যে কারণে সিলেটে হক-মুক্তাদির মাঠে by ওয়েছ খছরু
একজন
বয়োবৃদ্ধ নেতা। অন্যজন বয়সে তরুণ। দুজনের ‘র্যাংক’ সমান। পদবি
চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা। কাগজে-কলমে এই দুই নেতা হলেন এখন সিলেট বিএনপির
শীর্ষ নেতা। একজন হলেন সিলেটের রাজনৈতিক অঙ্গনের পরিচিত মুখ এমএ হক।
আর অপরজন হলেন- খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। অনেক দিন ধরে তারা রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন অনুপস্থিত। বয়সের ভারে, অসুস্থতায় কাবু এমএ হক। আর মুক্তাদির বসবাস করেন ঢাকায়। এ কারণে আর এক হয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর সিলেট বিএনপির ওই দুই নেতা এখন আন্দোলন-সংগ্রামে একাট্টা। গতকাল সিলেট বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে সকাল ১০টা থেকেই দুজনকে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। এর আগের দিনের অবস্থান কর্মসূচিতেও তারা সরব ছিলেন। আর সিনিয়র দুজন মাঠে থাকায় নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত রয়েছেন। এমএ হকের রাজনৈতিক জীবন বর্ণাঢ্য। পাকিস্তান আমল থেকে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এখনো রাজনীতিই তার নেশা। যদিও তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এর পরও তাকে রাজনীতিবিদ হিসেবে এক নামেই চিনে সবাই। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এমএ হক। প্রভাব নিয়ে রাজনীতি করলেও কখনো অপব্যবহার করেননি। বিগত দিনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নানাভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। সিটি নির্বাচনে দাঁড়ালেও ভাগ্য সহায় ছিল না। আর সাইফুর রহমানের মৃত্যুর পর নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু এমএ হক সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে সরব হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে জানালেন- ‘ভালোবেসে বিএনপি করি। অনেক পেয়েছি। দিয়েছিও। এখন দলের দুর্দিন। ম্যাডাম কারাগারে। মন মানে না। এ কারণে অসুস্থ শরীর নিয়ে কর্মসূচিতে হাজির হই। দুর্দিনে সক্রিয় থাকাটা নৈতিক দায়িত্ব। কর্মীরা উজ্জীবিত।’ এমএ হক জানালেন- ‘বিএনপি দেশে গণমানুষের দল। এই দলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা অনেক। বিএনপিকে কেউ কখনো নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবে না।’ সিলেট বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আব্দুল মালিকের ছেলে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। সিলেট বিএনপির ত্যাগী নেতা ছিলেন খন্দকার আব্দুল মালিক। এক সময় খন্দকার মালিক নিজ বাসা থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বিএনপির রাজনীতিতে একসময় তিনি চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে মৃত্যুবরণও করেন। খন্দকার মালিকের ছেলে আব্দুল মুক্তাদির। ঢাকায় ব্যবসা করেন। সিলেটে খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশনের নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে তার। পিতার রাজনৈতিক সূত্র ধরে তিনি কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে পা মাড়িয়েছেন। বিএনপির বিগত কাউন্সিলে তাকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়। সিলেট বিএনপিতে এখন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের প্রভাব বেশি। খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ঢাকার বাসিন্দা। সপ্তাহে দুদিন এসে সিলেটের দলীয় কর্মকাণ্ড চালাতেন। কিন্তু ৮ই ফেব্রুয়ারির পর থেকে তিনি সিলেট ছাড়ছেন না। আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে রয়েছেন। ৯ই ফেব্রুয়ারি নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় আব্দুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে বিএনপি পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছে। চলমান আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখছেন মুক্তাদির। দলের দুর্দিনে সবাইকে শান্ত থেকে এক হয়ে আন্দোলন চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ গতকাল জানিয়েছেন- ‘সিলেট বিএনপির এখন আর কেউ ঘরে বসে নেই। কিংবা পালিয়ে প্রবাসেও নয়। সবাই মাঠের আন্দোলনে একাট্টা। এমএ হক, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, দিলদার হোসেন সেলিম, আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সবাই রাজপথে আন্দোলনে একাকার। এতে করে দলের নেতাকর্মীরা শক্তি পাচ্ছেন। সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে সিলেটে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি।’ এদিকে মাঠের রাজনীতিতে প্রায় সময় বিএনপিতে বিরোধ দেখা যেত; এমনকি খুনোখুনিও হয়েছে। কিন্তু দলের চেয়ারপারসনের কারাবরণের পর থেকে সিলেটে সব দ্বন্দ্ব ভুলে নেতারা এক কাতারে এসেছেন।
আর অপরজন হলেন- খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। অনেক দিন ধরে তারা রাজপথের আন্দোলনে ছিলেন অনুপস্থিত। বয়সের ভারে, অসুস্থতায় কাবু এমএ হক। আর মুক্তাদির বসবাস করেন ঢাকায়। এ কারণে আর এক হয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া কারান্তরীণ হওয়ার পর সিলেট বিএনপির ওই দুই নেতা এখন আন্দোলন-সংগ্রামে একাট্টা। গতকাল সিলেট বিএনপির অনশন কর্মসূচিতে সকাল ১০টা থেকেই দুজনকে অগ্রভাগে নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে। এর আগের দিনের অবস্থান কর্মসূচিতেও তারা সরব ছিলেন। আর সিনিয়র দুজন মাঠে থাকায় নেতাকর্মীরাও উজ্জীবিত রয়েছেন। এমএ হকের রাজনৈতিক জীবন বর্ণাঢ্য। পাকিস্তান আমল থেকে তিনি রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। এখনো রাজনীতিই তার নেশা। যদিও তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। এর পরও তাকে রাজনীতিবিদ হিসেবে এক নামেই চিনে সবাই। প্রয়াত অর্থমন্ত্রী এম সাইফুর রহমানের খুব ঘনিষ্ঠজন ছিলেন এমএ হক। প্রভাব নিয়ে রাজনীতি করলেও কখনো অপব্যবহার করেননি। বিগত দিনে বিএনপির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নানাভাবে বিপর্যস্ত হয়েছিলেন তিনি। সিটি নির্বাচনে দাঁড়ালেও ভাগ্য সহায় ছিল না। আর সাইফুর রহমানের মৃত্যুর পর নিজেকে অনেকটা গুটিয়ে নিয়েছিলেন। কিন্তু এমএ হক সাম্প্রতিক সময়ে মাঠে সরব হয়েছেন। গতকাল সন্ধ্যায় মানবজমিনকে জানালেন- ‘ভালোবেসে বিএনপি করি। অনেক পেয়েছি। দিয়েছিও। এখন দলের দুর্দিন। ম্যাডাম কারাগারে। মন মানে না। এ কারণে অসুস্থ শরীর নিয়ে কর্মসূচিতে হাজির হই। দুর্দিনে সক্রিয় থাকাটা নৈতিক দায়িত্ব। কর্মীরা উজ্জীবিত।’ এমএ হক জানালেন- ‘বিএনপি দেশে গণমানুষের দল। এই দলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা অনেক। বিএনপিকে কেউ কখনো নিশ্চিহ্ন করে দিতে পারবে না।’ সিলেট বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা খন্দকার আব্দুল মালিকের ছেলে খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির। সিলেট বিএনপির ত্যাগী নেতা ছিলেন খন্দকার আব্দুল মালিক। এক সময় খন্দকার মালিক নিজ বাসা থেকেই বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। বিএনপির রাজনীতিতে একসময় তিনি চুপ হয়ে গিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে মৃত্যুবরণও করেন। খন্দকার মালিকের ছেলে আব্দুল মুক্তাদির। ঢাকায় ব্যবসা করেন। সিলেটে খন্দকার মালিক ফাউন্ডেশনের নামে সাধারণ মানুষের সঙ্গে সম্পৃক্ততা রয়েছে তার। পিতার রাজনৈতিক সূত্র ধরে তিনি কয়েক বছর ধরে রাজনীতিতে পা মাড়িয়েছেন। বিএনপির বিগত কাউন্সিলে তাকে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়। সিলেট বিএনপিতে এখন খন্দকার আব্দুল মুক্তাদিরের প্রভাব বেশি। খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির ঢাকার বাসিন্দা। সপ্তাহে দুদিন এসে সিলেটের দলীয় কর্মকাণ্ড চালাতেন। কিন্তু ৮ই ফেব্রুয়ারির পর থেকে তিনি সিলেট ছাড়ছেন না। আন্দোলন-সংগ্রামে মাঠে রয়েছেন। ৯ই ফেব্রুয়ারি নগরীর নয়াসড়ক এলাকায় আব্দুল মুক্তাদিরের নেতৃত্বে বিএনপি পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ করেছে। চলমান আন্দোলনে অগ্রভাগে থেকে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন। নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখছেন মুক্তাদির। দলের দুর্দিনে সবাইকে শান্ত থেকে এক হয়ে আন্দোলন চালানোর পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ গতকাল জানিয়েছেন- ‘সিলেট বিএনপির এখন আর কেউ ঘরে বসে নেই। কিংবা পালিয়ে প্রবাসেও নয়। সবাই মাঠের আন্দোলনে একাট্টা। এমএ হক, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, দিলদার হোসেন সেলিম, আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী সবাই রাজপথে আন্দোলনে একাকার। এতে করে দলের নেতাকর্মীরা শক্তি পাচ্ছেন। সিনিয়র নেতাদের নির্দেশে সিলেটে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করছি।’ এদিকে মাঠের রাজনীতিতে প্রায় সময় বিএনপিতে বিরোধ দেখা যেত; এমনকি খুনোখুনিও হয়েছে। কিন্তু দলের চেয়ারপারসনের কারাবরণের পর থেকে সিলেটে সব দ্বন্দ্ব ভুলে নেতারা এক কাতারে এসেছেন।
No comments