চট্টগ্রামে পাহাড় থেকে ঝুঁকিপূর্ণ বসতি উচ্ছেদে অভিযান
ধস
ও প্রাণহানি এড়াতে চট্টগ্রাম মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে
ঝুঁকিপূর্ণভাবে থাকা অবৈধ বসবাসকারীদের উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম
জেলা প্রশাসন। রোববার সকালে নগরীর বায়েজিদ থানার আকবর শাহ এলাকায় অভিযান
চালায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ জোবাইর আহমেদ।
প্রথম দিনের অভিযানে ১৫টি বসতি উচ্ছেদ করতে পেরেছেন বলে জানান তিনি। তিনি
বলেন, আকবর শাহ থানার রেলওয়ে কলোনি এলাকায় ৮-১০টি পাহাড়ে দেড় থেকে দু’শ’
ঝুঁকিপূর্ণ বসতঘর রয়েছে, যা আমরা উচ্ছেদ করা শুরু করেছি। গতকাল প্রথমদিনে
১৫টির মতো বসতঘর উচ্ছেদ করেছি। তিনি জানান, উচ্ছেদ অভিযানে প্রথমে বিদ্যুৎ,
গ্যাস, পানির সব লাইন কেটে দেয়া হয়েছে। এরপর বসতঘর থেকে বসতিদের
সাংসারিক জিনিসিপত্র সরানো হয়েছে। এরপর বসতঘর ভেঙ্গে তার উপকরণ সুনির্দিষ্ট
স্থানে সংরক্ষণ করা হয়েছে। ফলে একটি বসতঘর উচ্ছেদ করতে অনেকটা সময় লাগছে।
তিনি বলেন, পাহাড়গুলোতে প্রভাবশালীদের সহায়তায় নিম্ন আয়ের লোকজন অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলে। তবে অভিযানে প্রভাবশালী মহল এবার কোনো প্রভাবই খাটাতে পারেনি। কারণ অভিযানে পুলিশ, আনসার সদস্যরাসহ কেজিডিসিএল, পিডিবি, চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মীরা সহযোগিতা করছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা নিজেরাও গুটিয়ে গেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন জানান, চট্টগ্রামের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতিমধ্যে ৩০টি পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাহাড়গুলো হলো- সিআরবি পাহাড়ের পাদদেশ, টাইগারপাস-লালখান বাজার রোড সংলগ্ন পাহাড়, টাইগারপাস মোড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ, মোজাফফর নগর পাহাড়, কাট্টলি থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত পাহাড়, সলিমপুর বাস্তুহারা পাহাড়, প্রবর্তক পাহাড়, গোলপাহাড়, ইসপাহানি পাহাড়, বন গবেষণাগার ও বন গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পাহাড়, জয়পাহাড়, চট্টেশ্বরী হিল, মতি ঝর্ণা ও বাটালি হিল সংলগ্ন পাহাড়, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ গার্লস স্কুল সংলগ্ন পাহাড়, ফয় স’ লেক আবাসিক এলাকা পাহাড়, জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন পাহাড়, গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের পাশের বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন পাহাড়, ডিসি হিলের চেরাগী পাহাড়ের দিকের ফুলের দোকানের অংশ, পরিবেশ অধিদপ্তর সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের পাহাড়, একে খান অ্যান্ড কোং পাহাড়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন পাহাড়, কৈবল্যধামের বিশ্ব কলোনির পাহাড়, মিয়ার পাহাড়, লালখান বাজার চান্দমারি রোড সংলগ্ন জামেয়াতুল উলুম ইসলামি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের পাহাড়, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট একাডেমির উত্তর পাশের মীর মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন পাহাড়, ইসপাহানি পাহাড় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের হারুন খানের মালিকানাধীন পাহাড়ের পশ্চিমাংশ, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা সংলগ্ন পাহাড়, লেক সিটি আবাসিক এলাকার পাহাড় ও সিডিএ অ্যাভিনিউ রোডের পাশে অবস্থিত ব্লোসম গার্ডেন সংলগ্ন পাহাড়।
তিনি বলেন, এসব পাহাড়ের মধ্যে ১৩টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পাহাড়ের সব বসতি অবৈধ। কয়েকজন ব্যক্তি পাহাড় কেটে এসব বসতি নির্মাণ করেছেন। যেগুলোতে কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
পহাড় ধসের প্রাণহানির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১১ই জুন নগরীর সাত স্থানে সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ১৯৯৯ সালের ১৩ই আগস্ট চট্টগ্রামের সিআরবি পাহাড়ের একাংশের সীমানা প্রাচীরসহ পাহাড় ধসে মারা যান ১০ জন। ২০০০ সালের ২৪শে জুন চবি ক্যামপাসের আবাসিক এলাকাসহ নগরীতে পাহাড় ধসে ১৩ জন।
২০০৮ সালের ১৮ই আগস্ট মতিঝর্ণায় পাহাড় ধসে ১১ জন। ২০১১ সালের ১লা জুলাই বাটালি হিলের প্রতিরক্ষা দেওয়াল ধসে ১৭ জন। ২০১২ সালের ২৬শে জুন নগরীর ৪ স্থানে পাহাড় ধসে ১৮ জন। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি খুলশী থানার ইসপাহানি গোলপাহাড় ধসে একজন। ২৮শে জুলাই লালখান বাজারের টাংকির পাহাড় ধসে দুইজন মারা যায়।
২০১৪ সালের ১৮ই জুলাই ঈদুল-ফিতরের রাতে দুই স্থানে পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জন এবং ২০১৫ সালের ১৯শে জুলাই এবং ২১শে সেপ্টেম্বর পাহাড় ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতি যাতে আর না আসে তাই এবার বর্ষার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বসতিগুলোকে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
তিনি বলেন, পাহাড়গুলোতে প্রভাবশালীদের সহায়তায় নিম্ন আয়ের লোকজন অবৈধভাবে বসতি গড়ে তোলে। তবে অভিযানে প্রভাবশালী মহল এবার কোনো প্রভাবই খাটাতে পারেনি। কারণ অভিযানে পুলিশ, আনসার সদস্যরাসহ কেজিডিসিএল, পিডিবি, চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মীরা সহযোগিতা করছেন। অবস্থা বেগতিক দেখে তারা নিজেরাও গুটিয়ে গেছেন।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ইলিয়াছ হোসেন জানান, চট্টগ্রামের পাহাড় ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতিমধ্যে ৩০টি পাহাড়কে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। পাহাড়গুলো হলো- সিআরবি পাহাড়ের পাদদেশ, টাইগারপাস-লালখান বাজার রোড সংলগ্ন পাহাড়, টাইগারপাস মোড়ের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ, মোজাফফর নগর পাহাড়, কাট্টলি থেকে সীতাকুণ্ড পর্যন্ত পাহাড়, সলিমপুর বাস্তুহারা পাহাড়, প্রবর্তক পাহাড়, গোলপাহাড়, ইসপাহানি পাহাড়, বন গবেষণাগার ও বন গবেষণা ইনস্টিটিউট সংলগ্ন পাহাড়, জয়পাহাড়, চট্টেশ্বরী হিল, মতি ঝর্ণা ও বাটালি হিল সংলগ্ন পাহাড়, রেলওয়ে এমপ্লয়িজ গার্লস স্কুল সংলগ্ন পাহাড়, ফয় স’ লেক আবাসিক এলাকা পাহাড়, জালালাবাদ হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন পাহাড়, গরীবুল্লাহ শাহ মাজারের পাশের বায়তুল আমান হাউজিং সোসাইটি সংলগ্ন পাহাড়, ডিসি হিলের চেরাগী পাহাড়ের দিকের ফুলের দোকানের অংশ, পরিবেশ অধিদপ্তর সংলগ্ন সিটি করপোরেশনের পাহাড়, একে খান অ্যান্ড কোং পাহাড়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মালিকানাধীন পাহাড়, কৈবল্যধামের বিশ্ব কলোনির পাহাড়, মিয়ার পাহাড়, লালখান বাজার চান্দমারি রোড সংলগ্ন জামেয়াতুল উলুম ইসলামি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের পাহাড়, ফরেস্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউট একাডেমির উত্তর পাশের মীর মোহাম্মদ হাসানের মালিকানাধীন পাহাড়, ইসপাহানি পাহাড় সংলগ্ন দক্ষিণ পাশের হারুন খানের মালিকানাধীন পাহাড়ের পশ্চিমাংশ, নাসিরাবাদ শিল্প এলাকা সংলগ্ন পাহাড়, লেক সিটি আবাসিক এলাকার পাহাড় ও সিডিএ অ্যাভিনিউ রোডের পাশে অবস্থিত ব্লোসম গার্ডেন সংলগ্ন পাহাড়।
তিনি বলেন, এসব পাহাড়ের মধ্যে ১৩টি অতি ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এসব পাহাড়ের সব বসতি অবৈধ। কয়েকজন ব্যক্তি পাহাড় কেটে এসব বসতি নির্মাণ করেছেন। যেগুলোতে কয়েকটি ধাপে বিভক্ত করে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
পহাড় ধসের প্রাণহানির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ২০০৭ সালের ১১ই জুন নগরীর সাত স্থানে সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। এতে ১২৭ জনের মৃত্যু হয়। এর আগে ১৯৯৯ সালের ১৩ই আগস্ট চট্টগ্রামের সিআরবি পাহাড়ের একাংশের সীমানা প্রাচীরসহ পাহাড় ধসে মারা যান ১০ জন। ২০০০ সালের ২৪শে জুন চবি ক্যামপাসের আবাসিক এলাকাসহ নগরীতে পাহাড় ধসে ১৩ জন।
২০০৮ সালের ১৮ই আগস্ট মতিঝর্ণায় পাহাড় ধসে ১১ জন। ২০১১ সালের ১লা জুলাই বাটালি হিলের প্রতিরক্ষা দেওয়াল ধসে ১৭ জন। ২০১২ সালের ২৬শে জুন নগরীর ৪ স্থানে পাহাড় ধসে ১৮ জন। ২০১৩ সালের ৯ জানুয়ারি খুলশী থানার ইসপাহানি গোলপাহাড় ধসে একজন। ২৮শে জুলাই লালখান বাজারের টাংকির পাহাড় ধসে দুইজন মারা যায়।
২০১৪ সালের ১৮ই জুলাই ঈদুল-ফিতরের রাতে দুই স্থানে পাহাড় ও দেয়াল ধসে পাঁচ শিশুসহ ছয়জন এবং ২০১৫ সালের ১৯শে জুলাই এবং ২১শে সেপ্টেম্বর পাহাড় ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়। এমন পরিস্থিতি যাতে আর না আসে তাই এবার বর্ষার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ ও অবৈধ বসতিগুলোকে উচ্ছেদ অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
No comments