নতুন কোনো পারমাণবিক চুক্তি মেনে নেবে না ইরান
বিশ্ব
শক্তিদের সঙ্গে নতুন কোনো চুক্তিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, আমাদের জেসিপিও এ নামে একটি
চুক্তি স্বাক্ষরিত রয়েছে। এই চুক্তি অব্যাহত রাখলে তা পুরোপুরি কার্যকর
করতে হবে। অথবা পুরোপুরি বাতিল করতে হবে।’ ওয়াশিংটনে ফরাসি প্রেসিডেন্ট
ইমানুয়েল ম্যাক্রোন ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া নতুন
চুক্তির ইঙ্গিতের প্রেক্ষিতে বুধবার এই ঘোষণা দিলেন রুহানি। এ খবর দিয়েছে
বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তির সম্ভাবনার কথা জানান এই দুই নেতা। তারা আরো ইরানের ওপর কঠোর বিধি নিষেধ সম্বলিত নতুন চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ট্রাম্প বর্তমান চুক্তিকে ‘বিকৃত’ ও ‘হাস্যকর’ আখ্যা দেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভাষণ দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, জেসিপিওএ’র বাইরে তারা বিশ্ব শক্তিদের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবেন না। ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে রুহানি বলেন, রাজনীতি, আইন বা আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়ে আপনার কোনো জ্ঞান নেই। আপনি একজন বণিক, ব্যবসায়ী। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কিভাবে মূল্যায়ন করবেন! ইরানের তাবরিজ শহরে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় এসব কথা বলেন রুহানি।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পাঁচ দেশই ইরানের সঙ্গে চুক্তি অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছে, ইরান চুক্তির শর্ত মেনে চলছে। কিন্তু ট্রাম্প বরাবরই এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন। তার মতে, চুক্তি অনুযায়ী ইরানের ওপর যে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তিনি আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পক্ষপাতী। চুক্তি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জোট ও সংস্থা। বুধবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি চুক্তি অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা পরে দেখা যাবে। আমাদের ইতিমধ্যেই একটি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। এটা কাজেও দিচ্ছে। আমাদের উচিত এটি অব্যাহত রাখা।’ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাশিয়াও চুক্তির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেন, আমরা মনে করি, ইরানের সঙ্গে চুক্তি অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে ওই চুক্তি থেকে না বেরুনোর আহ্বান জানাতে পারেন। ওদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে তেহরান ওই চুক্তির বেশির ভাগই উপেক্ষা করবে।
সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন চুক্তির সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি বলেন, নতুন চুক্তিতে অবশ্যই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়টি থাকতে হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভূমিকা কি হবে তাও থাকতে হবে। কিন্তু ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী এই নতুন চুক্তির বৈধতার দিকে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি সাত-পক্ষীয় চুক্তির মধ্যস্থতা করার কোনো অধিকার তাদের নেই। এমনকি তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রামপকে বৈশ্বিক কোনো চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করার উপযুক্তও মনে করেন না বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়টি দেশ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে একটি চুক্তি করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে। ২০১৫ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তির অধীনে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ শিথিল করা হয়।
খবরে বলা হয়, মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন সফররত ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ইরানের সঙ্গে নতুন চুক্তির সম্ভাবনার কথা জানান এই দুই নেতা। তারা আরো ইরানের ওপর কঠোর বিধি নিষেধ সম্বলিত নতুন চুক্তির বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন। ট্রাম্প বর্তমান চুক্তিকে ‘বিকৃত’ ও ‘হাস্যকর’ আখ্যা দেন। এর প্রেক্ষিতে বুধবার ভাষণ দেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। তিনি বলেন, জেসিপিওএ’র বাইরে তারা বিশ্ব শক্তিদের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে যাবেন না। ট্রাম্পের উদ্দেশ্যে রুহানি বলেন, রাজনীতি, আইন বা আন্তর্জাতিক চুক্তির বিষয়ে আপনার কোনো জ্ঞান নেই। আপনি একজন বণিক, ব্যবসায়ী। বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো কিভাবে মূল্যায়ন করবেন! ইরানের তাবরিজ শহরে একটি অনুষ্ঠানে ভাষণ দেয়ার সময় এসব কথা বলেন রুহানি।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী বাকি পাঁচ দেশই ইরানের সঙ্গে চুক্তি অব্যাহত রাখার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা বলেছে, ইরান চুক্তির শর্ত মেনে চলছে। কিন্তু ট্রাম্প বরাবরই এই বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে আসছেন। তার মতে, চুক্তি অনুযায়ী ইরানের ওপর যে বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে তা যথেষ্ট নয়। তিনি আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পক্ষপাতী। চুক্তি অব্যাহত রাখার অনুরোধ জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক জোট ও সংস্থা। বুধবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রধান ফেডেরিকা মোঘেরিনি চুক্তি অব্যাহত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, ‘ভবিষ্যতে কি ঘটবে তা পরে দেখা যাবে। আমাদের ইতিমধ্যেই একটি চুক্তি কার্যকর রয়েছে। এটা কাজেও দিচ্ছে। আমাদের উচিত এটি অব্যাহত রাখা।’ বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে এক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। রাশিয়াও চুক্তির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেস্কভ বলেন, আমরা মনে করি, ইরানের সঙ্গে চুক্তি অব্যাহত রাখার কোনো বিকল্প নেই। এ ছাড়া শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাচ্ছেন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি শেষ মুহূর্তে ট্রাম্পকে ওই চুক্তি থেকে না বেরুনোর আহ্বান জানাতে পারেন। ওদিকে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেছেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করে নেয় তাহলে তেহরান ওই চুক্তির বেশির ভাগই উপেক্ষা করবে।
সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোন রাষ্ট্রীয় সফরে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন চুক্তির সম্ভাবনার কথা জানান। তিনি বলেন, নতুন চুক্তিতে অবশ্যই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির বিষয়টি থাকতে হবে এবং মধ্যপ্রাচ্যে তাদের ভূমিকা কি হবে তাও থাকতে হবে। কিন্তু ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানী এই নতুন চুক্তির বৈধতার দিকে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেছেন, একটি সাত-পক্ষীয় চুক্তির মধ্যস্থতা করার কোনো অধিকার তাদের নেই। এমনকি তিনি প্রেসিডেন্ট ট্রামপকে বৈশ্বিক কোনো চুক্তি নিয়ে মন্তব্য করার উপযুক্তও মনে করেন না বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়টি দেশ ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি ইস্যুতে একটি চুক্তি করেন ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে। ২০১৫ সালে সম্পাদিত ওই চুক্তির অধীনে ইরানের ওপর থেকে অর্থনৈতিক অবরোধ শিথিল করা হয়।
No comments