তিন হাজার বিদ্যালয়ে নতুন ভবন হবে
সারা
দেশের তিন হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনসহ অন্যান্য
ভবন নির্মাণ ও আসবাবপত্র সরবরাহের জন্য ১০ হাজার ৬৪৯ কোটি টাকার প্রকল্প
হাতে নেওয়া হয়েছে। সেই হিসাবে একেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় গড়ে সাড়ে তিন কোটি
টাকা করে বরাদ্দ পেতে পারে। সরকারি অর্থায়নে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতায় শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর। মাধ্যমিক
স্তরের শিক্ষার্থীদের বর্ধিত চাহিদা পূরণ ও শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি
করার জন্য এই প্রকল্প গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী
কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন দেওয়া হয়। শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলনকক্ষে
অনুষ্ঠিত একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে
পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের সভার বিস্তারিত জানান।
তিন হাজার বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য প্রকল্পটি নেওয়ার কারণ হিসেবে
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, মাধ্যমিক স্তরে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা গত কয়েক দশকে
ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। তাই সবার জন্য মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিতে
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষের সংখ্যা বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। দেশে বর্তমানে
৩২৭টি সরকারি ও ১৯ হাজার ৩৫৭টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় আছে। এসব
বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৯১ লাখ ৬০ হাজার। বেসরকারি মাধ্যমিক
বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ প্রকল্পসহ একনেক সভায় মোট ১৪টি প্রকল্প অনুমোদন
দেওয়া হয়। এর মধ্যে ৯টি নতুন ও বাকিগুলো সংশোধিত প্রকল্প। এতে মোট ব্যয় ধরা
হয়েছে ১৮ হাজার ৪৮২ কোটি ৯২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকার ১৬ হাজার ৩৭০ কোটি
টাকা, বিভিন্ন সংস্থা ৯৫ কোটি ও প্রকল্প সাহায্য হিসেবে ২ হাজার ১৭ কোটি ১১
লাখ টাকা অর্থায়ন করবে। একনেকে অনুমোদিত নতুন প্রকল্পগুলো হচ্ছে
বন্যাপ্রবণ ও নদীভাঙন এলাকায় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ (তৃতীয় পর্যায়);
জেলা ত্রাণ গুদাম কাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা তথ্যকেন্দ্র নির্মাণ;
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর উপজেলায় মহানন্দা নদী ড্রেজিং ও রাবার ড্যাম
স্থাপন; বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প-৩; বৃহত্তর
ফরিদপুরের চরাঞ্চল এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গবাদিপশুর জাত উন্নয়ন ও দুধের
বহুমুখী ব্যবহার নিশ্চিতকরণ কারখানা স্থাপন; অগ্রাধিকারমূলক গ্রামীণ পানি
সরবরাহ; বরুড়া উপজেলার সঙ্গে সংযুক্ত চাঁপাপুর-বরুড়া, নিমসার-বরুড়া এবং
খাজুরিয়া-বরুড়া জেলা মহাসড়ক তিনটি যথাযথ মানে ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ এবং
কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বহুতল অফিস ভবন নির্মাণ। এ ছাড়া একনেক সভায়
অনুমোদিত হওয়া সংশোধিত প্রকল্পের মধ্যে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় তৃতীয়
শীতলক্ষ্যা সেতু নির্মাণ; রাজশাহী, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, সিলেট,
নারায়ণগঞ্জ ও সিরাজগঞ্জে ৭টি র্যাব কমপ্লেক্স নির্মাণ; এ্যাকটিভ
ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) শিল্পপার্ক; জরুরি ২০০৭ ঘূর্ণিঝড়
পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্প (ইসিআরআরপি): এলজিইডি অংশ এবং জরুরি ২০০৭
ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্প (ইসিআরআরপি): পিসিএমইউ অংশ।
No comments