রনির ঘোষণাই ঠিক ভারপ্রাপ্ত স. জাকারিয়া
অবশেষে
নুরুল আজিম রনির ঘোষণাই ঠিক হলো। তার ঘোষণা মতে, চট্টগ্রাম মহানগর
ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হলেন নগর ছাত্রলীগের বর্তমান যুগ্ম
সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর। এই ঘোষণা রনি নিজেই পদ থেকে অব্যাহতি চেয়ে
কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। যা নিজের ফেসবুক ওয়ালে
প্রকাশ করেন তিনি। আর এ নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় চট্টগ্রামসহ সারা দেশে।
অধিকাংশ গণমাধ্যমে এই আবেদনের স্ক্রিনশটসহ রনির ঘোষণা প্রচার পেলেও কয়েকটি
গণমাধ্যমে রনিকে বহিষ্কারের খবর প্রচার হয়। এসব খবরে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের
সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের বক্তব্যের মাধ্যমে রনির বহিষ্কারের বিষয়টিও
নিশ্চিত করা হয় বলে উল্লেখ করা হয়, যা বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে কপি
করে প্রকাশ করা হয়। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত তুমুল বিতর্ক ও আলোড়ন
চলছিল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
তবে শুক্রবার রাতেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বিতর্ক ও আলোড়নের অবসান ঘটান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সমপাদক এসএম জাকির হোসেন। তাদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রনির অব্যাহতির কথা উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, নুরুল আজিম রনি (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা) এর নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো এবং সে সঙ্গে জাকারিয়া দস্তগীরকে (যুগ্ম সমপাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা) চট্টগ্রাম শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলো। আর এ থেকে প্রমাণিত হলো রনির ঘোষণাই ঠিক। বাকি সব মিথ্যা।
এ প্রসঙ্গে নুরুল আজিম রনি বলেন, বহিষ্কার নয় অব্যাহতি চেয়ে আমি নিজেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন করেছি। আর এই বিষয়টি অন্ধকার গলির সাংবাদিকরা কোনো মতামত না নিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে নগরীর ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক মো. রাশেদ মিয়াকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় কোন্দল আর প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন লাইক-শেয়ার করে তা ভাইরাল করে তোলে।
এর আগে অতিরিক্ত ফি ফেরতের জন্য চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে ভিডিও ছড়ানো হয়। এতে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নেয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মতে কতিপয় গণমাধ্যমও সংবাদ প্রকাশ করে, যা মোটেও সুখকর নয়।
রনির অনুসারী নেতাকর্মীরা বলেন, বৃহসপতিবার রাতেই পদ থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বরাবরে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করে নিজ ফেসবুক ওয়ালে স্টাটাস দেন রনি। এতে তিনি লিখেন-পিতা মুজিবুরের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সমপাদক পদ থেকে আমি সজ্ঞানে অব্যাহতি নিলাম। একান্ত ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
এমতাবস্থায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সমপাদক জাকারিয়া দস্তগীর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি আবেদন করছি। প্রাণের ছাত্রলীগ ভালো থেকো, স্বকীয়তা নিয়ে লড়াই করার সৎ সাহস রেখো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
আর রনির ঘোষণা মতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে জাকারিয়া দস্তগীরকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক নিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সমপাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি নগরীর ওমরগনি এমইএস কলেজের ছাত্র।
তবে রনির অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবিতে নগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, নুরুল আজিম রনি চট্টগ্রামের প্রয়াত নেতা এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক জাকারিয়া দস্তগীরও মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। একই প্লাটফরমে থেকে দীর্ঘদিন ধরে তারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছেন।
তবে শুক্রবার রাতেই এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই বিতর্ক ও আলোড়নের অবসান ঘটান ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সমপাদক এসএম জাকির হোসেন। তাদের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রনির অব্যাহতির কথা উল্লেখ করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়-বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, নুরুল আজিম রনি (বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা) এর নিজ আবেদনের প্রেক্ষিতে তাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি দেয়া হলো এবং সে সঙ্গে জাকারিয়া দস্তগীরকে (যুগ্ম সমপাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগর শাখা) চট্টগ্রাম শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হলো। আর এ থেকে প্রমাণিত হলো রনির ঘোষণাই ঠিক। বাকি সব মিথ্যা।
এ প্রসঙ্গে নুরুল আজিম রনি বলেন, বহিষ্কার নয় অব্যাহতি চেয়ে আমি নিজেই পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর আবেদন করেছি। আর এই বিষয়টি অন্ধকার গলির সাংবাদিকরা কোনো মতামত না নিয়ে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক লেনদেন নিয়ে নগরীর ইউনিএইড কোচিং সেন্টারের মালিক মো. রাশেদ মিয়াকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় কোন্দল আর প্রতিপক্ষ গ্রুপের লোকজন লাইক-শেয়ার করে তা ভাইরাল করে তোলে।
এর আগে অতিরিক্ত ফি ফেরতের জন্য চট্টগ্রাম বিজ্ঞান কলেজের অধ্যক্ষকে নিয়ে ভিডিও ছড়ানো হয়। এতে নানা আলোচনা-সমালোচনার জন্ম নেয়। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মতে কতিপয় গণমাধ্যমও সংবাদ প্রকাশ করে, যা মোটেও সুখকর নয়।
রনির অনুসারী নেতাকর্মীরা বলেন, বৃহসপতিবার রাতেই পদ থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বরাবরে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করে নিজ ফেসবুক ওয়ালে স্টাটাস দেন রনি। এতে তিনি লিখেন-পিতা মুজিবুরের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ চট্টগ্রাম মহানগরের সাধারণ সমপাদক পদ থেকে আমি সজ্ঞানে অব্যাহতি নিলাম। একান্ত ব্যক্তিগত কারণে আমি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
এমতাবস্থায় সংগঠনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সমপাদক জাকারিয়া দস্তগীর সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করবেন। এ সংক্রান্ত যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রতি আবেদন করছি। প্রাণের ছাত্রলীগ ভালো থেকো, স্বকীয়তা নিয়ে লড়াই করার সৎ সাহস রেখো। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
আর রনির ঘোষণা মতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে জাকারিয়া দস্তগীরকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক নিযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সমপাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন জাকারিয়া দস্তগীর। তিনি নগরীর ওমরগনি এমইএস কলেজের ছাত্র।
তবে রনির অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবিতে নগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে বলে জানান নেতাকর্মীরা।
উল্লেখ্য, নুরুল আজিম রনি চট্টগ্রামের প্রয়াত নেতা এ বিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সমপাদক জাকারিয়া দস্তগীরও মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী। একই প্লাটফরমে থেকে দীর্ঘদিন ধরে তারা ছাত্রলীগের রাজনীতি করে আসছেন।
No comments