ইরানের দৃষ্টিতে বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার উপায় এবং বিরাজমান বাধা
'টেকসই
শান্তি' শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেয়ার জন্য ইরানের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ জাওয়াদ জারিফ বর্তমানে ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন।
এই সম্মেলন বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের
দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরার সুযোগ এনে দিয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের বর্তমান অবস্থা থেকে বোঝা যায়, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে বিরাজমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা এবং জাতিসংঘের তিনটি মূল লক্ষ্য অর্থাৎ শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা। বিশ্বজুড়ে অশান্তির যে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে তার জন্য জাতিসংঘের নীতিমালার দুর্বলতা দায়ী নাকি বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা দায়ী সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় তিন শ' বছর আগে জার্মানির খ্যাতনামা দার্শনিক ইমানুয়েল কাণ্ট তার এক গ্রন্থে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব পূর্বশর্তের কথা উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
বাস্তবতা হচ্ছে, আমেরিকা ও তার পাশ্চাত্যের মিত্রদের যুদ্ধনীতি বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ সংকট ও উত্তেজনার জন্য দায়ী। ইরাক ও আফগানিস্তান জবরদখল এবং দখলদার ইসরাইলের প্রতি অন্ধ সমর্থন মার্কিন যুদ্ধকামী নীতির বড় উদাহরণ। প্রায় অর্ধ শতাব্দীকালের বেশি আগে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরফলে ৫০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীতে পরিণত হয়। ইসরাইলি হামলায় গাজায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হওয়া ছাড়াও ওই এলাকাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এসব ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হয়ে আছে।
এ ছাড়া, নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া এবং পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দূর করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার ব্যর্থতা বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তার পথে আরেকটি বড় বাধা হয়ে আছে। সন্ত্রাসবাদও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম বাধা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে কোনো কোনো সরকার নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে যা কিনা অশান্তি সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
ইরানের ইসলামি সরকার মনে করে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ শক্তিগুলোর যুদ্ধকামী নীতি এবং জাতিগুলোর অধিকার লঙ্ঘনের কারণে যুদ্ধ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ইরান মনে করে কেবলমাত্র জাতিগুলোর অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বিরত থাকা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি অটল থাকার উপরই টেকসই বা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নির্ভর করছে।
এই দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি উগ্রবাদ ও সহিংসতা রোধে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের বহু দেশ তাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জাতিসংঘও সেটাকে অনুমোদন করেছে।
মধ্যপ্রাচ্যসহ সারা বিশ্বের বর্তমান অবস্থা থেকে বোঝা যায়, টেকসই শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে বিরাজমান দ্বন্দ্ব-সংঘাতের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করা এবং জাতিসংঘের তিনটি মূল লক্ষ্য অর্থাৎ শান্তি ও নিরাপত্তা, উন্নয়ন এবং মানবাধিকার বাস্তবায়ন করা। বিশ্বজুড়ে অশান্তির যে দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে তার জন্য জাতিসংঘের নীতিমালার দুর্বলতা দায়ী নাকি বিশ্ব সাম্রাজ্যবাদী শক্তিগুলোর স্বেচ্ছাচারিতা দায়ী সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রায় তিন শ' বছর আগে জার্মানির খ্যাতনামা দার্শনিক ইমানুয়েল কাণ্ট তার এক গ্রন্থে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব পূর্বশর্তের কথা উল্লেখ করেছেন তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করা।
বাস্তবতা হচ্ছে, আমেরিকা ও তার পাশ্চাত্যের মিত্রদের যুদ্ধনীতি বর্তমান বিশ্বের বেশিরভাগ সংকট ও উত্তেজনার জন্য দায়ী। ইরাক ও আফগানিস্তান জবরদখল এবং দখলদার ইসরাইলের প্রতি অন্ধ সমর্থন মার্কিন যুদ্ধকামী নীতির বড় উদাহরণ। প্রায় অর্ধ শতাব্দীকালের বেশি আগে ফিলিস্তিন ভূখণ্ড দখল করে ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়। এরফলে ৫০ লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি শরণার্থীতে পরিণত হয়। ইসরাইলি হামলায় গাজায় বহু ফিলিস্তিনি নিহত হওয়া ছাড়াও ওই এলাকাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এসব ঘটনা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার পথে বড় বাধা হয়ে আছে।
এ ছাড়া, নিরস্ত্রীকরণ চুক্তি বাস্তবায়িত না হওয়া এবং পরমাণু অস্ত্রের হুমকি দূর করার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার ব্যর্থতা বিশ্বে শান্তি ও নিরাপত্তার পথে আরেকটি বড় বাধা হয়ে আছে। সন্ত্রাসবাদও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার পথে অন্যতম বাধা। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা গেছে কোনো কোনো সরকার নিজেদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীদেরকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে যা কিনা অশান্তি সৃষ্টির অন্যতম কারণ।
ইরানের ইসলামি সরকার মনে করে সাম্রাজ্যবাদী বৃহৎ শক্তিগুলোর যুদ্ধকামী নীতি এবং জাতিগুলোর অধিকার লঙ্ঘনের কারণে যুদ্ধ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ইরান মনে করে কেবলমাত্র জাতিগুলোর অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন, স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বিরত থাকা এবং আন্তর্জাতিক চুক্তির প্রতি অটল থাকার উপরই টেকসই বা স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার বিষয়টি নির্ভর করছে।
এই দৃষ্টিভঙ্গির ভিত্তিতে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৬৮তম অধিবেশনে দেয়া ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি উগ্রবাদ ও সহিংসতা রোধে যেসব প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন বিশ্বের বহু দেশ তাকে স্বাগত জানিয়েছে এবং জাতিসংঘও সেটাকে অনুমোদন করেছে।
No comments