বিশ্বকাপ ও সেক্স
বিশ্বকাপ
ফুটবল আর সেক্স যেন একটির সঙ্গে আরেকটি জড়িয়ে পড়েছে। ফুটবলের এই মহারণ
শুরুর আগে থেকে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর জন্য কোচ, ম্যানেজার ও সংশ্লিষ্টরা এ
বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। তারা সাফ জানিয়ে দেন কোনো দেশের খেলোয়াড়রা তাদের
স্ত্রী বা প্রেমিকার সঙ্গে বিশ্বকাপ চলাকালে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে
পারবেন কিনা। এতো গেল খেলোয়াড়দের কথা। তারা থাকেন একটি নীতিনির্ধারণী মহলের
বেষ্টনিতে আবদ্ধ। কিন্তু যেসব ফুটবল ভক্ত বিশ্বকাপের আসরে জড়ো হন তাদের
জন্য থাকে না কোনো বাধা, প্রতিবন্ধকতা। তারা চাইলেই নারীসঙ্গ ভোগ করতে
পারেন। এ জন্য বিশ্বকাপের আসরকে কেন্দ্র করে দেহপসারিণীদের একটি রমরমা
ব্যবসা শুরু হয়ে যায়। অন্য দেশ থেকে দেহব্যবসায়ী নারী, যুবতী আগে থেকে
হোটেল ভাড়া নিয়ে খদ্দেরের মনোরঞ্জনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবার রাশিয়া
বিশ্বকাপে যে এর ব্যতিক্রম হয়েছে তা হলফ করে বলা যায় না। তবে বিদেশী
পর্যটকদের সঙ্গে রাশিয়ার নারী বা যুবতীদের যৌন সম্পর্ক স্থাপন করাকে
কেন্দ্র করে এক তুলকালাম কান্ড ঘটে যাচ্ছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগে সেখানকার
পার্লামেন্টের পরিবার, নারী ও শিশু বিষয়ক কমিটির চেয়ারওম্যান তামারা
প্লেটনিওভা সতর্ক করে দেন নারীদের। বিদেশীদের সঙ্গে তাদের সেক্স নিষিদ্ধ
করেন। তবে তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন রাশিয়ান এমপি মিখাইল দেগতিয়ারিওভ।
আবার তামারার নিষেধাজ্ঞাকে ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির
পুতিন। এমপি মিখাইল দেগতিয়ারিওভ তো প্রকাশ্যে রাশিয়ান নারীদের এক্ষেত্রে
উৎসাহ দিয়েছেন। বলেছেন, ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে সেক্স করো। বিশ্বকাপে যৌন
সম্পর্ক নিয়ে নতুন মাত্রা পাওয়ায় বিষয়টি লুফে নিয়েছে পশ্চিমা মিডিয়া। তাতে
বলা হচ্ছে এমপি মিখাইল দেগতিয়ারিওভ রাশিয়ান নারীদের বলছেন, ফুটবল ভক্তদের
বিছানায় টেনে নাও। তাদেরকে তিনি বলেছেন, সফররত ফুটবল ভক্তদের সঙ্গে যৌন
সম্পর্ক স্থাপন করে রাশিয়ান মেয়েদের সন্তান নেয়া উচিত। এসব সন্তান যখন বড়
হয়ে উঠবে তখন তারা নিজেদেরকে নিয়ে গর্ব করবে। তারা মনে করবে, তারা বিশ্বকাপ
শিশু। এখন থেকে অনেক বছর পরে তারা স্মরণ করবে যে, তাদের পিতামাতা রাশিয়া
বিশ্বকাপ ২০১৮ চলাকালে প্রেমে পড়েছিলেন। সেই সম্পর্ক থেকেই তাদের জন্ম।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে সৌদি আরবকে ৫-০ গোলে হারায় রাশিয়া। তারপর যেন ফুটবল ও
রাশিয়ায় যৌনতা এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। তামারা বা মিখাইল দেগতিয়ারিওভ
পাল্টাপাল্টি অবস্থান নিলেও প্রেসিডেন্ট পুতিন ছিলেন নীরব। কিন্তু তার
মুখপাত্র দমিত্রি মেদভেদেভও এক্ষেত্রে ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,
প্রেসিডেন্ট পুতিন মনে করেন এক্ষেত্রে রাশিয়ান যুবতীদেরকে তাদের নিজেদের
সিদ্ধান্ত নিজেদেরই নিতে দেয়া উচিত। যার অর্থ দাঁড়ায় কোনো যুবতী চাইলেই
বিদেশী কোনো পর্যটকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়তে পারবেন।
No comments