ইয়েমেনবাসীর ঈদে দুর্ভিক্ষের ছাপ, দুষ্প্রাপ্য খাদ্যে সৌদি সেনাদের উদযাপন
চলমান
আগ্রাসনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে ইয়েমেনের বন্দর-নগরী হুদাইদা। পালিয়ে নিরাপদ
স্থানে যাওয়ার মতো অর্থ সংস্থানের সামর্থও নেই সেখানকার মানুষের। সেখানকার
হতদরিদ্র মানুষের হাতে নেই খাবার কেনার প্রয়োজনীয় অর্থও। এমন মানবেতর
পরিস্থিতিতে ইয়েমেনের হুদাইদাতে উদযাপিত ঈদুল ফিতরের চিত্র তুলে ধরতে গিয়ে
যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেনট কথা বলেছে আহমেদ আব্দুল্লাহ
নাসের নামের একজন সাধারণ বই বিক্রেতার সঙ্গে। তার সঙ্গে কথোপকথনের ভিত্তিতে
রচিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, হুদাইদাতে আতশবাজি পোড়ানো হয়নি এই ঈদে।
এমনকী জ্বলেনি রাস্তার বাতিও। কারণ বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জেনারেটরে তেল
সরবরাহের সামর্থ নেই হুদাইদাবাসীর। ঈদে মিষ্টি ও উপহার বিনিময় করেছেন কেউ
কেউ সাধ্য মতো। তবে স্থানীয়দের এমন শোচনীয় অবস্থার মধ্যে রেখেই ‘হুথি
বিদ্রোহীদের হাত থেকে তাদের উদ্ধার করতে যাওয়া’ সৌদি সেনারা ঈদ উদযাপন
করেছে মাছ ও শিশা দিয়ে। যুদ্ধবিধস্ত ইয়েমেনে ওই দুটি খাদ্য সামগ্রী এখন
দুর্মূল্য ও দুষ্প্রাপ্য।
হুদাইদাতে থাকা বই বিক্রেতা আহমেদ আব্দুল্লাহ নাসের তার স্ত্রী ও সন্তানদের রাজধানী সানাতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তার ধারণা, সেখানে থাকলে তারা নিরপদ থাকবে। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে তিনি নিঃসঙ্গ। ইন্ডিপেন্ডেন্টকে তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলের বয়স ৫ বছর। চলমান যুদ্ধকে বুঝে নেওয়ার মতো বোধ সে এরইমধ্যে অর্জন করেছে। সে আমার কাছে বিমান হামলা এবং ওই খারাপ লোকগুলোর বিষয়ে জানতে চায়। আমি তাকে বেশি কিছু বলি না। আমি চাই না, সে চিন্তিত হয়ে পড়ুক। আমি আশা করি আমার পাঠানো পোশাক ও মিষ্টি পেয়ে তারা আনন্দিত হয়েছে। এসবের জন্য অর্থ জমানো এখন আর সহজ নয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার পরিবারের ভাগ্য অন্যদের তুলনায় ভালো। হুদাইদার অনেক মানুষ এখন একবেলা খেয়ে থাকে। যুদ্ধের ভেতর থেকে পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা অনেকেই করে, কিন্তু সানাতে যাওয়ার জন্য যে তেল খরচ হবে আর যে পরিবহন ভাড়া লাগবে তা দেওয়ার সাধ্য তাদের নেই।’
গত কয়েকদিনে ইয়েমেনের আধাসামরিক বাহিনী এবং সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের যৌথ বাহিনী হুদাইদার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তারা হুথি বিদ্রোহীদের হাত থেকে শহরটির পুনর্দখল নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন পর্যন্ত শুধু সুইডেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব এনেছে। কিন্তু বরাবরের মতো কুয়েত সেটার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবারেও ইয়েমেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ। অথচ ইয়েমেন সরকারের মুখপাত্র রাজেশ বাডি বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন, ‘গোল্ডেন ভিক্টরি’ নামের অভিযানটি স্থগিত করা হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুথিদের দখল থেকে ইয়েমেনকে উদ্ধার করতে যারা দেশটিকে সহায়তা করছে তারাও যে সবসময় ইয়েমেনর সঙ্গে একমত হয়েই সব করছে, তা নয়। হুদাইদার যুদ্ধকে এখন পর্যন্ত ইয়েমেনে চলা যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোকাবেলা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার ফলাফলের প্রভাব পড়বে পুরো দেশে।
যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে সবার আগে ঝুঁকিতে পড়বে হুদাইদা বন্দর। অথচ ওই বন্দর দিয়েই ইয়েমেনের জন্য ৭০ শতাংশ ত্রাণ পাঠানো হয়। যুদ্ধে যদি ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষের শিকার হুদাইদাবাসী পুরোপুরি অনাহারে থাকতে বাধ্য হবে। ত্রাণ বন্ধ হয়ে গেলে আরও ২ কোটি ৮ লাখ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। আহমেদের জন্য অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ হুদাইদা বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি। বন্দর যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমদানি করা যে বই তিনি বিক্রি করেন তা ইয়েমেনে পৌঁছাবে না। আর পুরো শহর এডেনের মতোই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাবে।
হুদাইদাতে থাকা বই বিক্রেতা আহমেদ আব্দুল্লাহ নাসের তার স্ত্রী ও সন্তানদের রাজধানী সানাতে পাঠিয়ে দিয়েছেন। তার ধারণা, সেখানে থাকলে তারা নিরপদ থাকবে। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে তিনি নিঃসঙ্গ। ইন্ডিপেন্ডেন্টকে তিনি বলেছেন, ‘আমার ছেলের বয়স ৫ বছর। চলমান যুদ্ধকে বুঝে নেওয়ার মতো বোধ সে এরইমধ্যে অর্জন করেছে। সে আমার কাছে বিমান হামলা এবং ওই খারাপ লোকগুলোর বিষয়ে জানতে চায়। আমি তাকে বেশি কিছু বলি না। আমি চাই না, সে চিন্তিত হয়ে পড়ুক। আমি আশা করি আমার পাঠানো পোশাক ও মিষ্টি পেয়ে তারা আনন্দিত হয়েছে। এসবের জন্য অর্থ জমানো এখন আর সহজ নয়।’ তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার পরিবারের ভাগ্য অন্যদের তুলনায় ভালো। হুদাইদার অনেক মানুষ এখন একবেলা খেয়ে থাকে। যুদ্ধের ভেতর থেকে পালিয়ে যাওয়ার চিন্তা অনেকেই করে, কিন্তু সানাতে যাওয়ার জন্য যে তেল খরচ হবে আর যে পরিবহন ভাড়া লাগবে তা দেওয়ার সাধ্য তাদের নেই।’
গত কয়েকদিনে ইয়েমেনের আধাসামরিক বাহিনী এবং সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের যৌথ বাহিনী হুদাইদার বিভিন্ন এলাকায় অবস্থান নিয়েছে। তারা হুথি বিদ্রোহীদের হাত থেকে শহরটির পুনর্দখল নেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে। এখন পর্যন্ত শুধু সুইডেন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে অস্ত্রবিরতির প্রস্তাব এনেছে। কিন্তু বরাবরের মতো কুয়েত সেটার বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। ফলে বৃহস্পতিবারেও ইয়েমেন যুদ্ধ প্রসঙ্গে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ। অথচ ইয়েমেন সরকারের মুখপাত্র রাজেশ বাডি বৃহস্পতিবার ঘোষণা দিয়ে দিয়েছিলেন, ‘গোল্ডেন ভিক্টরি’ নামের অভিযানটি স্থগিত করা হয়েছে। ইন্ডিপেন্ডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুথিদের দখল থেকে ইয়েমেনকে উদ্ধার করতে যারা দেশটিকে সহায়তা করছে তারাও যে সবসময় ইয়েমেনর সঙ্গে একমত হয়েই সব করছে, তা নয়। হুদাইদার যুদ্ধকে এখন পর্যন্ত ইয়েমেনে চলা যুদ্ধের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মোকাবেলা হিসেবে দেখা হচ্ছে, যার ফলাফলের প্রভাব পড়বে পুরো দেশে।
যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে সবার আগে ঝুঁকিতে পড়বে হুদাইদা বন্দর। অথচ ওই বন্দর দিয়েই ইয়েমেনের জন্য ৭০ শতাংশ ত্রাণ পাঠানো হয়। যুদ্ধে যদি ত্রাণ কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত হয় তাহলে ইতোমধ্যেই দুর্ভিক্ষের শিকার হুদাইদাবাসী পুরোপুরি অনাহারে থাকতে বাধ্য হবে। ত্রাণ বন্ধ হয়ে গেলে আরও ২ কোটি ৮ লাখ মানুষের বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে যাবে। আহমেদের জন্য অনেক বড় দুশ্চিন্তার কারণ হুদাইদা বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি। বন্দর যদি বন্ধ হয়ে যায় তাহলে স্কুল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য আমদানি করা যে বই তিনি বিক্রি করেন তা ইয়েমেনে পৌঁছাবে না। আর পুরো শহর এডেনের মতোই অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে যাবে।
No comments