ট্রাম্পের চোখে মার্টিনের স্বপ্ন!
বর্ণবাদী
বক্তব্য দিয়ে বেশ বেকায়দায় রয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
একদিকে নিজের দোষ অস্বীকার করছেন, আবার অন্যের ওপর এর দায়ভার চাপাচ্ছেন।
পলকে ভোল পাল্টানোর বাতিক রয়েছে ট্রাম্পের। কিন্তু এবার বিশ্বের
কৃষ্ণাঙ্গদের প্রাণপুরুষ মার্টিন লুথার কিংয়ের স্বপ্নই নিজের স্বপ্ন বানিয়ে
নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। সোমবার মার্টিন লুথার দিবস উপলক্ষে
এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, লুথার কিংয়ের স্বপ্নই আমার স্বপ্ন। খবর এএফপির।
সোমবার আমেরিকার জনগণ, মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র দিবস উদযাপন করেছেন।
প্রতি বছরের জানুয়ারির তৃতীয় সোমবার তার প্রতি সম্মান জানানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে কৃষ্ণাঙ্গ নাগরিক অধিকার আন্দোলনের প্রবক্তা মার্টিন লুথার
উপলব্ধি করতেন যে, ওই আন্দোলনের সাফল্য নির্ভর করে অহিংস নীতিমালার ওপর।
১৯৫০ ও ১৯৬০-এর দশকে লুথার দক্ষিণাঞ্চলে পৃথকীকরণের বিরুদ্ধে, কৃষ্ণাঙ্গদের
সমতার জন্য আন্দোলন এবং ভোট দেয়ার অধিকারের জন্য অহিংস প্রতিবাদ বিক্ষোভের
আয়োজন করেন। ‘আমার একটি স্বপ্ন আছে’ (আই হ্যাভ এ ড্রিম) ভাষণের জন্য
বিখ্যাত এ নেতা ১৯৬৮ সালে আততায়ীর গুলিতে প্রাণ হারান। লুথার কিং দিবস
উপলক্ষে টুইটারে এক ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন ট্রাম্প।
সেখানে তিনি বলেন,
‘ড. লুথার কিংয়ের স্বপ্নই আমার স্বপ্ন। এটাই আমেরিকার স্বপ্ন।’ ট্রাম্পের এ
ধরনের মন্তব্যে বেজায় চটেছেন আফ্রিকা-আমেরিকার নেতারা। ১৯৬০-এর দশকে
মার্টিন লুথারের সঙ্গে আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী জর্জিয়ার কংগ্রেস সদস্য জন
লুইস বলেন, ‘আমি মনে করি, এই ব্যক্তি, এই প্রেসিডেন্ট, আমাদেরকে পেছনের
দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তিনি (ট্রাম্প) আসলেই একজন বর্ণবাদী।’ ন্যাশনাল
অ্যাসোসিয়েশন ফর দ্য কালার্ড পিপলের প্রেসিডেন্ট কর্নেল ব্রুকস বলেন,
‘মার্টিন লুথারের ভাষণকে উদাহরণ টেনে আনা বাচালতার সমান।’ এদিকে ট্রাম্প
তার বিরুদ্ধে আনা বর্ণবাদী মন্তব্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওভাল অফিসে
অভিবাসন নীতিমালা নিয়ে সংসদ সদস্যদের সঙ্গে বৈঠকে তার বক্তব্যকে ‘সম্পূর্ণ
ভুলভাবে’ উপস্থাপন করা হচ্ছে। সোমবার এক টুইটে তিনি তার বিরুদ্ধে
অভিযোগকারী ডেমোক্রেট সিনেটর ডিক ডারবিনের বিরুদ্ধেও একহাত নিয়েছেন বলেন,
তার বক্তব্য ভুলভাবে উপস্থাপন করে ডারবিন তরুণ অভিবাসীদের নিয়ে নতুন
চুক্তির সম্ভাবনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, মার্কিন সামরিক বাহিনীকে আঘাত
দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার অভিবাসন নীতিমালা নিয়ে কথা বলতে গেলে মার্কিন
প্রেসিডেন্ট বেশ কয়েকটি আফ্রিকান দেশকে ‘নোংরা জায়গা’ হিসেবে অভিহিত করেন
বলে অভিযোগ করেন ডারবিন। বৈঠকে থাকা রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহামও
ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বর্ণবাদীর অভিযোগ আনেন।
No comments