লঞ্চে ধারণ ক্ষমতার ৩ গুণ যাত্রী by মোরশেদ আলম
ঈদের
সাতদিন পরেও প্রতিটি লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার চাইতে ৩ গুণ বেশি যাত্রী নিয়ে
চাঁদপুর লঞ্চঘাট ত্যাগ করছে। পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল ফিতর উদযাপন শেষে
কর্মমুখী মানুষ তাদের কাজে যোগ দিতে গন্তব্যস্থলে যাওয়ার জন্য শরীয়তপুর
জেলার চরাঞ্চল, রায়পুর, লক্ষ্মীপুর, নোয়াখালী, ফেনী জেলাসহ আশপাশের জেলার
লোকজন যাতায়াতের সহজ পথ নৌ-পথ হওয়ায় বেশিরভাগ মানুষই লঞ্চে যাতায়াত করে। এই
সুযোগে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ তাদের ইচ্ছেমতো যাত্রী নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রা করে
যাচ্ছে। চাঁদপুর-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো ঈদ শেষে
কর্মস্থলের অভিমুখে যাওয়া যাত্রীদের জীবনের দিক বিবেচনা না করে ধারণ
ক্ষমতার বাইরে ২/৩ গুনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ত্যাগ করেছে। যাত্রীরা
গন্তব্যে যাওয়ার জন্য জীবনের দিক বিবেচনা না করেই হুড়োহুড়ি করেই রাতে ও
দিনের বেলায়ও লঞ্চে উঠছে। বৃহস্পতিবার রাতে ও শুক্রবার দিনের বেলায় চাঁদপুর
লঞ্চঘাটের এমন চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে। এতে করে যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের
দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে। লঞ্চগুলোতে উপচে পড়া ভিড়ে যেমন দুর্ঘটনার
ঝুঁকি রয়েছে, তেমনি দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিশু ও নারীসহ যাত্রীদের। এ
অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার জন্য জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, নৌ-পুলিশ,
কোস্টগার্ড ও ঈদ উপলক্ষে দায়িত্বরত স্কাউট বাহিনীর সদস্যরা দেখেও না দেখার
ভান করছে। তারা তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় লঞ্চগুলো অতিরিক্ত
যাত্রী নিয়ে ঢাকা অভিমুখে পাড়ি জমাচ্ছে। তবে অতিরিক্ত যাত্রীর কথা স্বীকার
করেননি বন্দর ও পরিবহন কর্তৃপক্ষ।
বৃহম্পতিবার রাতে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী নৌ-টার্মিনালে অবস্থান করছে। লঞ্চগুলো টার্মিনালে ভিড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠছে বসার জায়গা দখল করার জন্য। যাত্রীরা প্রথম- দ্বিতীয়- তৃতীয় শ্রেণির আসন ও সংরক্ষিত কেবিন না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লঞ্চের নিচের ডেকে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ফ্লোরে চাদর বিছিয়ে ও কেবিনের সামনে করিডোরে হাঁটার রাস্তায় আসন দখল করতে দেখা যাচ্ছে। এতে করে লঞ্চের ভিেতরে তিল ধারণের জায়গা পর্যন্ত নেই। কোনো যাত্রীকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হলে বসা যাত্রীদের পায়ে মাড়িয়ে যেতে হয়। প্রতিটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার বা তার নিচে হলেও লঞ্চগুলো প্রায় ৩ গুনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে গতকাল রাতে এমভি মিতালী-৪, এমভি ইমাম হাসান-১ ও ২, এমভি জমজম-১, তাকওয়া, এমভি ময়ুর-২ ও ৭, সোনার তরীসহ ৮-১০টি লঞ্চকে উপচে পড়া যাত্রী নিয়ে রাতের আঁধারে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ত্যাগ করতে দেখা যায়। যাত্রীদের হুড়োহুড়ি করে উঠতে দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন এ লঞ্চটিতে না উঠলে তাদের জন্য কোনো লঞ্চই আর নৌ-টার্মিনালে আসবে না। তাই তারা জীবনের দিক বিবেচনা না করে জীবনবাজি রেখে লঞ্চে উঠছে। শুক্রবার সরজমিন লঞ্চঘাট গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চগুলোর স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী যাত্রী হলেও ছাড়ছে না। নির্দিষ্ট সময়ে প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে লঞ্চগুলো। সকাল থেকে এমভি সোনার তরী, এমভি রফ রফ, এমভি ঈগল অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে। রামপুর থেকে আসা যাত্রী রাসেল মন্তব্য করেন বলেন, কর্মমুখী মানুষ ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যাবেন- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যেন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে না পড়েন সে বিষয়ে লঞ্চ মালিক ও বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বরতদের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ওই যাত্রী আরো জানান, দিনের চাইতে রাতের বেলা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিটি লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার চাইতে ২-৩ গুন বেশি যাত্রী নিয়ে রাতের অন্ধকারে চাঁদপুর নৌ-সীমানা থেকে পাড়ি দিয়ে পদ্মা-মেঘনা, ধলশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছে। দিনের বেলা লঞ্চগুলো কর্মমুখী অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা দিনের আলোতে সাঁতরিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে বা অন্য কোনো মাধ্যমে জীবন বাঁচানো সম্ভব হলেও রাতের আঁধারে দুর্ঘটনায় পড়লে জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এ রুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলার আংশিক মানুষ এখন এ রুটে যাতায়াত করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এখন কর্মমুখী মানুষগুলো নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য লঞ্চেই যাওয়া শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চে না উঠার জন্য বললেও যাত্রীরা তা শুনছে না। বাধ্য হয়ে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নির্ধারিত সময়ের ২০-৩০ মিনিট পূর্বে ঘাট ত্যাগ করতে হচ্ছে।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানায়, ঈদের পরে তেমন ভিড় ছিল না। হঠাৎ যাত্রী সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাত্রীদের না ওঠার জন্য নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক লঞ্চে উঠছে। এই কারণে নির্দিষ্ট যাত্রীর চাইতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ থাকায় যাত্রী পারাপারের জন্য ২টি ম্পেশাল লঞ্চ দেয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় এমভি-মিতালী-৭ ও দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে এমভি নিউ আল বোরাক-চাঁদপুর থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকা গিয়েছে। শুক্র ও শনিবার এ দুদিন যাত্রী চাপ বেশি থাকবে।
ঈগল, ময়ুর, বোগদাদীয়া, ইমাম হাসান সহ কয়েকটি লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের দায়িত্বরত মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার জানান, যাত্রীরা ইচ্ছে করেই ঈদের পরে না গিয়ে হঠাৎ করে এখন ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। লঞ্চে না উঠার জন্য বারণ করলেও তাদের থামিয়ে রাখা যায় না। তারা জোড় করে লঞ্চে উঠে। যার ফলে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ত্যাগ করছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্বাভাবিকের চাইতে বেশি যাত্রী যাচ্ছে। ওভারলোডিংও হচ্ছে। সেটি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সিডিউল মোতাবেক লঞ্চ না আসায় সীমিত লঞ্চ হওয়ায় আমরা অতিরিক্ত যাত্রী বহনের সুযোগ দিচ্ছি। বর্তমান সময়ে ঈদুল ফিতরের পর অতিরিক্ত যাত্রী বহন অপরাধ হলেও লঞ্চ সীমিত হওয়ায় জরিমানা করা হচ্ছে না।
বৃহম্পতিবার রাতে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, হাজার হাজার যাত্রী নৌ-টার্মিনালে অবস্থান করছে। লঞ্চগুলো টার্মিনালে ভিড়ার সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীরা হুড়োহুড়ি করে লঞ্চে উঠছে বসার জায়গা দখল করার জন্য। যাত্রীরা প্রথম- দ্বিতীয়- তৃতীয় শ্রেণির আসন ও সংরক্ষিত কেবিন না পেয়ে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দেশ্যে লঞ্চের নিচের ডেকে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ফ্লোরে চাদর বিছিয়ে ও কেবিনের সামনে করিডোরে হাঁটার রাস্তায় আসন দখল করতে দেখা যাচ্ছে। এতে করে লঞ্চের ভিেতরে তিল ধারণের জায়গা পর্যন্ত নেই। কোনো যাত্রীকে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হলে বসা যাত্রীদের পায়ে মাড়িয়ে যেতে হয়। প্রতিটি লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার বা তার নিচে হলেও লঞ্চগুলো প্রায় ৩ গুনেরও বেশি যাত্রী নিয়ে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছে। চাঁদপুর লঞ্চঘাট থেকে গতকাল রাতে এমভি মিতালী-৪, এমভি ইমাম হাসান-১ ও ২, এমভি জমজম-১, তাকওয়া, এমভি ময়ুর-২ ও ৭, সোনার তরীসহ ৮-১০টি লঞ্চকে উপচে পড়া যাত্রী নিয়ে রাতের আঁধারে চাঁদপুর নৌ-টার্মিনাল ত্যাগ করতে দেখা যায়। যাত্রীদের হুড়োহুড়ি করে উঠতে দেখে মনে হচ্ছে তারা যেন এ লঞ্চটিতে না উঠলে তাদের জন্য কোনো লঞ্চই আর নৌ-টার্মিনালে আসবে না। তাই তারা জীবনের দিক বিবেচনা না করে জীবনবাজি রেখে লঞ্চে উঠছে। শুক্রবার সরজমিন লঞ্চঘাট গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত সময়ের আগে লঞ্চগুলোর স্বাভাবিক নিয়মানুযায়ী যাত্রী হলেও ছাড়ছে না। নির্দিষ্ট সময়ে প্রায় ২ থেকে আড়াই হাজার যাত্রী নিয়ে ছাড়ছে লঞ্চগুলো। সকাল থেকে এমভি সোনার তরী, এমভি রফ রফ, এমভি ঈগল অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর ঘাট ছেড়েছে। রামপুর থেকে আসা যাত্রী রাসেল মন্তব্য করেন বলেন, কর্মমুখী মানুষ ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে যাবেন- এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু অতিরিক্ত যাত্রী হয়ে যেন দুর্ঘটনার ঝুঁকিতে না পড়েন সে বিষয়ে লঞ্চ মালিক ও বিআইডব্লিউটিএর দায়িত্বরতদের আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। ওই যাত্রী আরো জানান, দিনের চাইতে রাতের বেলা যাত্রীবাহী লঞ্চগুলোতে উপচেপড়া ভিড় পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রতিটি লঞ্চ ধারণ ক্ষমতার চাইতে ২-৩ গুন বেশি যাত্রী নিয়ে রাতের অন্ধকারে চাঁদপুর নৌ-সীমানা থেকে পাড়ি দিয়ে পদ্মা-মেঘনা, ধলশ্বরী ও বুড়িগঙ্গা নদী দিয়ে ঢাকা অভিমুখে যাচ্ছে। দিনের বেলা লঞ্চগুলো কর্মমুখী অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে পারাপারের সময় দুর্ঘটনা ঘটলে যাত্রীরা দিনের আলোতে সাঁতরিয়ে নদী পাড়ি দিয়ে বা অন্য কোনো মাধ্যমে জীবন বাঁচানো সম্ভব হলেও রাতের আঁধারে দুর্ঘটনায় পড়লে জীবন বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়বে।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি রুহুল আমিন জানান, চাঁদপুর-ঢাকা-চাঁদপুর নৌরুটে ভ্রমণ আরামদায়ক হওয়ার কারণে যাত্রীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমানে এ রুটে ২২টি বিলাসবহুল লঞ্চ যাতায়াত করে। চাঁদপুর জেলাসহ পার্শ্ববর্তী জেলা নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর ও শরীয়তপুর জেলার আংশিক মানুষ এখন এ রুটে যাতায়াত করেন। ঈদুল ফিতরের ছুটি শেষে এখন কর্মমুখী মানুষগুলো নিজ গন্তব্যে ফেরার জন্য লঞ্চেই যাওয়া শুরু করেছেন। তিনি আরো জানান, ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত যাত্রী লঞ্চে না উঠার জন্য বললেও যাত্রীরা তা শুনছে না। বাধ্য হয়ে লঞ্চগুলো অতিরিক্ত যাত্রীর কারণে নির্ধারিত সময়ের ২০-৩০ মিনিট পূর্বে ঘাট ত্যাগ করতে হচ্ছে।
লঞ্চ মালিক প্রতিনিধি বিপ্লব সরকার জানায়, ঈদের পরে তেমন ভিড় ছিল না। হঠাৎ যাত্রী সংখ্যা বেড়ে গেছে। যাত্রীদের না ওঠার জন্য নিষেধ করলেও তারা জোরপূর্বক লঞ্চে উঠছে। এই কারণে নির্দিষ্ট যাত্রীর চাইতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে লঞ্চগুলো চাঁদপুর থেকে ছেড়ে যাচ্ছে। যাত্রীর চাপ থাকায় যাত্রী পারাপারের জন্য ২টি ম্পেশাল লঞ্চ দেয়া হয়েছে। দুপুর ১২টায় এমভি-মিতালী-৭ ও দুপুর ১টা ১৫ মিনিটে এমভি নিউ আল বোরাক-চাঁদপুর থেকে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে চাঁদপুর থেকে ঢাকা গিয়েছে। শুক্র ও শনিবার এ দুদিন যাত্রী চাপ বেশি থাকবে।
ঈগল, ময়ুর, বোগদাদীয়া, ইমাম হাসান সহ কয়েকটি লঞ্চের চাঁদপুর ঘাটের দায়িত্বরত মালিক প্রতিনিধি আলী আজগর সরকার জানান, যাত্রীরা ইচ্ছে করেই ঈদের পরে না গিয়ে হঠাৎ করে এখন ঢাকা অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছে। লঞ্চে না উঠার জন্য বারণ করলেও তাদের থামিয়ে রাখা যায় না। তারা জোড় করে লঞ্চে উঠে। যার ফলে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের আগেই ঘাট ত্যাগ করছে।
চাঁদপুর বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্বাভাবিকের চাইতে বেশি যাত্রী যাচ্ছে। ওভারলোডিংও হচ্ছে। সেটি সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। সিডিউল মোতাবেক লঞ্চ না আসায় সীমিত লঞ্চ হওয়ায় আমরা অতিরিক্ত যাত্রী বহনের সুযোগ দিচ্ছি। বর্তমান সময়ে ঈদুল ফিতরের পর অতিরিক্ত যাত্রী বহন অপরাধ হলেও লঞ্চ সীমিত হওয়ায় জরিমানা করা হচ্ছে না।
No comments