রিজার্ভ চুরিতে উত্তর কোরিয়া জড়িত
বাংলাদেশ
ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় উত্তর কোরিয়া জড়িত রয়েছে বলে দাবি করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্সের পরিচালক ড্যান কোটস। তিনি বলেন,
বিশ্বব্যাপী সাইবার নিরাপত্তার প্রতি বড় ধরনের হুমকি তৈরি করেছে দেশটি।
মার্কিন কংগ্রেসের সিনেট কমিটিতে মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী সাইবার হামলার
হুমকির বিষয়ে মার্কিন আইনপ্রণেতাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন কোটস। ড্যান কোটস
তার বক্তব্যে বলেন, উত্তর কোরিয়ার হ্যাকাররা ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের
রিজার্ভ থেকে ৮১ মিলিয়ন অর্থ সরানোর ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমাদের নিশ্চিত
বিশ্বাস। চলতি সপ্তাহে চুরি যাওয়া অর্থ লেনদেন করায় ম্যানিলাভিত্তিক রিজাল
কমার্শিয়াল ব্যাংকিং কর্পোরেশনের বিরুদ্ধে মামলা করার কথা জানিয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক। দুই থেকে তিন মাসের মধ্যে মামলা দায়ের হওয়ার কথা রয়েছে।
কোটস জানান, ২০১৭ সালে বিশ্বে ওয়ানাক্রাই নামে যে কম্পিউটার ভাইরাস ছড়িয়ে
পড়ে সেটাও তৈরি করেছে উত্তর কোরিয়ার অপরাধীরা। এই ভাইরাসের আক্রমণে বিশ্বের
শতাধিক দেশে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ভেঙে পড়ে। তিনি বলেন, বৈশ্বিকভাবে এবং
বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তার জন্যও বড় হুমকি তৈরি করেছে
উত্তর কোরিয়া। পরবর্তী বছর যুক্তরাষ্ট্রের সাইবার নিরাপত্তার ক্ষেত্রে
রাশিয়া, চীন, ইরান ও উত্তর কোরিয়া বড় হুমকি হিসেবে বিবেচিত হবে। দেশগুলো
আগ্রাসী হয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের ওপর হুমকি তৈরি করছে।
এ সময় অর্থ
সংক্রান্ত অপরাধ, প্রচারণা এবং বার্তা আদান-প্রদানের ক্ষেত্রে অপরাধীরা
সাইবার ক্ষেত্র ব্যবহারের চেষ্টা চালাতে থাকবে বলেও সতর্ক করেন এই গোয়েন্দা
প্রধান। উত্তর কোরিয়ার পরমাণু অস্ত্র সম্পর্কে তিনি বলেন, দেশটি
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ‘সম্ভাব্য বড় ধরনের হুমকি’ হয়ে উঠেছে। আমরা কীভাবে এর
জবাব দেব সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় এখনই সময়। আমাদের লক্ষ্য একটা
শান্তিপূর্ণ সমাধান। সেক্ষেত্রে আমরা দেশটির ওপর বিভিন্নভাবে সর্বোচ্চ চাপ
দিচ্ছি।’ শীর্ষ এই গোয়েন্দা কর্মকর্তার কাছ থেকে হুশিয়ারিটি এমন সময়ে এলো
যখন চলতি বছরের শীতকালীন অলিম্পিক উপলক্ষে উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যকার
সম্পর্ক অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। একইসঙ্গে পিয়ংইয়ংয়ের পরমাণু ও
ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচির ব্যাপারে একটি কূটনৈতিক সমাধানের ওপর জোর দিচ্ছে
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
No comments