ভাষানচরে রোহিঙ্গা পুনর্বাসনে বিতর্ক, জাতিসংঘ যা চায়...
ভাষানচরে
রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রশ্নে জাতিসংঘ এবং বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে দ্বিমত
দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গারা স্বেচ্ছায়, জেনে-শুনে ভাষানচরে যেতে চাইলেই কেবল
তাদের স্থানান্তর করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। কক্সবাজারের
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি এবং সরজমিন ভাষানচর পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে
জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি এ অভিমত ব্যক্ত করেন। ঢাকায় ৭ দিনের সফরের
সমাপনী লগ্নে শুক্রবার শেষ বিকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন তিনি ।
ইয়াং হি লি সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রেরণের আগে কারিগরি ও মানবিক বিষয়াদি নিয়ে পরিপূর্ণ সমীক্ষা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘকে অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কাঠামোগত বিষয়ে ঐক্যমত সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোর আগে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাষানচরে না পাঠানোর তাগিদ দিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ভাষানচরে এক লাখের মতো রোহিঙ্গাকে পাঠানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ঢাকা সফরকারী জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সহসাই হচ্ছে না- এমন শঙ্কাও ব্যক্ত করে গেছেন।
রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে যাওয়া কোনো সমাধান নয়: এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া মিয়ানমারে সংঘটিত অপরাধ বিচারের লক্ষ্যে কোনো অপরাধ আদালত গঠিত হতে পারে বলেও অভিমত প্রকাশ করেন।
শুক্রবার রাজধানীর হোটেল মেরিডিয়ানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৯শে জানুয়ারি ৭ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ইয়াং হি লি। সফর শেষে এই সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। তাদের সেখানেই নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি এ সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পাঠানো কোনো সমাধান নয়। তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াটাই সমাধান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন নির্বাচনের পর রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সরকারের নতুন করে পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন। ইয়াং হি লি বলেন, সৌদি আরব ও ভারত থেকে অনেক রোহিঙ্গাই ফিরে আসছেন। তাদের অনেককেই ফিরতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি রোহিঙ্গাদের সেখানে আশ্রয় দেয়ার জন্য আহ্বান জানান। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি ১৪-১৮ই জানুয়ারি থাইল্যান্ড সফর করছেন।
থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশ সফরকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ক্যাম্পও দেখে এসেছেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইয়াং হি লি তার সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বিশেষ দূত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমার সফরে যেতে চাইলেও মিয়ানমার সরকার তাকে সে দেশে প্রবেশে অনুমতি দিচ্ছে না। বার্মায় যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি বরাবর বাংলাদেশেই আসেন রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে-বুঝতে।
ইয়াং হি লি সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসনের জন্য প্রেরণের আগে কারিগরি ও মানবিক বিষয়াদি নিয়ে পরিপূর্ণ সমীক্ষা করার লক্ষ্যে জাতিসংঘকে অনুমতি দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি কাঠামোগত বিষয়ে ঐক্যমত সিদ্ধান্তে না পৌঁছানোর আগে কোনো রোহিঙ্গাকে ভাষানচরে না পাঠানোর তাগিদ দিয়েছেন। এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন শুক্রবার ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে ভাষানচরে এক লাখের মতো রোহিঙ্গাকে পাঠানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। ঢাকা সফরকারী জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন সহসাই হচ্ছে না- এমন শঙ্কাও ব্যক্ত করে গেছেন।
রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে যাওয়া কোনো সমাধান নয়: এদিকে সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংস্থার বিশেষ দূত ইয়াং হি লি রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
এছাড়া মিয়ানমারে সংঘটিত অপরাধ বিচারের লক্ষ্যে কোনো অপরাধ আদালত গঠিত হতে পারে বলেও অভিমত প্রকাশ করেন।
শুক্রবার রাজধানীর হোটেল মেরিডিয়ানে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৯শে জানুয়ারি ৭ দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন ইয়াং হি লি। সফর শেষে এই সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গাদের নিয়ে তার পর্যবেক্ষণ তুলে ধরেন। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি বলেন, রোহিঙ্গারা নিজ দেশে ফিরে যেতে চান। তাদের সেখানেই নিরাপদে ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য মিয়ানমারকেই উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে। তিনি এ সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে নিরাপদে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারকে চাপ দেয়ার জন্য আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে জাতিসংঘের এই বিশেষ দূত বলেন, রোহিঙ্গাদের তৃতীয় দেশে পাঠানো কোনো সমাধান নয়। তাদের নিজ দেশে ফিরে যাওয়াটাই সমাধান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন নির্বাচনের পর রোহিঙ্গাদের ফেরাতে সরকারের নতুন করে পরিকল্পনা নেয়া প্রয়োজন। ইয়াং হি লি বলেন, সৌদি আরব ও ভারত থেকে অনেক রোহিঙ্গাই ফিরে আসছেন। তাদের অনেককেই ফিরতে বাধ্য করা হচ্ছে। তিনি রোহিঙ্গাদের সেখানে আশ্রয় দেয়ার জন্য আহ্বান জানান। জাতিসংঘের বিশেষ দূত ইয়াং হি লি ১৪-১৮ই জানুয়ারি থাইল্যান্ড সফর করছেন।
থাইল্যান্ড থেকে বাংলাদেশ সফরে আসেন। বাংলাদেশ সফরকালে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। ভাষানচরে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত ক্যাম্পও দেখে এসেছেন তিনি। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেনসহ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। ইয়াং হি লি তার সমাপনী সংবাদ সম্মেলনে রোহিঙ্গা পরিস্থিতির বিস্তারিত তুলে ধরেন। উল্লেখ্য, জাতিসংঘ মহাসচিবের এই বিশেষ দূত রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে মিয়ানমার সফরে যেতে চাইলেও মিয়ানমার সরকার তাকে সে দেশে প্রবেশে অনুমতি দিচ্ছে না। বার্মায় যেতে বাধাপ্রাপ্ত হয়ে তিনি বরাবর বাংলাদেশেই আসেন রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে-বুঝতে।
No comments