ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব ইউরোপেও -ইকোনোমিস্টের বিশ্লেষণ
গেল
সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ইরান পারমাণবিক চুক্তি থেকে
যুক্তরাষ্ট্রকে সরিয়ে নিয়েছেন। ওই চুক্তি অনুযায়ী, ইরান নিজের পারমাণবিক
প্রকল্প সীমিত করার বিনিময়ে আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি
পায়। ২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্য
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, ফ্রান্স, বৃটেন, রাশিয়ার পাশাপাশি জার্মানি ও ইউরোপীয়
ইউনিয়ন এই চুক্তিতে উপনীত হয়। চুক্তি থেকে আমেরিকার প্রস্থানের সিদ্ধান্ত
একে দুর্বল করে দিয়েছে। এমনও হতে পারে যে চুক্তি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
আমেরিকা চুক্তি থেকে প্রস্থান করায় ইরানের ওপর দেশটির অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপিত হবে। ইরানের সঙ্গে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে তো বটেই। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। লন্ডন-ভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণীতে এসব বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সর্বপ্রথম ২০০৫ সালে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পকে টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। দুই বছর পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে শেষ অবদি ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনা ও পারমাণবিক চুক্তি সইয়ে রাজি করানোর মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার কার্যকরিতা প্রমাণ হয়েছে বলা যেতে পারে। ২০১৬ সালে চুক্তির মাধ্যমে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে ইরানের সমর্থন দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় অনেক ইউরোপিয়ান ও কিছু আমেরিকান কোম্পানি ইরানে বাণিজ্য শুরু করে। তবে এসব কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্ক ছিল। কারণ, ইরানের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ শাখা ইসলামিক রিভুলেশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গে লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। আর এই বিশেষ বাহিনী ইরানের অর্থনীতির বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে পশ্চিমের সঙ্গে ব্যবসা শুরু হলেও, ইরানে দীর্ঘমেয়াদী বড় বিনিয়োগ তেমন একটা করেনি পশ্চিমারা।
আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর উদ্বেগের কারণ হলো, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যখন কোনো অবরোধ আরোপ করে, তখন এই অবরোধ মেনে চলা ইউরোপের কোম্পানি ও নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা একটু ভিন্ন। আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার প্রাথমিক স্তর আমেরিকান নাগরিক ও কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে কোনো আমেরিকান কোম্পানি ও নাগরিক যেই দেশের ওপর অবরোধ আরোপিত হয়েছে সেই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারেন না। পাশাপাশি ওই দেশের নাগরিকদের বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এসব নিষেধাজ্ঞায় প্রায়ই দ্বিতীয় একটি স্তর থাকে। এই স্তরের আওতায় পড়ে অ-আমেরিকান ব্যক্তিবিশেষ বা কোম্পানি। এই দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞার মানে হলো, কোনো অ-আমেরিকান কোম্পানি যদি লেনদেনের জন্য ডলার ব্যবহার করে থাকে, বা আমেরিকায় ওই কোম্পানির যদি কোনো অঙ্গপ্রতিষ্ঠান থেকে থাকে, বা ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে যদি আমেরিকানরা থাকেন, তাহলে ওই কোম্পানিকেও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে।
ইরানের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় এই দুইটি স্তরই রয়েছে। ইউরোপিয়ান যেসব কোম্পানির ইরানে কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগেরই আমেরিকায়ও কার্যক্রম রয়েছে। ফলে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা তাদের ওপরও প্রযোজ্য। এ কারণে বেশ কিছু ইউরোপিয়ান কোম্পানি এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেতে আমেরিকায় আবেদন করবে। যেমন, ইরানে একটি বিশাল গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নে জড়িত ফরাসি কোম্পানি টোটালও নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পাওয়ার আবেদন করছে।
কিছু কোম্পানি আবার ডলারের বদলে ইরানের সঙ্গে ইউরোতে লেনদেন করার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পাবে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির সামনেই একটাই পথ খোলা থাকবে: হয় আমেরিকায় ব্যবসা চালাও, নয়তো ইরানে চালাও, যেকোনো একটা। স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ ইউরোপিয়ান কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ আমেরিকায় বেশি। তাই তারা আমেরিকাকেই বেছে নিতে চাইবে। কিন্তু কোনো কোম্পানি যদি ইরানকেই বেছে নেয়, সেক্ষেত্রেও ব্যংকিং লেনদেনে সমস্যা পোহাতে হবে। কারণ, বৈধ হলেও অনেক লেনদেন ছাড় দিতে পশ্চিমা ব্যাংকগুলো অস্বস্তিতে থাকবে।
আমেরিকার অবরোধের বিপরীতে কিছু করার সুযোগ ইউরোপের কম। একটি উপায় হলো, ২২ বছর পুরোনো একটি প্রবিধান পুনর্জ্জীবিত করা। ওই প্রবিধান চালু হলে, ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য আমেরিকার দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলাকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর সামনে দুইটি পথ খোলা থাকবে। এক. এই প্রবিধান অগ্রাহ্য করে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা। দুই. এই প্রবিধান মেনে চলার মাধ্যমে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘণ করা।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপ জুড়ে এই প্রবিধান প্রয়োগ করার জন্য প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রকে নিজ নিজ দেশে একটি আইন পাশ করাতে হবে। কিন্তু খুব কম দেশই ওই আইন পাশ করেছে। ফলে আদৌ এই প্রবিধান প্রয়োগ করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
আবার এই প্রবিধান মেনে না চলে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির ইউরোপে তেমন একটা নেই। শুধুমাত্র অস্ট্রিয়া একবার ২০০৭ সালে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে এই প্রবিধান মেনে না চলায় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে আদালতে আর লড়াই হয়নি।
আমেরিকা চুক্তি থেকে প্রস্থান করায় ইরানের ওপর দেশটির অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা পুনরায় আরোপিত হবে। ইরানের সঙ্গে আমেরিকান কোম্পানিগুলোর লেনদেন বন্ধ হয়ে যাবে তো বটেই। পাশাপাশি ইউরোপিয়ান ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর কপালেও চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। লন্ডন-ভিত্তিক ম্যাগাজিন দ্য ইকোনমিস্টের এক বিশ্লেষণীতে এসব বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, সর্বপ্রথম ২০০৫ সালে ইরানের পারমাণবিক প্রকল্পকে টার্গেট করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রকল্পের সঙ্গে সম্পৃক্ত ব্যক্তিবিশেষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ। দুই বছর পর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও এই ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে শেষ অবদি ইরানকে আলোচনার টেবিলে আনা ও পারমাণবিক চুক্তি সইয়ে রাজি করানোর মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞার কার্যকরিতা প্রমাণ হয়েছে বলা যেতে পারে। ২০১৬ সালে চুক্তির মাধ্যমে ওই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়। তবে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদে ইরানের সমর্থন দেওয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার হওয়ায় অনেক ইউরোপিয়ান ও কিছু আমেরিকান কোম্পানি ইরানে বাণিজ্য শুরু করে। তবে এসব কোম্পানি ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সতর্ক ছিল। কারণ, ইরানের সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ শাখা ইসলামিক রিভুলেশনারি গার্ড কর্পসের সঙ্গে লেনদেনের ওপর নিষেধাজ্ঞা বহাল ছিল। আর এই বিশেষ বাহিনী ইরানের অর্থনীতির বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। এ কারণে পশ্চিমের সঙ্গে ব্যবসা শুরু হলেও, ইরানে দীর্ঘমেয়াদী বড় বিনিয়োগ তেমন একটা করেনি পশ্চিমারা।
আমেরিকার আরোপিত নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর উদ্বেগের কারণ হলো, এই নিষেধাজ্ঞা শুধু আমেরিকান কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নয়। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন যখন কোনো অবরোধ আরোপ করে, তখন এই অবরোধ মেনে চলা ইউরোপের কোম্পানি ও নাগরিকদের জন্য বাধ্যতামূলক। তবে আমেরিকান নিষেধাজ্ঞা একটু ভিন্ন। আমেরিকান নিষেধাজ্ঞার প্রাথমিক স্তর আমেরিকান নাগরিক ও কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে কোনো আমেরিকান কোম্পানি ও নাগরিক যেই দেশের ওপর অবরোধ আরোপিত হয়েছে সেই দেশের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারেন না। পাশাপাশি ওই দেশের নাগরিকদের বা বিশেষ কোনো ব্যক্তির সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। এসব নিষেধাজ্ঞায় প্রায়ই দ্বিতীয় একটি স্তর থাকে। এই স্তরের আওতায় পড়ে অ-আমেরিকান ব্যক্তিবিশেষ বা কোম্পানি। এই দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞার মানে হলো, কোনো অ-আমেরিকান কোম্পানি যদি লেনদেনের জন্য ডলার ব্যবহার করে থাকে, বা আমেরিকায় ওই কোম্পানির যদি কোনো অঙ্গপ্রতিষ্ঠান থেকে থাকে, বা ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে যদি আমেরিকানরা থাকেন, তাহলে ওই কোম্পানিকেও আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলতে হবে।
ইরানের ক্ষেত্রে আরোপিত নিষেধাজ্ঞায় এই দুইটি স্তরই রয়েছে। ইউরোপিয়ান যেসব কোম্পানির ইরানে কার্যক্রম রয়েছে, সেগুলোর বেশিরভাগেরই আমেরিকায়ও কার্যক্রম রয়েছে। ফলে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা তাদের ওপরও প্রযোজ্য। এ কারণে বেশ কিছু ইউরোপিয়ান কোম্পানি এই নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পেতে আমেরিকায় আবেদন করবে। যেমন, ইরানে একটি বিশাল গ্যাসক্ষেত্র উন্নয়নে জড়িত ফরাসি কোম্পানি টোটালও নিষেধাজ্ঞা থেকে ছাড় পাওয়ার আবেদন করছে।
কিছু কোম্পানি আবার ডলারের বদলে ইরানের সঙ্গে ইউরোতে লেনদেন করার মাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা থেকে রেহাই পাবে। তবে বেশিরভাগ কোম্পানির সামনেই একটাই পথ খোলা থাকবে: হয় আমেরিকায় ব্যবসা চালাও, নয়তো ইরানে চালাও, যেকোনো একটা। স্বাভাবিকভাবেই বেশিরভাগ ইউরোপিয়ান কোম্পানির ব্যবসায়িক স্বার্থ আমেরিকায় বেশি। তাই তারা আমেরিকাকেই বেছে নিতে চাইবে। কিন্তু কোনো কোম্পানি যদি ইরানকেই বেছে নেয়, সেক্ষেত্রেও ব্যংকিং লেনদেনে সমস্যা পোহাতে হবে। কারণ, বৈধ হলেও অনেক লেনদেন ছাড় দিতে পশ্চিমা ব্যাংকগুলো অস্বস্তিতে থাকবে।
আমেরিকার অবরোধের বিপরীতে কিছু করার সুযোগ ইউরোপের কম। একটি উপায় হলো, ২২ বছর পুরোনো একটি প্রবিধান পুনর্জ্জীবিত করা। ওই প্রবিধান চালু হলে, ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর জন্য আমেরিকার দ্বিতীয় স্তরের নিষেধাজ্ঞা মেনে চলাকে অবৈধ ঘোষণা করা হবে। সেক্ষেত্রে ইউরোপিয়ান কোম্পানিগুলোর সামনে দুইটি পথ খোলা থাকবে। এক. এই প্রবিধান অগ্রাহ্য করে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চলা। দুই. এই প্রবিধান মেনে চলার মাধ্যমে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘণ করা।
কিন্তু বাস্তবতা হলো, ইউরোপ জুড়ে এই প্রবিধান প্রয়োগ করার জন্য প্রত্যেক সদস্য রাষ্ট্রকে নিজ নিজ দেশে একটি আইন পাশ করাতে হবে। কিন্তু খুব কম দেশই ওই আইন পাশ করেছে। ফলে আদৌ এই প্রবিধান প্রয়োগ করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ আছে।
আবার এই প্রবিধান মেনে না চলে আমেরিকার নিষেধাজ্ঞা মেনে চললে কোনো কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নজির ইউরোপে তেমন একটা নেই। শুধুমাত্র অস্ট্রিয়া একবার ২০০৭ সালে একটি কোম্পানির বিরুদ্ধে এই প্রবিধান মেনে না চলায় ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু তা নিয়ে আদালতে আর লড়াই হয়নি।
No comments