গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশ ১৪৬তম
গণমাধ্যমের
স্বাধীনতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক সূচক ‘ওয়ার্ল্ড প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৮’তে
১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৪৬তম। আগের বছরেও একই অবস্থানে ছিল
বাংলাদেশের অবস্থান। বিশ্বজুড়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করা
প্যারিসভিত্তিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স বা রিপোর্টার্স স্যানস
ফ্রন্টিয়ার্স (আরএসএফ) এই সূচক প্রকাশ করেছে। এইবারের সূচকের শীর্ষে রয়েছে
নরওয়ে। আর সূচকের একেবারে শেষে রয়েছে উত্তর কোরিয়া।
সূচক অনুসারে, বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থানে পরিবর্তন না এলেও নির্যাতন বিষয়ক (এবিউজ) স্কোরে পরিবর্তন এসেছে। গত বছর বাংলাদেশের এবিউজ স্কোর ছিল ১০০ থেকে ৪৮.৩৬। এই বছরের সূচকে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৩০-এ। এর অর্থ হচ্ছে, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে আরএসএফ এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান বা ইসলামের সমালোচনা করা একটি খারাপ আইডিয়া। যদিও দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ। এই বিষয়গুলোর সমালোচনা করা সাংবাদিক বা ব্লগাররা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে থাকেন। এদেশের গণমাধ্যম বহুমুখী হলেও সাংবাদিক ও মিডিয়া আউটলেটের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং এসব সহিংসতার জন্য দায়ীদের দায়মুক্তির কারণে গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ‘সেলফ-সেন্সরশিপের’ পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আওতায় কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিক এবং কয়েক শ’ ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই আইন অনুসারে, অনলাইনে ধর্মের সমালোচনা বা মানহানিকর কোনো কিছু অনলাইনে পোস্ট করা নিষিদ্ধ। এই আইন সংশোধনের বদলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৮ সালের শুরুর দিকে নতুন একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাব রাখে। প্রস্তাবিত এই আইন অনুসারে, কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীদের ওপর আরো সহজে নির্যাতন চালাতে পারবে।
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৮’র শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে যথাক্রমে- নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড। সূচকের একেবারে নিচে অবস্থানকারী পাঁচ দেশ হচ্ছে যথাক্রমে- চীন, সিরিয়া, তুর্কিমিনিস্তান, ইরিত্রিয়া ও উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া, গত বছরের মতো এবারও যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৪০তম। অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ নিচে নেমে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৫তম। এদিকে, ভারতের অবস্থান ১৩৮তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১৩৯তম, মিয়ানমারের অবস্থান ১৩৭তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩১তম, আফগানিস্তানের অবস্থান ১১৮তম, রাশিয়ার অবস্থান ১৪৮তম, সৌদি আরবের অবস্থান ১৬৯তম ও ইসরাইলের অবস্থান ৮৭তম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়কে সূচকের বিশ্লেষণে আরএসএফ বলেছে, এইবারের সূচক এটার প্রতিফলন ঘটায় যে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতারা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হিংস্রতাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো এমন ধারণা প্রচারের চেষ্টা করছে যে, সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। গণমাধ্যমের প্রতি হিংস্রতা কেবল তুরস্ক (১৫৭) ও মিশরের (১৬১) মতন গুটিকয়েক স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোতেই আবদ্ধ নেই। এই হিংস্রতা ছড়িয়ে পড়ছে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও। নতুন নির্বাচিত নেতারা গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করেন না। যুক্তরাষ্ট্রের মতন দেশে, যেখানে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, সেদেশও ডনাল্ড ট্রামপ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তা সূচকে দুই ধাপ নিচে নেমে এসেছে। ট্রামপ সাংবাদিকদের ‘জনগণের শত্রু’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এ ছাড়া ফিলিপাইনে (১৩৩) সাংবাদিকদের প্রতিনিয়ত অপমান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। ভারতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সূচক অনুসারে, বাংলাদেশের সার্বিক অবস্থানে পরিবর্তন না এলেও নির্যাতন বিষয়ক (এবিউজ) স্কোরে পরিবর্তন এসেছে। গত বছর বাংলাদেশের এবিউজ স্কোর ছিল ১০০ থেকে ৪৮.৩৬। এই বছরের সূচকে তা বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪.৩০-এ। এর অর্থ হচ্ছে, সাংবাদিক ও গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর নির্যাতনের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ নিয়ে আরএসএফ এর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংবিধান বা ইসলামের সমালোচনা করা একটি খারাপ আইডিয়া। যদিও দেশটি আনুষ্ঠানিকভাবে ধর্ম নিরপেক্ষ। এই বিষয়গুলোর সমালোচনা করা সাংবাদিক বা ব্লগাররা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা মৃত্যুদণ্ডের ঝুঁকিতে থাকেন। এদেশের গণমাধ্যম বহুমুখী হলেও সাংবাদিক ও মিডিয়া আউটলেটের বিরুদ্ধে সহিংসতা এবং এসব সহিংসতার জন্য দায়ীদের দায়মুক্তির কারণে গণমাধ্যমগুলোর মধ্যে ‘সেলফ-সেন্সরশিপের’ পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১৭ সালে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আওতায় কমপক্ষে ২৫ জন সাংবাদিক এবং কয়েক শ’ ব্লগার ও ফেসবুক ব্যবহারকারীকে নির্যাতন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, এই আইন অনুসারে, অনলাইনে ধর্মের সমালোচনা বা মানহানিকর কোনো কিছু অনলাইনে পোস্ট করা নিষিদ্ধ। এই আইন সংশোধনের বদলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ২০১৮ সালের শুরুর দিকে নতুন একটি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের প্রস্তাব রাখে। প্রস্তাবিত এই আইন অনুসারে, কর্তৃপক্ষ তাদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণকারীদের ওপর আরো সহজে নির্যাতন চালাতে পারবে।
প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্স ২০১৮’র শীর্ষ পাঁচ দেশ হচ্ছে যথাক্রমে- নরওয়ে, সুইডেন, নেদারল্যান্ডস, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড। সূচকের একেবারে নিচে অবস্থানকারী পাঁচ দেশ হচ্ছে যথাক্রমে- চীন, সিরিয়া, তুর্কিমিনিস্তান, ইরিত্রিয়া ও উত্তর কোরিয়া। এ ছাড়া, গত বছরের মতো এবারও যুক্তরাজ্যের অবস্থান ৪০তম। অন্যদিকে, গত বছরের তুলনায় দুই ধাপ নিচে নেমে এসে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৪৫তম। এদিকে, ভারতের অবস্থান ১৩৮তম, পাকিস্তানের অবস্থান ১৩৯তম, মিয়ানমারের অবস্থান ১৩৭তম, শ্রীলঙ্কার অবস্থান ১৩১তম, আফগানিস্তানের অবস্থান ১১৮তম, রাশিয়ার অবস্থান ১৪৮তম, সৌদি আরবের অবস্থান ১৬৯তম ও ইসরাইলের অবস্থান ৮৭তম।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিষয়কে সূচকের বিশ্লেষণে আরএসএফ বলেছে, এইবারের সূচক এটার প্রতিফলন ঘটায় যে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতারা গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে হিংস্রতাকে উৎসাহ দিচ্ছেন। পাশাপাশি স্বৈরতান্ত্রিক সরকারগুলো এমন ধারণা প্রচারের চেষ্টা করছে যে, সাংবাদিকতা গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। গণমাধ্যমের প্রতি হিংস্রতা কেবল তুরস্ক (১৫৭) ও মিশরের (১৬১) মতন গুটিকয়েক স্বৈরতান্ত্রিক দেশগুলোতেই আবদ্ধ নেই। এই হিংস্রতা ছড়িয়ে পড়ছে গণতান্ত্রিক দেশগুলোতেও। নতুন নির্বাচিত নেতারা গণমাধ্যমকে গণতন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় মনে করেন না। যুক্তরাষ্ট্রের মতন দেশে, যেখানে সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে, সেদেশও ডনাল্ড ট্রামপ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর তা সূচকে দুই ধাপ নিচে নেমে এসেছে। ট্রামপ সাংবাদিকদের ‘জনগণের শত্রু’ বলে চিহ্নিত করেছেন। এ ছাড়া ফিলিপাইনে (১৩৩) সাংবাদিকদের প্রতিনিয়ত অপমান করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতের্তে। ভারতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিদ্বেষমূলক বক্তব্যে ব্যবহার বৃদ্ধি পেয়েছে।
No comments