কাঁচা-পাকা আমে ভরে উঠেছে পাহাড়ের বাজার by মো. নজরুল ইসলাম
বাজারে তোলার জন্য আম বাছাই করছেন চাষিরা |
আম,
আনারস, লিচুসহ বিভিন্ন ফলজ বাগান সৃজন করে দারিদ্রতা দূর করছেন পাহাড়ের
চাষিরা। বিশেষ করে আম্রপালি ও রাংগোওয়া জাতের আম বাগান কর স্বাবলম্বী
হয়েছেন তারা। এবছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে।
কাঁচা-পাকা আমে ভরে উঠেছে পাহাড়ের বাজার।
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজলার লাইমিপাড়া, ফারুকপাড়া, লাইলুনপি পাড়া, ব্যথনীপাড়া, গ্যাসমনি পাড়া, শ্যারণপাড়া, চিম্বুকসহ, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানছি, লামা, আলীকদমের পাহাড়ের বুকে শত শত একর পাহাড়ি ভূমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান করেছেন চাষিরা।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, বান্দরবান জেলায় এবার ৬হাজার ৯২০ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে আমের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগানে আমের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮১হাজার ৮৪০ মেট্রিকটন।
বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা আমসহ বিভিন্ন ফলজ বাগানের পরিচর্যার পাশাপাশি বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে কাঁচা আম ও পাকা আমে বাজারগুলো ভরে উঠেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন আম কিনতে ওইসব এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন।
চিম্বুক পাহাড়ের আম চাষি পাইরিং ম্রো জানান, চট্টগ্রাম, কেরানিহাট, সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে।
আম্রপালি ও রাংগোওয়া জাতের কাঁচা ও পাকা আমের চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। এ জাতের আম রসালো ও সুস্বাদু। গত কয়েক বছরের তুলনায় জেলার ৭টি উপজেলায় আম্রপালি ও রাংগোওয়া আম চাষের মাধ্যমে কয়েক হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ায় পাহাড়ে জুমচাষের পাশাপাশি আম বাগান করার পেশায় ঝুঁকছেন পাহাড়ের চাষিরা।
বান্দরবান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি চাষিরা নিজেরাই বাগানের কাঁচা ও পাকা আম পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করছেন। কাঁচা আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। আর পাকা আম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দামে বিক্রি করছেন তারা।
থানছির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো জানান, চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি ৫ একর পাহাড়ি জমিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আম্রপালি ও রাংগোওয়া আমের চারা সৃজন করেন। বেশ কয়েক বছর ধরে এ বাগানের আম বিক্রি করছেন। এবছরও ভালো ফলন হয়েছে।
পাইকারি আম ক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন, মো. জাফর ও আবু তাহের বলেন, আমরা প্রতিবছর এখান থেকে কাঁচা ও পাকা আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। এতে আমাদর ভালো লাভ হয়।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে এ জাতের আম গাছ রোপণের কয়েক বছরের মধ্যেই ফলন দেয়। এ আমে পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম হয়। তাছাড়া স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এর চাহিদা বেশি থাকায় এর চাষ প্রতিবছর বাড়ছে। ফলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পাহাড়ের কৃষকরা।’
কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, জেলার সদর উপজলার লাইমিপাড়া, ফারুকপাড়া, লাইলুনপি পাড়া, ব্যথনীপাড়া, গ্যাসমনি পাড়া, শ্যারণপাড়া, চিম্বুকসহ, রুমা, রোয়াংছড়ি, থানছি, লামা, আলীকদমের পাহাড়ের বুকে শত শত একর পাহাড়ি ভূমিতে বিভিন্ন জাতের আমের বাগান করেছেন চাষিরা।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর জানায়, বান্দরবান জেলায় এবার ৬হাজার ৯২০ হেক্টর পাহাড়ি জমিতে আমের বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগানে আমের ভালো ফলন হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৮১হাজার ৮৪০ মেট্রিকটন।
বান্দরবান-চিম্বুক সড়কের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, চাষিরা আমসহ বিভিন্ন ফলজ বাগানের পরিচর্যার পাশাপাশি বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বর্তমানে কাঁচা আম ও পাকা আমে বাজারগুলো ভরে উঠেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা প্রতিদিন আম কিনতে ওইসব এলাকায় ভিড় জমাচ্ছেন।
চিম্বুক পাহাড়ের আম চাষি পাইরিং ম্রো জানান, চট্টগ্রাম, কেরানিহাট, সাতকানিয়া, লোহাগাড়াসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যবসায়ীরা আম কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এই বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমের ফলন ভালো হয়েছে।
আম্রপালি ও রাংগোওয়া জাতের কাঁচা ও পাকা আমের চাহিদা রয়েছে সারাদেশে। এ জাতের আম রসালো ও সুস্বাদু। গত কয়েক বছরের তুলনায় জেলার ৭টি উপজেলায় আম্রপালি ও রাংগোওয়া আম চাষের মাধ্যমে কয়েক হাজার পরিবার স্বাবলম্বী হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে দীর্ঘ মেয়াদী হওয়ায় পাহাড়ে জুমচাষের পাশাপাশি আম বাগান করার পেশায় ঝুঁকছেন পাহাড়ের চাষিরা।
বান্দরবান বাজার ঘুরে দেখা গেছে, ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি চাষিরা নিজেরাই বাগানের কাঁচা ও পাকা আম পাইকারী ও খুচরা বিক্রি করছেন। কাঁচা আম প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা দরে। আর পাকা আম প্রতি কেজি ১২০ থেকে ১৫০ টাকা দামে বিক্রি করছেন তারা।
থানছির সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খামলাই ম্রো জানান, চেয়ারম্যান থাকাকালে তিনি ৫ একর পাহাড়ি জমিতে প্রায় সাড়ে তিন হাজার আম্রপালি ও রাংগোওয়া আমের চারা সৃজন করেন। বেশ কয়েক বছর ধরে এ বাগানের আম বিক্রি করছেন। এবছরও ভালো ফলন হয়েছে।
পাইকারি আম ক্রেতা মো. জসিম উদ্দিন, মো. জাফর ও আবু তাহের বলেন, আমরা প্রতিবছর এখান থেকে কাঁচা ও পাকা আম কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকি। এতে আমাদর ভালো লাভ হয়।
বান্দরবান কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘পাহাড়ে এ জাতের আম গাছ রোপণের কয়েক বছরের মধ্যেই ফলন দেয়। এ আমে পোকা-মাকড়ের আক্রমণও কম হয়। তাছাড়া স্থানীয় বাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এর চাহিদা বেশি থাকায় এর চাষ প্রতিবছর বাড়ছে। ফলে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন পাহাড়ের কৃষকরা।’
বাগান থেকে আম নিয়ে ফিরছেন চাষিরা |
No comments