যুদ্ধ ও রক্তপাত বন্ধের উপায় খুঁজছে ওআইসি
মুসলিম
দেশগুলোর আন্তঃসংসদীয় সম্মেলন তেহরানে শুরু হয়েছে। এবারের সম্মেলনে
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট
ট্রাম্প এবং ইসরাইলের ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করা এবং ইয়েমেনে সৌদি আগ্রাসনসহ এ
অঞ্চলে বিরাজমান যুদ্ধ ও রক্তপাত বন্ধের উপায় খুঁজে বের করার বিষয়টি
অগ্রাধিকার পাবে। তবে মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাবশালী বলে দাবিদার কয়েকটি দেশ
তেহরান সম্মেলনে যোগ দেয়নি। এ থেকে বোঝা যায়, মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা
ফিরিয়ে আনা এবং সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার আগ্রহ ওই সরকারগুলোর নেই।
ওই দেশগুলো
অনুপস্থিত থাকলেও প্রায় ৪০টি দেশের সংসদীয় প্রতিনিধি দল সম্মেলনে অংশ নেয়া
থেকে বোঝা যায়, তেহরান আঞ্চলিক কূটনৈতিক তৎপরতার কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। গত
সপ্তাহেও আরব ও পাশ্চাত্যের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে তেহরানে নিরাপত্তা
বিষয়ক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ থেকে বোঝা যায় মধ্যপ্রাচ্যে
শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার জন্য তেহরান যেসব কর্মসূচি ও প্রস্তাব
উত্থাপন করেছে তার প্রতি বহু দেশের সমর্থন রয়েছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন,
আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক নানা বিষয় নিয়ে কয়েকটি মুসলিম দেশের সরকারের মধ্যে
মতবিরোধ বজায় থাকলেও মুসলিম দেশগুলোর আন্তঃসংসদীয় সম্মেলনে কূটনৈতিক
তৎপরতার মাধ্যমে মতভেদ দূর করা সম্ভব। এভাবে আঞ্চলিক যেকোনো সমস্যা কাটিয়ে
ওঠা সম্ভব। এতে করে পশ্চিমা এশিয়া বা মধ্যপ্রাচ্যসহ মুসলিম দেশগুলোর
অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন পড়বে না এবং নিজেরাই নিজেদের
সংকট বা যে কোনো মতবিরোধের মীমাংসা করতে পারবে। তেহরানে মুসলিম দেশগুলোর
আন্তঃসংসদীয় সম্মেলন অনুষ্ঠান থেকে বোঝা যায়, ইরানসহ বহু দেশ নিজেদের মধ্যে
সংলাপের মাধ্যমে বিরাজমান যেকোনো বিরোধ মীমাংসার পক্ষপাতী। তেহরানে মুসলিম
দেশগুলোর আন্তঃসংসদীয় সম্মেলন থেকে আবারো প্রমাণিত হয়েছে, বাইরের কোনো
হস্তক্ষেপ ছাড়াই অভ্যন্তরীণ বিরোধ মীমাংসায় তারা বদ্ধ পরিকর।
No comments