‘নির্বাচনী আবহ সৃষ্টি হলেও শঙ্কায় সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী’
সারাদেশে
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আবহ তৈরি হলেও সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী শঙ্কায় রয়েছে বলে
মন্তব্য করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক
অ্যাডভোকেট রানা দাসগুপ্ত। নির্বাচনের পর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা নীপিড়কের
ভ’মিকায় অবতীর্ণ হবেন না বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি। আসন্ন একাদশ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে
ঐক্য পরিষদের পক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এ সময় রানা দাসগুপ্ত
বলেন, ‘নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল রাজনৈতিক দল ও জোটের মিলিত উদ্যোগে
উৎসবের আবহ তৈরি হলেও দেশের ধর্মীয়-জাতিগত সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠী শঙ্কা ও
উদ্বেগ থেকে মুক্ত হতে পারছে না।’ তিনি বলেন, ‘নব্বই পরবর্তী ব্যাতিক্রম
বাদে স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ের যতগুলো নির্বাচন হয়েছে তা সংখ্যালঘু জনজীবনে
আসে বিপর্যয় ও হাহাকার নিয়ে। সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীকে এই শঙ্কা ও উদ্বেগ থেকে
মুক্ত করার দায়িত্ব সরকার, নির্বাচন কমিশন, সকল রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিতে
হবে।’ তিনি আরো বলেন, ‘দ্বিধাহীন চিত্তে বলতে চাই, দেশের ১২ শতাংশ ভোটারকে
উপেক্ষা করে, পাশ কাটিয়ে কোন রাজনৈতিক দল ও জোটের ক্ষমতায়ন যেমন সম্ভব নয়,
তেমনি মুক্তিযুদ্ধের বাংলাদেশ বিনির্মাণও সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দু:খের সাথে লক্ষ্য করেছি অতীতে প্রায় প্রতিিিট নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনো তা রক্ষা করা হয়নি। তবে, আশা করি এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে। যারা অতীতে জনপ্রতিনিধি হয়ে ও থেকে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে লিপ্ত ছিলেন বা আছেন এমন কাউকে মনোনয়ন না দেওয়ার আহবান জানিয়ে রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘এমন কাউকে প্রার্থী করা হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘুদের ভোট দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয়না।’ তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত পার্লামেন্ট চাই যেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নীপিড়কের ভ’মিকা পালন করবে না। রাজনীতিকে ব্যাক্তি স্বার্থে ব্যবহার করবে না।’ নির্বাচনকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর জন্য ইসি, সরকার ও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি প্রতিটি দল ও জোটকে এ বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেশবাসীর সামনে ব্যক্ত করার আহবান জানান রানা দাসগুপ্ত। সংগঠনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা দু:খের সাথে লক্ষ্য করেছি অতীতে প্রায় প্রতিিিট নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দিলেও কখনো তা রক্ষা করা হয়নি। তবে, আশা করি এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষা করা হবে। যারা অতীতে জনপ্রতিনিধি হয়ে ও থেকে ধর্মীয় জাতিগত সংখ্যালঘু ও আদিবাসী জনগোষ্ঠীর স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষাভাবে লিপ্ত ছিলেন বা আছেন এমন কাউকে মনোনয়ন না দেওয়ার আহবান জানিয়ে রানা দাসগুপ্ত বলেন, ‘এমন কাউকে প্রার্থী করা হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকায় সংখ্যালঘুদের ভোট দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে হয়না।’ তিনি বলেন, ‘আগামী নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজাকার, স্বাধীনতাবিরোধী ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত পার্লামেন্ট চাই যেখানে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে নীপিড়কের ভ’মিকা পালন করবে না। রাজনীতিকে ব্যাক্তি স্বার্থে ব্যবহার করবে না।’ নির্বাচনকালীন সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সাম্প্রদায়িক সহিংসতাকারীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখানোর জন্য ইসি, সরকার ও সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
একই সঙ্গে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারি প্রতিটি দল ও জোটকে এ বিষয়ে তাদের সুস্পষ্ট প্রতিশ্রুতি দেশবাসীর সামনে ব্যক্ত করার আহবান জানান রানা দাসগুপ্ত। সংগঠনের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ড. নিম চন্দ্র ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত সংবাদ সম্মেলনে অন্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
No comments