রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে কানাডার অধিকাংশ নাগরিক
মিয়ানমারে
জাতিগত নিধনের শিকার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নিজেদের দেশে আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে
কানাডার অধিকাংশ নাগরিক। এক জরিপে জনগণের ৬২ শতাংশই রোহিঙ্গাদের কানাডায়
আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। কানাডীয় টিভি চ্যানেল সিটিভির পক্ষ
থেকে ওই জরিপের উদ্যোগ নেওয়া হয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'ন্যানোস রিসার্চ'র
তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়। শনিবার (১৬ জুন) ওই জরিপের ফলাফল প্রকাশ
করা হয়।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার এক পর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গার নাম প্রস্তাব করা হলেও মাত্র ৬০০ জনকে ফেরত নিতে চেয়েছে মিয়ানমার। এরমধ্যেই প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যেও একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখানেও নাগরিকত্বের প্রশ্নটির সুরাহা না হওয়ায় চুক্তি নিয়ে হতাশ রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা প্রশ্নে শুরু থেকেই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে কানাডা। মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নিয়োগকৃত বিশেষ দূত বব রে তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন,রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি তাদের জন্য মানবিক সহায়তা জোরদারে কানাডার ভূমিকা রাখা উচিত। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় কানাডার সংশ্লিষ্টতার সুপারিশ করেন বব রে। সম্প্রতি কানাডার ত্রিশটি মানবাধিকার ও মানবিক সহায়তা সংস্থার জোট কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিশেষ দূত বব রে’র প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-সেভেন বৈঠকের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা, সিনেট, হাউজ অফ কমনস এবং কানাডীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া প্রশ্নে সম্প্রতি কানাডীয় টিভি চ্যানেল সিটিভির পক্ষ থেকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'ন্যানোস রিসার্চ' একটি জরিপ পরিচালনা করে। গত ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ১০০০ প্রাপ্তবয়স্ক কানাডীয়’র মধ্যে জরিপটি করা হয়। শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬২ শতাংশ মানুষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে। এরমধ্যে ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন জানিয়েছে, আর বাকি ২৫ শতাংশ ‘মৃদুভাবে সমর্থন’ জানিয়েছেন। এছাড়া ১৮ শতাংশ কানাডীয় সরাসরি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন। আর ১৪ শতাংশ করেছেন ‘মৃদু বিরোধিতা’।
গত বছরের আগস্টে রাখাইনে নিরাপত্তা বাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে হামলার পর রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে পূর্বপরিকল্পিত ও কাঠামোবদ্ধ সহিংসতা জোরালো করে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। খুন, ধর্ষণ ও অগ্নিসংযোগের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে প্রায় সাত লাখ রোহিঙ্গা। আন্তর্জাতিক চাপ জোরালো হওয়ার এক পর্যায়ে প্রত্যাবাসন চুক্তিতে বাধ্য হয় মিয়ানমার। তবে সেই চুক্তির পর বেশ খানিকটা সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও ধোঁয়াশা কাটছে না। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৮ হাজার রোহিঙ্গার নাম প্রস্তাব করা হলেও মাত্র ৬০০ জনকে ফেরত নিতে চেয়েছে মিয়ানমার। এরমধ্যেই প্রত্যাবাসন প্রশ্নে জাতিসংঘ ও মিয়ানমারের মধ্যেও একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখানেও নাগরিকত্বের প্রশ্নটির সুরাহা না হওয়ায় চুক্তি নিয়ে হতাশ রোহিঙ্গারা।
রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা প্রশ্নে শুরু থেকেই সোচ্চার ভূমিকা পালন করে আসছে কানাডা। মিয়ানমার ও বাংলাদেশে রোহিঙ্গা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের পর প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর নিয়োগকৃত বিশেষ দূত বব রে তার প্রতিবেদনে বলেছিলেন,রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে আগ্রহ দেখানোর পাশাপাশি তাদের জন্য মানবিক সহায়তা জোরদারে কানাডার ভূমিকা রাখা উচিত। এছাড়া রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার প্রমাণ সংরক্ষণ প্রক্রিয়ায় কানাডার সংশ্লিষ্টতার সুপারিশ করেন বব রে। সম্প্রতি কানাডার ত্রিশটি মানবাধিকার ও মানবিক সহায়তা সংস্থার জোট কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিশেষ দূত বব রে’র প্রতিবেদনের সুপারিশ বাস্তবায়নের আহ্বান জানায়। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-সেভেন বৈঠকের সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে ভূমিকা রাখার জন্য গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্স কানাডা, সিনেট, হাউজ অফ কমনস এবং কানাডীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানানো হয়।
রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া প্রশ্নে সম্প্রতি কানাডীয় টিভি চ্যানেল সিটিভির পক্ষ থেকে গবেষণা প্রতিষ্ঠান 'ন্যানোস রিসার্চ' একটি জরিপ পরিচালনা করে। গত ৩০ মে থেকে ৩ জুন পর্যন্ত ১০০০ প্রাপ্তবয়স্ক কানাডীয়’র মধ্যে জরিপটি করা হয়। শনিবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ৬২ শতাংশ মানুষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার পক্ষে। এরমধ্যে ৩৭ শতাংশ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে সমর্থন জানিয়েছে, আর বাকি ২৫ শতাংশ ‘মৃদুভাবে সমর্থন’ জানিয়েছেন। এছাড়া ১৮ শতাংশ কানাডীয় সরাসরি রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার উদ্যোগের বিরোধিতা করেছেন। আর ১৪ শতাংশ করেছেন ‘মৃদু বিরোধিতা’।
No comments