূত্র জানায়, এসআই রোকনের সঙ্গে গ্রেপ্তার হওয়া রিমা বেগমও সিলেটের আরেক ‘মক্ষীরানী’। অপরাধ জগতে পরিচিত মুখ। এক সময় সিলেটের বিভিন্ন ফ্ল্যাট বাড়িতে থেকে ইয়াবা ব্যবসা ও পতিতাবৃত্তি করলেও কয়েক মাস ধরে সে স্বামী পরিচয় দিয়ে রোকনের সঙ্গেই বসবাস করছিল। আটক রিমা নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি থানার আটগাঁও গ্রামের মৃত মফিজুল মিয়ার মেয়ে। দুই বছর আগে কাজের সন্ধানে সিলেটে আসা রিমা বেগম এক সময় হালিমার সঙ্গে নগরীর হাওয়াপাড়া এলাকায় বসবাস করতো। সিলেটের মিরাবাজারের রোকেয়া বেগমের বাসায়ও তার অবাধ যাতায়াত ছিল। বর্তমানে দাড়িয়াপাড়া মেঘনা এ-২৬/১ ভাড়া বাসায় এসআই রোকনের স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বসবাস করছিল। গত রোববার রাতে র্যাব সদস্যরা অভিযান চালিয়ে রোকন ও রিমাকে গ্রেপ্তার করে। এই বাসায় তারা প্রায় এক বছর ধরে বসবাস করছিল বলে জানান এলাকাবাসী।
র্যাব জানায়, রোকন ও রিমার কাজ দুটো। এর মধ্যে একটি হচ্ছে ইয়াবা ব্যবসা। আর অপরটি হচ্ছে তরুণীদের দিয়ে দেহ ব্যবসা। সিলেট নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়িতে পতিতাবৃত্তির মক্ষীরানীদের কাছে তারা নিয়মিত নারী সরবরাহ করতো। পাশাপাশি ইয়াবার ডিলার হিসেবে পরিচিত তারা। রোকন নিজের প্রভাব খাটিয়ে তার নেটওয়ার্কে থাকা মহিলাদের পুলিশি ঝামেলা থেকে রক্ষা করতো। সাম্প্রতিক সময়ে তারা কিশোরগঞ্জের তামান্না আহমদ তমা ও সিলেটের গোলাপগঞ্জের দীপা নামের দুই শিশুকে তাদের বাসায় এনে রাখে এবং সেখানে বন্দি রেখে তাদের জোরপূর্বক ইয়াবা ব্যবসা ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করে। একই সঙ্গে তাদের ওপর নির্যাতনও চালানো হয়।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে র্যাব সদস্যরা দাড়িয়া পাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে রোকন ও রিমাকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের আস্তানা থেকে ওই দুই শিশুকে উদ্ধার করে। উদ্ধারের পরপরই র্যাবের কাছে এসআই রোকন ও তার রক্ষিতার অপরাধ নেটওয়ার্কের পুরো কাহিনী বেরিয়ে আসে। র্যাব অভিযানকালে আটকদের রুম তল্লাশি করে ৬০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করে। এদিকে, গ্রেপ্তারের পর র্যাব সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের কোতোয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর জানিয়েছেন, রোকন ও রিমার বিরুদ্ধে মাদক ও মানবপাচারের অভিযোগে দুটি মামলা করা হয়েছে। গতকাল তাদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
No comments