রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: ঢাকার প্রচেষ্টা ব্যর্থ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ঢাকার চেষ্টা
পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আপত্তি সত্ত্বেও
মিয়ানমারের যাচাই করা (ভেরিফাইড) বাস্তুচ্যুতদের ফেরত পাঠানোর আয়োজন ছিল
বাংলাদেশের। কিন্তু শেষ পর্যন্ত একজন রোহিঙ্গাও ফিরতে রাজি না হওয়ায় যাবতীয়
প্রস্তুতি বাতিল করা হয়েছে। চীনের উৎসাহে ‘টেস্ট কেস’ হিসেবে রাখাইনে
প্রত্যাবাসনের প্রথম ব্যাচে ২২৬০ বাস্তুচ্যুতকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
সিদ্ধান্ত মতে, গতকাল ৩০ পরিবারের ১৫০ রোহিঙ্গা যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু
কেউই ফিরেনি। প্রত্যাবাসনপ্রস্তুতি বাতিলের পর ঢাকাস্থ বিদেশি কূটনীতিকদের
ডেকে পরিস্থিতির বিস্তারিত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় এ নিয়ে দীর্ঘ সময় ধরে
ব্রিফ করেন মন্ত্রী।
ব্রিফিং শেষে মন্ত্রী তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানান। বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা কেউ যেতে রাজি হয়নি। এখনও আমরা ভিন্ন ফর্মুলায় যাবো।
জাপানের তরফে একটি প্রস্তাব আছে- রাখাইন পরিস্থিতি কতটা প্রত্যাবাসন উপযোগী তা দেখতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতাদের (স্থানীয়ভাবে তাদের মাঝি বলা হয়) মিয়ানমার নিয়ে যাওয়া হবে। তারা সরজমিন সবকিছু দেখবেন। তারা ফিরে এসে পরিস্থিতির বিষয়ে অন্যদের বলবেন, তখন নিশ্চয়ই বাস্তুচ্যুতরা উৎসাহিত হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না, কোনো কিছুই এখনও ঠিক হয়নি। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলবো। দেখি কী হয়। প্রত্যাবাসন না করতে পারায় মিয়ানমারের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন কি না? জানতে চাইলে মন্ত্রী তাও নাকচ করেন। বলেন, না আমি দেখিনি। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার আলীর কূটনৈতিক ব্রিফিং শেষ হওয়ার পরপরই খবর আসে মিয়ানমারে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো বরাবরের মতো ঢাকার প্রতিই দোষ চাপিয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একজন বাস্তুচ্যুতকেও স্থানান্তর করতে পারেনি বাংলাদেশ।
সত্য কথা বলতে কী, সই হওয়া প্রত্যাবাসন বিষয়ক চুক্তি (ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট) পালনেও ঢাকার দুর্বলতা রয়েছে।’ মিয়ানমার বাস্তুচ্যুতদের গ্রহণে প্রস্তুত ছিল, বাংলাদেশ পাঠাতে পারেনি- এমনটি নেপি’ড বলবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তা আগে থেকেই ধারণা করছিলেন জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, আজ হোক কাল হোক প্রত্যাবাসনই যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান; সেটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে গতকালও বলেছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে প্রত্যাবাসন না হওয়ার জন্য ফেব্রিকেটেড নিউজ বা প্রচারণাকে দায়ী করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ২৮শে অক্টোবর ইউএনএইচসিআরকে তালিকা দিয়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং চুক্তি অনুযায়ী তাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের ভীতি কাটাতে মোটিভেশন কার্যক্রম চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ইউএনএইচসিআর সেটি করতে সময় নিয়েছে। তারা শেষ সময়ে এসে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারকে দিয়েছে।
ইউএনএইচসিআর’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে সংবাদ ব্রিফিংয়ে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা ইউএনএইচসিআরকে জিজ্ঞাসা করুণ, এটা তারাই ভালো বলতে পারবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার বলেন, আমরা কাউকে জোর করে পাঠাতে চাই না। কিন্তু প্রচারণা রয়েছে বাংলাদেশ নাকি জোর করছি। যদি জোরই করতাম তাহলে আমরা আশ্রয় দিলাম কেন? আমরা আটকে দিতে পারতাম। বাংলাদেশ স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের প্রয়াস অব্যাহত রাখবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা যা যা করেছি সেটা কূটনীতিকদের বলেছি। আপনাদেরও বলছি, আমরা জোর করছি না। আমরা টেকসই প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছি। দ্বিতীয়ত, অনেকে বলছেন, আমরা না কি জাতিসংঘকে না জানিয়ে প্রত্যাবাসন করছি। এটা সত্য নয়। আমরা জাতিসংঘকে নিয়ে যা করার করছি। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং ই এবং মিয়ানমারের মন্ত্রীর সঙ্গে এক টেবিলে বসে আমরা এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেখানে মহাসচিবও বলেছেন, প্রত্যাবাসন হতে হবে। বাস্তুচ্যুতরা এক জায়গায় (বাংলাদেশে) বেশি দিন থাকলে এদের সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতে পারে!
ব্রিফিং শেষে মন্ত্রী তাদের চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানান। বলেন, আমরা চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা কেউ যেতে রাজি হয়নি। এখনও আমরা ভিন্ন ফর্মুলায় যাবো।
জাপানের তরফে একটি প্রস্তাব আছে- রাখাইন পরিস্থিতি কতটা প্রত্যাবাসন উপযোগী তা দেখতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নেতাদের (স্থানীয়ভাবে তাদের মাঝি বলা হয়) মিয়ানমার নিয়ে যাওয়া হবে। তারা সরজমিন সবকিছু দেখবেন। তারা ফিরে এসে পরিস্থিতির বিষয়ে অন্যদের বলবেন, তখন নিশ্চয়ই বাস্তুচ্যুতরা উৎসাহিত হবে। পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে? জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, না, কোনো কিছুই এখনও ঠিক হয়নি। আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে কথা বলবো। দেখি কী হয়। প্রত্যাবাসন না করতে পারায় মিয়ানমারের তরফে কোনো প্রতিক্রিয়া পেয়েছেন কি না? জানতে চাইলে মন্ত্রী তাও নাকচ করেন। বলেন, না আমি দেখিনি। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিস্টার আলীর কূটনৈতিক ব্রিফিং শেষ হওয়ার পরপরই খবর আসে মিয়ানমারে এক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থো বরাবরের মতো ঢাকার প্রতিই দোষ চাপিয়েছেন। পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘এখন পর্যন্ত একজন বাস্তুচ্যুতকেও স্থানান্তর করতে পারেনি বাংলাদেশ।
সত্য কথা বলতে কী, সই হওয়া প্রত্যাবাসন বিষয়ক চুক্তি (ফিজিক্যাল অ্যারেঞ্জমেন্ট) পালনেও ঢাকার দুর্বলতা রয়েছে।’ মিয়ানমার বাস্তুচ্যুতদের গ্রহণে প্রস্তুত ছিল, বাংলাদেশ পাঠাতে পারেনি- এমনটি নেপি’ড বলবে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা তা আগে থেকেই ধারণা করছিলেন জানিয়ে এক কর্মকর্তা বলেন, আজ হোক কাল হোক প্রত্যাবাসনই যে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান; সেটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে গতকালও বলেছে বাংলাদেশ। কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে প্রত্যাবাসন না হওয়ার জন্য ফেব্রিকেটেড নিউজ বা প্রচারণাকে দায়ী করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। গত ২৮শে অক্টোবর ইউএনএইচসিআরকে তালিকা দিয়ে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলতে এবং চুক্তি অনুযায়ী তাদের মধ্যে প্রত্যাবাসনের ভীতি কাটাতে মোটিভেশন কার্যক্রম চালানোর দায়িত্ব দিয়েছিল। কিন্তু ইউএনএইচসিআর সেটি করতে সময় নিয়েছে। তারা শেষ সময়ে এসে রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার সংক্রান্ত রিপোর্ট সরকারকে দিয়েছে।
ইউএনএইচসিআর’র ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে সংবাদ ব্রিফিংয়ে। জবাবে মন্ত্রী বলেন, এটা ইউএনএইচসিআরকে জিজ্ঞাসা করুণ, এটা তারাই ভালো বলতে পারবে। সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বারবার বলেন, আমরা কাউকে জোর করে পাঠাতে চাই না। কিন্তু প্রচারণা রয়েছে বাংলাদেশ নাকি জোর করছি। যদি জোরই করতাম তাহলে আমরা আশ্রয় দিলাম কেন? আমরা আটকে দিতে পারতাম। বাংলাদেশ স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের প্রয়াস অব্যাহত রাখবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, আমরা যা যা করেছি সেটা কূটনীতিকদের বলেছি। আপনাদেরও বলছি, আমরা জোর করছি না। আমরা টেকসই প্রত্যাবাসনের চেষ্টা করছি। দ্বিতীয়ত, অনেকে বলছেন, আমরা না কি জাতিসংঘকে না জানিয়ে প্রত্যাবাসন করছি। এটা সত্য নয়। আমরা জাতিসংঘকে নিয়ে যা করার করছি। নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেস, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়েং ই এবং মিয়ানমারের মন্ত্রীর সঙ্গে এক টেবিলে বসে আমরা এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। সেখানে মহাসচিবও বলেছেন, প্রত্যাবাসন হতে হবে। বাস্তুচ্যুতরা এক জায়গায় (বাংলাদেশে) বেশি দিন থাকলে এদের সন্ত্রাসীরা ব্যবহার করতে পারে!
No comments