স্বর্ণনির্ভর ১৮ হাজার কোটি টাকার অবৈধ ব্যবসা
নীতিমালা না থাকায় দেশে প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকার স্বর্ণনির্ভর অবৈধ ব্যবসা চলছে। বাণিজ্যিকভাবে সোনা আমদানি বৈধ; কিন্তু নানা জটিলতায় এ পথমুখী হচ্ছেন না সোনা ব্যবসায়ীরা। দেশের প্রায় ৯০ শতাংশ সোনা আসছে চোরাপথে। এজন্য ব্যবসায়ীরা শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করেও নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছেন না। আপন জুয়েলার্সের অবৈধ সোনা আটকের পর সংশ্লিষ্টদের টনক নড়ে। এতে দেখা যায়, অন্য ব্যবসায়ীরাও ওই একই পথে স্বর্ণ মজুদ করছেন। এ ঘটনায় প্রমাণিত হয়, পুরো সোনা ব্যবসাই শতভাগ অস্বচ্ছ। এজন্য দায়ী করা হচ্ছে নীতিমালা প্রণয়ন নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সিদ্ধান্তহীনতাকে। সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় এ বিষয়ে নীতিগত একমত। ফাইলের পর ফাইল চালাচালি হচ্ছে। কিন্তু অজ্ঞাতকারণে নীতিমালা হচ্ছে না। এদিকে এনবিআরের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া স্বর্ণের বাজারে নিয়ন্ত্রণমূলক পদক্ষেপ ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় দ্রুত করণীয় নির্ধারণের তাগিদ দিয়ে গত মাসে বাণিজ্য সচিব শুভাশীষ বসুকে আধা সরকারি পত্র (ডিও) পাঠিয়েছেন বলে সূত্র দাবি করে। দেশের সোনা ব্যবসা নিয়ে যুগান্তরের দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। দেশে প্রকাশ্যে যেসব সোনার অলংকার বিক্রি হচ্ছে, তার প্রায় পুরোটারই বৈধ উৎস নেই। এ খাতে যে বিনিয়োগ, তার লেনদেনও হয় গোপনে। বিদেশ থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় হাজার হাজার কোটি টাকার সোনা আসছে। এর মধ্যে অলংকারের পরিমাণই বেশি। আর তা পর্দার অন্তরালে সরাসরি চলে যাচ্ছে সোনা ব্যবসায়ীদের শোরুমে। এরপর থেকেই চলে প্রকাশ্য বেচাকেনা। অন্যান্য ব্যবসার মতো স্বর্ণালংকারের ব্যবসা করতেও সরকারি অনুমতি লাগে। আগ্রহী ব্যবসায়ীর আবেদন মূল্যায়ন করে ট্রেড লাইসেন্স ও ডিলিং লাইসেন্স দেয়া হয়। সোনা ব্যবসার জন্য দিতে হচ্ছে ভ্যাট, আয়করসহ নানা ধরনের রাজস্ব। সরকার এ খাত থেকে আদায় করে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব। অথচ পুরো বিষয়টিই অস্বচ্ছ। দেশে এটিই একমাত্র ব্যবসা, যেখানে শত শত কোটি টাকার প্রকাশ্য বেচাকেনা হয়। রাজস্ব আদায় হয়। কিন্তু পণ্যটি অবৈধ। এ তথ্যের সত্যতা স্বীকার করছেন সোনা ব্যবসায়ীরাও। জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ এ প্রসঙ্গে যুগান্তরকে বলেন, অবৈধভাবে কিংবা বিশৃঙ্খলার মধ্যে একটি খাত ব্যবসা করুক, সেটি সরকার চায় না এবং সমর্থন করে না। তাই অন্যান্য খাতের মতো স্বর্ণ শিল্পকেও শিগগিরই একটি শৃঙ্খলায় আনা হবে।
যার মাধ্যমে খাতটি পুনরুজ্জীবন লাভ করবে এবং আরও বিকশিত হবে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, প্রতিবছর ৪৩ টন স্বর্ণের চাহিদা তৈরি হয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, কোথা থেকে এসব স্বর্ণ আসে এবং কারা এর জোগান দিচ্ছে, তার সিংহভাগ লেনদেনে বিক্রেতারা কোনো রসিদ দেখাতে পারেন না। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডও (এনবিআর) বলেছে, বিক্রয়যোগ্য, প্রদর্শিত কিংবা ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণে থাকা বেশিরভাগ মজুদ স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকারের নিবন্ধন নেই। এমনকি লাইসেন্স নেই সিংহভাগ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানেরও। এটি বাধ্যতামূলক হওয়া সত্ত্বেও তা অনেকে মানছেন না। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশ (টিআইবি) বলেছে, দেশে স্বর্ণের চাহিদার সিংহভাগ চোরাচালানের মাধ্যমে পূরণ হচ্ছে, যা ৯০ শতাংশের কম হবে না। ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, স্বর্ণনির্ভর ব্যবসার লাইসেন্স দেয়া হবে, কিন্তু স্বর্ণের বৈধ সরবরাহ নিশ্চিত করা হবে না। অথচ শুল্ক, মূসক ও আয়কর দিতে বাধ্য করা হবে, সেটি হতে পারে না। এ ভূতুড়ে কারবারের অবসান হওয়া দরকার। তবে ব্যবসায়ীরা স্বীকার করেছেন, নীতিমালা তৈরি উপেক্ষিত হওয়ায় পুরো ব্যবসাই এখন অস্বচ্ছ। আর এ অস্বচ্ছ খাতে শত শত কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এখন কেউ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারছেন না। তাদের দাবি, এ পরিস্থিতির অবসানে খোদ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবের সময় এ খাতের শৃঙ্খলা ফেরাতে একটি যুগোপযোগী ‘জাতীয় স্বর্ণ নীতিমালা’ দেয়ার ঘোষণা দেন। অর্থমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী গেল বছর ডিসেম্বরেই এর একটি খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার কথা। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং দায়িত্বশীল সংস্থাগুলোর নিয়ন্ত্রণমূলক আইনি পদক্ষেপে মতবিরোধ ও সমন্বয়ের অভাবে সেই নীতিমালা প্রণয়নের কাজটি দৃশ্যতই দীর্ঘসূত্রতায় গড়াতে চলেছে। অথচ বহু প্রত্যাশিত নীতিমালা তৈরি হলে এই ১৮ হাজার কোটি টাকার লোভনীয় ব্যবসায় পুরো না হলেও আংশিক স্বচ্ছতা আসবে- এমন দাবি করে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এতে এই ক্যবসা হয়রানি এবং চাঁদামুক্ত হবে। সরকারের কোষাগারে বিপুল অঙ্কের রাজস্ব আদায় হবে। বৈধ প্রক্রিয়ায় সোনা বা অলংকার আমদানি-রফতানি করা যাবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অনুমোদিত যেসব ব্যবসা রয়েছে, তার পণ্য ও উপকরণের প্রায় সবটাই দেশে পাওয়া যায়। এক্ষেত্রে যার জোগান কম, তা আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। এতে কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই বিদেশ থেকে পণ্য বা পণ্যের উপকরণ আনা যায়। ব্যতিক্রম শুধু স্বর্ণালংকারেই। জানা গেছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে লাইসেন্স নিয়ে স্বর্ণালংকার বিক্রির ব্যবসা করতে হয়। কিন্তু এ পণ্য পাওয়ার উৎস কী, তা কেউ ভেবে দেখছে না। কারণ স্বর্ণালংকারের কাঁচামালের উৎস্য হচ্ছে স্বর্ণপিণ্ড। কিন্তু দেশে একরত্তি স্বর্ণেরও উৎপাদন নেই। তা সত্ত্বেও এই স্বর্ণপিণ্ড বা স্বর্ণের তৈরি অলংকার আমদানিকে আইন করে কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। এ কারণে কাগজে-কলমে উন্মুক্ত থাকলেও বাস্তবে দেশে বাণিজ্যিকভাবে কোনো স্বর্ণ আমদানি হচ্ছে না। ফলে বৈধ লাইসেন্স পেয়েও স্বর্ণালংকারের স্বাভাবিক ব্যবসা করতে পারছেন না অনুমোদিতরা। আবার এ খাতে কাঁচামালের সংকট জেনেও অনেককে নতুন লাইসেন্স গ্রহণ এবং নবায়নের জন্য কর্তৃপক্ষের দোরগোড়ায় প্রায় সময় ধরনা দিতে দেখা যায়। এদের উদ্দেশ্য, বৈধতার আড়ালে তাদের অবৈধ স্বর্ণালংকার ব্যবসাকে জায়েজ করার চেষ্টা। যদিও অনেকে ব্যবসা সচল রাখতে মূল কাঁচামাল স্বর্ণের মজুদের জন্য অবৈধপথ বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, এর বিদেশি উৎসের জোগান থেকে শুরু করে স্বর্ণালংকারের অভ্যন্তরীণ উৎপাদক প্রতিষ্ঠান বা বিক্রেতা পর্যন্ত সরবরাহ এবং ক্রেতাপর্যায়ের সিংহভাগের লেনদেনেও অবৈধ অর্থ বা অপ্রদর্শিত টাকা চক্রাকারে হাতবদল হচ্ছে। এ কারণে বৈধ আমদানি না হওয়া সত্ত্বেও বিপণিবিতানে স্বর্ণালংকারের প্রদর্শন ও বিক্রির বিন্দুমাত্র ঘাটতি হয় না। অপরদিকে কাগজে-কলমে এই বৈধ ব্যবসার অবৈধ পণ্যকে জায়েজ করতে সংশ্লিষ্টদের ঘুষ বা চাঁদা দিয়ে ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে হচ্ছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, শুল্ক গোয়েন্দা এবং সংশ্লিষ্টদের খুশি রাখতে মোটা অঙ্কের বরাদ্দ রাখতে হচ্ছে সোনা ব্যবসায়ীদের। ২০ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সোনা আড়াল করতে এ ব্যয়ের সঠিক অঙ্ক নিয়ে সংশ্লিষ্টরা মুখ খুলতে নারাজ। তবে বাড়তি এ খরচ পুষিয়ে নেয়া হয় স্বর্ণালংকারের দাম বাড়িয়ে। ক্রেতাদের পকেট কেটে এভাবে অনৈতিক ব্যবসা করতে চান না তারা। সংশ্লিষ্টরা দাবি করেন, পরিকল্পিত নীতিমালা তৈরি এবং কার্যকর হলেই এসব সমস্যা দূর হতে পারে। এতে বাড়তি খরচ কমে যাবে। যার ভালো প্রভাব পড়বে অলংকারের মূল্যে। এনবিআরও বলছে, বিক্রয়যোগ্য, প্রদর্শিত কিংবা ব্যবসায়ীদের সংরক্ষণে থাকা বেশিরভাগ মজুদ স্বর্ণ ও স্বর্ণালংকারের কোনো নিবন্ধন নেই। ফলে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ববঞ্চিত হচ্ছে। সম্প্রতি বিভিন্ন সংস্থা ও স্টেকহোল্ডারের মধ্যে অনুষ্ঠিত সমন্বয় সভায় এভাবেই স্বর্ণ শিল্পের ভূতুড়ে কারবারের বিষয়টি ঘুরেফিরে সংশ্লিষ্টদের আলোচনার খোরাক জোগাচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চাহিদার বাকি ১০ শতাংশের মধ্যে ৩ থেকে ৪ শতাংশ স্বর্ণের বৈধ জোগান আসে ব্যাগেজরুলসহ মহিলা যাত্রীদের অলংকার হিসেবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমিকদের ব্যবহার করে ব্যাগেজরুলে হাত ব্যাগে করে কিছু স্বর্ণ আনা হচ্ছে। বর্তমানে একজন যাত্রী বিদেশ থেকে আসার সময় বিনা শুল্কে অনধিক ১০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণালংকার অথবা ২০০ গ্রাম ওজনের রুপার অলংকার আনতে পারেন। তবে একই প্রকার অলংকার ১২টির বেশি হতে পারবে না। এছাড়া একজন যাত্রী ২৩৪ গ্রাম বা ২০ তোলা ওজনের স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিণ্ড অথবা সমপরিমাণ রৌপ্যবার শুল্ক পরিশোধ করে আমদানি করতে পারে। আর এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন সোনা ব্যবসায়ীরা। এ ছাড়া পুরনো সোনার পুনর্ব্যবহার বা রূপান্তর থেকেও সোনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এর পরিমাণ মোট চাহিদার ৬-৭ শতাংশের মতো। সম্প্রতি আপন জুয়েলার্সের শোরুমগুলোয় তল্লাশি চালিয়ে শুল্ক গোয়েন্দারা প্রায় ১৫.১৩ মণ বা ৬০৫ কেজি ২০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার আটক করে। এরপরই সোনা ব্যবসার অন্তরালের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর এনবিআরকে অবহিত করে বলেছে, সংস্থার আওতাভুক্ত বিভিন্ন দফতর ৯ বছরে মোট ৪ হাজার ১৩০ কেজি ৪২৫ গ্রাম অবৈধ স্বর্ণ আটক করেছে। শেষ চার অর্থবছরে শুধু বিমানবন্দরে আটক স্বর্ণের পরিমাণ হচ্ছে ১ হাজার ৬৭৪ কেজি ৮৮১ গ্রাম। এসব স্বর্ণের বেশিরভাগেরই বৈধ কোনো উৎস দেখাতে পারেননি ব্যবসায়ীরা। এর কারণে বেশিরভাগ সোনা ব্যবসায়ী তাদের মজুদ স্বর্ণ আটকের ভয়ে রয়েছেন। যদিও পরবর্তী সময়ে সোনা ব্যবসায়ীদের এ আতঙ্ক দূর করতে সরকারের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্তে হয়রানি বন্ধ করে সোনা ব্যবসার নীতিমালা তৈরির সিদ্ধান্ত হয়। বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) সভাপতি ও ভেনাস জুয়েলার্সের মালিক গঙ্গাচরণ মালাকার এ বিষয়ে যুগান্তরকে বলেন, এ বাস্তবতা সবারই জানা। কিন্তু এতদিন কোনো সরকারই বিষয়টি আমলে নেয়নি। এখন কেবল একটি অনাকাক্সিক্ষত (আপন জুয়েলার্স ইস্যু) ঘটনাকে কেন্দ্র করে এগুলো সবার নজরে এসেছে। তিনি বলেন, প্রথম থেকেই এ শিল্পটি নিয়ে সরকারগুলোর মনোযোগ দেয়া উচিত ছিল। স্বর্ণ ব্যবসার লাইসেন্স দেয়া হবে, কিন্তু স্বর্ণ দেয়া হবে না। আবার পদে পদে বাধা দেয়া হবে, হয়রানি করা হবে- এমন ব্যবসা বিশ্বের কোন দেশে আছে বলুন? বাজুস সভাপতি বলেন, আমরা খুশি দেরিতে হলেও বর্তমান সরকার স্বর্ণ শিল্প নিয়ে ভাবতে শুরু করেছে এবং একটি সুষ্ঠু নীতিমালা তৈরিতে মনোযোগী হয়েছে। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী ও বাজুস সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা যুগান্তরকে বলেন, দেশ স্বাধীনের পর থেকেই আমরা একটি ব্যবসাবান্ধব ও যুগোপযোগী স্বর্ণশিল্প নীতিমালা প্রণয়নের দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু কোনো সরকারই তা পূরণ করেনি। ফলে স্বর্ণালঙ্কারের ব্যবসার ডিলিং লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স, আয়কর সনদের মতো বৈধ কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন। জানা গেছে, সব মিলিয়ে দেশে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২৮ হাজারের মতো। বৈধ ব্যবসায়ী মাত্র ৩২ হাজার। ঢাকা শহরে স্বর্ণালঙ্কার ব্যবসায়ীর সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। এর মধ্যে লাইসেন্স আছে মাত্র ৮০৩ প্রতিষ্ঠানের। বাকি ৯৬ হাজার ব্যবসায়ী কোনো অনুমোদন ছাড়াই ব্যবসা করায় বছরে অন্তত শত কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
No comments