এই শীতে সেন্ট মার্টিন: থাকছে রাত্রী যাপনের সুযোগ by নীলয় বিশ্বাস নীল
সেন্ট
মার্টিন, বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ সীমানা। বাংলাদেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ।
স্থানীয় লোকেরা এই দ্বীপকে ডাকে নারিকেল জিঞ্জিরা নামে। বঙ্গোপসাগরের নীল
জলরাশিতে ঘেরা আর নারিকেল গাছের সারি আপনার মন জয় করবেই।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার এবং মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। শহুরে জীবনে ক্লান্ত কিংবা হতাশাগ্রস্ত দিন থেকে মুক্তি পেতে ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন এখানে। প্রকৃতি আপনার ক্লান্ত কিংবা হতাশাগ্রস্ত মনকে করে তুলবে সতেজ ও প্রফুল্ল। আর সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সূবর্ণ সুযোগ এবারই। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এরপর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দিনে ৫শ’ জন যেতে পারবেন। শুধুমাত্র দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসতে হবে। রাত্রি যাপনের সুযোগ থাকছে না সেখানে আর।
ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে সায়েদাবাদ থেকে হানিফ, শ্যামলী, সেন্ট মার্টিনসহ বেশ কয়েকটি পরিবহন ছেড়ে যায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যা ৬/৭টার বাসে উঠলে টেকনাফ গিয়ে ভোরের সূর্যোদয় দেখে নিতে পারবেন। ভাড়া পড়বে বাস ভেদে ৯০০-২০০০ টাকা।
টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার একমাত্র উপায় জাহাজ বা ট্রলার। ট্রলারে যাত্রা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্য টেকনাফ থেকে প্রতিদিন তিনটি জাহাজ ছেড়ে যায়। আপ-ডাউন ভাড়া পড়বে সিট ভেদে ৫০০-৬৫০ টাকা। টিকিট আগে থেকেই কেটে রাখা ভালো। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস সেন্ট মার্টিন যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময় দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটকের ভিড় থাকে। সেই সঙ্গে অগ্রিম হোটেল কিংবা রিসোর্ট বুক করে রাখাটা উত্তম।
জাহাজ মোটামুটি ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ছেড়ে যায়। জাহাজের যাত্রা থেকেই আপনাকে চারদিকের পরিবেশ মুগ্ধ করবে। যাত্রাকালে নাফ নদের বাম দিকে মিয়ানমার আর ডান দিকে বাংলাদেশ। ডান দিকে উঁচু উঁচু পাহাড়ের সারি আর চারদিকের নীল জলরাশি আপনার মনকে করবে পুলকিত। আর জাহাজ চলার খানিক বাদেই সি-গল পাখির ঝাঁকের দেখা পাবেন।
স্রোতের ওপর ভিত্তি করে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে ঘণ্টা দুয়েকের মতো লাগে। জেটিতে পৌঁছানোর আগেই দূর থেকে বিশাল নীল জলরাশি আপনাকে স্বাগত জানাবে। জেটি থেকে সোজা হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন বড় বাজারে। বলে রাখা ভালো এখানে যেকোনো ধরনের মাংস পাওয়া যায় না বললেই চলে। খেতে হলে আপনাকে আগে থেকেই অর্ডার করে রাখতে হবে। সব ধরনের হোটেল কিংবা রেস্তরাঁতে নানা রকম সামুদ্রিক মাছের ছড়াছড়ি দেখবেন। টাটকা ও সতেজ মাছগুলোর স্বাদই আলাদা। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে খাবার আগে দাম শুনে খাওয়াটা ভালো।
দ্বীপের পশ্চিম ও উত্তর পাশের বিচ সব থেকে জনপ্রিয়। কক্সবাজারের মতো এখানে গোসল করার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। লাল পতাকা চিহ্নিত স্থানগুলো বাদ দিয়ে, ভাটার সময়ে গোসল সেরে নিতে পারেন সমুদ্রে। পুরো দ্বীপ যদি ঘুরে দেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে সাইকেল ভাড়া করে পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারেন। বাজারে ৪০ টাকা ঘণ্টা চুক্তি হিসেবে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। পুরো ঘুরতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টার মতো। সেন্ট মার্টিনের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত ছেড়া দ্বীপ। জোয়ারের সময় মূল দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ সমন্বয়ে ছেড়া দ্বীপ গঠিত। স্থানীয়রা ডাকে সেরেদিয়া নামে। জেটি থেকেই ইঞ্জিনচালিত নৌকা কিংবা স্পিড বোট নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ছেড়া দ্বীপ থেকে।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফ উপজেলা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার এবং মিয়ানমার উপকূল থেকে ৮ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত। শহুরে জীবনে ক্লান্ত কিংবা হতাশাগ্রস্ত দিন থেকে মুক্তি পেতে ছুটির দিনে ঘুরে আসতে পারেন এখানে। প্রকৃতি আপনার ক্লান্ত কিংবা হতাশাগ্রস্ত মনকে করে তুলবে সতেজ ও প্রফুল্ল। আর সেন্ট মার্টিন যাওয়ার সূবর্ণ সুযোগ এবারই। পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আগামী বছরের মার্চ মাস থেকে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
এরপর অনলাইনে রেজিস্ট্রেশনের মাধ্যমে দিনে ৫শ’ জন যেতে পারবেন। শুধুমাত্র দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসতে হবে। রাত্রি যাপনের সুযোগ থাকছে না সেখানে আর।
ঢাকা থেকে সেন্ট মার্টিন যেতে সায়েদাবাদ থেকে হানিফ, শ্যামলী, সেন্ট মার্টিনসহ বেশ কয়েকটি পরিবহন ছেড়ে যায় টেকনাফের উদ্দেশ্যে। সন্ধ্যা ৬/৭টার বাসে উঠলে টেকনাফ গিয়ে ভোরের সূর্যোদয় দেখে নিতে পারবেন। ভাড়া পড়বে বাস ভেদে ৯০০-২০০০ টাকা।
টেকনাফ থেকে সেন্ট মার্টিন যাওয়ার একমাত্র উপায় জাহাজ বা ট্রলার। ট্রলারে যাত্রা একটু ঝুঁকিপূর্ণ। সেন্ট মার্টিনের উদ্দেশ্য টেকনাফ থেকে প্রতিদিন তিনটি জাহাজ ছেড়ে যায়। আপ-ডাউন ভাড়া পড়বে সিট ভেদে ৫০০-৬৫০ টাকা। টিকিট আগে থেকেই কেটে রাখা ভালো। নভেম্বর থেকে মার্চ মাস সেন্ট মার্টিন যাওয়ার শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময় দেশি-বিদেশি অনেক পর্যটকের ভিড় থাকে। সেই সঙ্গে অগ্রিম হোটেল কিংবা রিসোর্ট বুক করে রাখাটা উত্তম।
জাহাজ মোটামুটি ১০টা থেকে ১১টার মধ্যে ছেড়ে যায়। জাহাজের যাত্রা থেকেই আপনাকে চারদিকের পরিবেশ মুগ্ধ করবে। যাত্রাকালে নাফ নদের বাম দিকে মিয়ানমার আর ডান দিকে বাংলাদেশ। ডান দিকে উঁচু উঁচু পাহাড়ের সারি আর চারদিকের নীল জলরাশি আপনার মনকে করবে পুলকিত। আর জাহাজ চলার খানিক বাদেই সি-গল পাখির ঝাঁকের দেখা পাবেন।
স্রোতের ওপর ভিত্তি করে সেন্ট মার্টিন পৌঁছাতে ঘণ্টা দুয়েকের মতো লাগে। জেটিতে পৌঁছানোর আগেই দূর থেকে বিশাল নীল জলরাশি আপনাকে স্বাগত জানাবে। জেটি থেকে সোজা হাঁটলেই পৌঁছে যাবেন বড় বাজারে। বলে রাখা ভালো এখানে যেকোনো ধরনের মাংস পাওয়া যায় না বললেই চলে। খেতে হলে আপনাকে আগে থেকেই অর্ডার করে রাখতে হবে। সব ধরনের হোটেল কিংবা রেস্তরাঁতে নানা রকম সামুদ্রিক মাছের ছড়াছড়ি দেখবেন। টাটকা ও সতেজ মাছগুলোর স্বাদই আলাদা। অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে খাবার আগে দাম শুনে খাওয়াটা ভালো।
দ্বীপের পশ্চিম ও উত্তর পাশের বিচ সব থেকে জনপ্রিয়। কক্সবাজারের মতো এখানে গোসল করার কোনো নির্দিষ্ট জায়গা নেই। লাল পতাকা চিহ্নিত স্থানগুলো বাদ দিয়ে, ভাটার সময়ে গোসল সেরে নিতে পারেন সমুদ্রে। পুরো দ্বীপ যদি ঘুরে দেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে সাইকেল ভাড়া করে পুরো দ্বীপ ঘুরে দেখতে পারেন। বাজারে ৪০ টাকা ঘণ্টা চুক্তি হিসেবে সাইকেল ভাড়া পাওয়া যায়। পুরো ঘুরতে সময় লাগবে তিন ঘণ্টার মতো। সেন্ট মার্টিনের সর্বদক্ষিণে অবস্থিত ছেড়া দ্বীপ। জোয়ারের সময় মূল দ্বীপ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। কয়েকটি ছোট ছোট দ্বীপ সমন্বয়ে ছেড়া দ্বীপ গঠিত। স্থানীয়রা ডাকে সেরেদিয়া নামে। জেটি থেকেই ইঞ্জিনচালিত নৌকা কিংবা স্পিড বোট নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন ছেড়া দ্বীপ থেকে।
No comments