ভারতে প্রধান বিচারপতিকে অপসারণের প্রস্তাব
ভারতে
প্রধান বিচারপতিকে সংসদীয় বিচারের মাধ্যমে অপসারণ চেয়ে বিরোধী রাজনৈতিক
দলগুলো রাজ্যসভায় একটি প্রস্তাব পেশ করেছে। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের
বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে, তিনি বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের প্রভাব
থেকে রক্ষা করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে আরো কয়েকটি অসদাচরণেরও
অভিযোগ আনা হয়েছে। সংসদের উচ্চকক্ষে দেয়া এই পিটিশনে সাতটি রাজনৈতিক দলের
৬৪ জন এমপি সই করেছেন। এ খবর দিয়েছে বিবিসি বাংলা।
খবরে বলা হয়, রাজ্যসভায় ‘ইমপিচমেন্টের’ প্রস্তাব আনার জন্য ন্যূনতম ৫০ জন এমপির সই লাগে। তবে, লোকসভায় ওই একই প্রস্তাব আনতে হলে ১০০ জন সংসদ সদস্যকে সই করতে হয়। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এর আগে ভারতে কখনো ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়নি। সেদিক থেকে এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। যদিও অতীতে বেশ কয়েকজন বিচারপতিকে ‘ইমপিচ’ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারা ওইসব প্রস্তাব পাশ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিয়েছেন। দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, কোন মামলা কোন বেঞ্চে যাবে সেটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনি স্বেচ্ছাচার করেছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে বিচারপতি হওয়ার আগে তিনি যখন উড়িষ্যা হাইকোর্টে আইনজীবী ছিলেন, সেই সময়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি জমি নিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের চার জন প্রবীণতম বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ আনার পর তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেটিও ছিল ভারতের বিচার ব্যবস্থায় একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। ওই চার বিচারপতি মি. মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে কোন মামলার বিচার কোন বেঞ্চে করা হবে সেটি ঠিক করতে গিয়ে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।
উল্লেখ্য, মিশ্র ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন গত আগস্ট মাসে। আগামী অক্টোবরে তার অবসরে যাওয়ার কথা। ভারতে প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৫ হলে তার অবসর নেয়া বাধ্যতামূলক। ‘ইমপিচমেন্টের’ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না। যেসব এমপি পিটিশনে সই করেছেন তারা বিরোধী কংগ্রেস পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দল সমাজবাদী পার্টিসহ আরো চারটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। এখন এই পিটিশনের উপর আলোচনা হবে কি না সে বিষয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু সিদ্ধান্ত নেবেন। নাইডু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারেও সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন।
এ বিষয়ে কংগ্রেস পার্টির নেতা কপিল সিবাল বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি বিচারপতিরা তাদের যেসব ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সেগুলো দেখা হবে। তাদের বিবৃতির তিন মাস পরেও প্রধান বিচারপতি যেহেতু বিচার বিভাগে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেন নি সে কারণে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এটা করা আমাদের দায়িত্ব। গণতন্ত্র ততক্ষণ কাজ করবে যতক্ষণ আমরা বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের হাত থেকে মুক্ত রাখতে পারবো।
ভারতীয় সংবিধান অনুসারে সংসদের দুই কক্ষে অনুমোদনের পরেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে ইমপিচ করা সম্ভব। তবে, অপসারণের চূড়ান্ত নির্দেশ দেবেন প্রেসিডেন্ট। রাজ্যসভা ও লোকসভা-সংসদের এই দুটো কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন লাগবে। লোকসভায় নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ও তার মিত্র দলগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও উচ্চকক্ষে সেটা নেই। ফলে এই প্রস্তাবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলেই মনে করছেন অনেকে।
খবরে বলা হয়, রাজ্যসভায় ‘ইমপিচমেন্টের’ প্রস্তাব আনার জন্য ন্যূনতম ৫০ জন এমপির সই লাগে। তবে, লোকসভায় ওই একই প্রস্তাব আনতে হলে ১০০ জন সংসদ সদস্যকে সই করতে হয়। প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে এর আগে ভারতে কখনো ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব আনা হয়নি। সেদিক থেকে এটি একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। যদিও অতীতে বেশ কয়েকজন বিচারপতিকে ‘ইমপিচ’ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। কিন্তু তারা ওইসব প্রস্তাব পাশ হওয়ার আগেই ইস্তফা দিয়েছেন। দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে যে পাঁচটি অসদাচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, কোন মামলা কোন বেঞ্চে যাবে সেটি নির্ধারণের ক্ষেত্রে তিনি স্বেচ্ছাচার করেছেন। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে যে বিচারপতি হওয়ার আগে তিনি যখন উড়িষ্যা হাইকোর্টে আইনজীবী ছিলেন, সেই সময়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে তিনি জমি নিয়েছিলেন। গত জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্টের চার জন প্রবীণতম বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগ আনার পর তাকে নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। সেটিও ছিল ভারতের বিচার ব্যবস্থায় একটি অভূতপূর্ব ঘটনা। ওই চার বিচারপতি মি. মিশ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনেন যে কোন মামলার বিচার কোন বেঞ্চে করা হবে সেটি ঠিক করতে গিয়ে তিনি তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছে।
উল্লেখ্য, মিশ্র ভারতের প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব নেন গত আগস্ট মাসে। আগামী অক্টোবরে তার অবসরে যাওয়ার কথা। ভারতে প্রধান বিচারপতির বয়স ৬৫ হলে তার অবসর নেয়া বাধ্যতামূলক। ‘ইমপিচমেন্টের’ বিষয়ে প্রধান বিচারপতির অফিস থেকে জানানো হয়েছে যে, এ বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করবেন না। যেসব এমপি পিটিশনে সই করেছেন তারা বিরোধী কংগ্রেস পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং উত্তর প্রদেশের প্রভাবশালী দল সমাজবাদী পার্টিসহ আরো চারটি রাজনৈতিক দলের সদস্য। এখন এই পিটিশনের উপর আলোচনা হবে কি না সে বিষয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান ভেঙ্কাইয়া নাইডু সিদ্ধান্ত নেবেন। নাইডু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারেও সিনিয়র মন্ত্রী ছিলেন।
এ বিষয়ে কংগ্রেস পার্টির নেতা কপিল সিবাল বলেছেন, ‘আমরা আশা করছি বিচারপতিরা তাদের যেসব ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন সেগুলো দেখা হবে। তাদের বিবৃতির তিন মাস পরেও প্রধান বিচারপতি যেহেতু বিচার বিভাগে শৃঙ্খলা ফেরাতে পারেন নি সে কারণে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে এটা করা আমাদের দায়িত্ব। গণতন্ত্র ততক্ষণ কাজ করবে যতক্ষণ আমরা বিচার বিভাগকে নির্বাহী বিভাগের হাত থেকে মুক্ত রাখতে পারবো।
ভারতীয় সংবিধান অনুসারে সংসদের দুই কক্ষে অনুমোদনের পরেই সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে ইমপিচ করা সম্ভব। তবে, অপসারণের চূড়ান্ত নির্দেশ দেবেন প্রেসিডেন্ট। রাজ্যসভা ও লোকসভা-সংসদের এই দুটো কক্ষেই দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন লাগবে। লোকসভায় নরেন্দ্র মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি ও তার মিত্র দলগুলোর সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও উচ্চকক্ষে সেটা নেই। ফলে এই প্রস্তাবের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত বলেই মনে করছেন অনেকে।
No comments