‘রোহিঙ্গাদের কান্নার আওয়াজ শুনতে হবে’
রোহিঙ্গাদের
কান্না, মানবতার কান্না। এই কান্নার আওয়াজ শুনতে হবে। পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশের ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের একমাত্র কার্ডিনাল প্যাট্রিক
ডি’রোজারিও এ কথা বলেছেন। শঙ্কা প্রকাশ করে তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, বিশ্ব
সম্প্রদায়ের ত্রাণ তৎপরতা এখন পর্যন্ত সন্তোষজনক; তবে, কতদিন তা চলমান
থাকবে? তিনি বলেন, এই সংকটের প্রাথমিক পর্যায়ে যেমন উদারতা দেখা গেছে, সেটা
স্থায়ী হবে না।
পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরকে সামনে রেখে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক।
পোপের এই সফর রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিরসনের পদক্ষেপগুলোকে আরো শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে রোহিঙ্গাদের দেখভাল করতে পারবে না। তাদের ফেরত যেতে হবে। কিন্তু, নিজেদের নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব, ভুমির অধিকার, আশ্রয়ের অধিকার এবং মানসিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে তারা যাবে না।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে এখন বিশ্বের সবথেকে বৃহৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সেখানে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ মানুষের মধ্যে কিছু সংখ্যক মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দু’দেশের চুক্তি হয়েছে গেল সপ্তাহে। তা সত্ত্বেও, কার্ডিনাল প্যাট্রিক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এখনও রীতিমতো বিস্ফোরক অবস্থা বিরাজ করছে। এর সমাধা করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব বলে আমি আশাবাদী। বিশ্ব সম্প্রদায়ও এটা চায়। আর, হলি ফাদারের সফর বহু মানুষের মন ও হৃদয়কে সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত করবে।’
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো নেই। আর শনিবার বাংলাদেশ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে রাখার পরিকল্পনা মিয়ানমারের।
কঠিন এই পরিস্থিতিতেও পোপের সফরে আশা দেখছেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশের ৩ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিকদের মধ্যে প্রথম কার্ডিনাল নিয়োগ দেন প্যাট্রিক ডি’রোজারিওকে।
সফরসূচী অনুযায়ী, সোমবার মিয়ানমার পৌঁছাবেন পোপ। বাংলাদেশ আসবেন বৃহস্পতিবার। সূচীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন না থাকলেও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পোপের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে ঢাকায়। আন্ত-ধর্মীয় একটি সভায় আনা হবে একদল রোহিঙ্গাকে।
কার্ডিনাল প্যাট্রিক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই দিন সময় কাটিয়েছেন। জাতিসংঘ আখ্যায়িত জাতিগত নিধনের পরিকল্পিত সহিংসতা ও নিপীড়নের মুখে রাখাইনে নিজ বাড়িঘর থেকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। মি. প্যাট্রিক বলেন, ‘ওদেরকে যেটা বলা জরুরি তা হলোÑ আমরা তোমাদের পাশে আছি।’ চার্চের ভূমিকা ফিল্ড হাসপাতালের মতো হওয়ার উচিত বলে পোপ ফ্রান্সিস প্রায়ই যে মন্তব্য করেন সেখান থেকে অনুপ্রেরণা ধারণ করেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক।
চার্চের মানবিক ও দাতব্য অঙ্গ কারিটাস শরণার্থী ক্যাম্পে ৪০ হাজার পরিবারের খাওয়ার সংস্থান করতে সহায়তা করছে। সংখ্যায় সেটা হবে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ। প্যাট্রিক বলেন, ‘ভাবুন তোÑ আমাদের মতো ছোট্ট একটি চার্চ এক তৃতীয়াং শরণার্থীকে দেখভাল করছে।’
বাংলাদেশের ছোট খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করলেও তিনি স্বীকার করলেন যে, ভবিষ্যতটা খুব বেশি ভালো বোধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে একা এটা সামাল দেয়া সম্ভব না। ভবিষ্যত অত্যন্ত অনিশ্চিত।’
কার্ডিনাল প্যাট্রিক আরো বলেন, শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।
পোপ ফ্রান্সিসের বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সফরকে সামনে রেখে বার্তা সংস্থা এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এসব কথা বলেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক।
পোপের এই সফর রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট নিরসনের পদক্ষেপগুলোকে আরো শক্তিশালী করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। তিনি আরো বলেন, ‘আমি মনে করি বাংলাদেশ দীর্ঘমেয়াদে রোহিঙ্গাদের দেখভাল করতে পারবে না। তাদের ফেরত যেতে হবে। কিন্তু, নিজেদের নিরাপত্তা, নাগরিকত্ব, ভুমির অধিকার, আশ্রয়ের অধিকার এবং মানসিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তা না পেলে তারা যাবে না।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, সীমান্তের বাংলাদেশ অংশে এখন বিশ্বের সবথেকে বৃহৎ রোহিঙ্গা ক্যাম্প। সেখানে আশ্রয় নেয়া লাখ লাখ মানুষের মধ্যে কিছু সংখ্যক মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দু’দেশের চুক্তি হয়েছে গেল সপ্তাহে। তা সত্ত্বেও, কার্ডিনাল প্যাট্রিক সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, এখনও রীতিমতো বিস্ফোরক অবস্থা বিরাজ করছে। এর সমাধা করা কঠিন হবে। তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো সম্ভব বলে আমি আশাবাদী। বিশ্ব সম্প্রদায়ও এটা চায়। আর, হলি ফাদারের সফর বহু মানুষের মন ও হৃদয়কে সেই লক্ষ্যে প্রস্তুত করবে।’
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর বলেছে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা মুসলিমদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের জন্য প্রয়োজনীয় শর্তগুলো নেই। আর শনিবার বাংলাদেশ ইঙ্গিত দিয়েছে যে, প্রাথমিকভাবে রোহিঙ্গাদের অস্থায়ী আশ্রয়শিবিরে রাখার পরিকল্পনা মিয়ানমারের।
কঠিন এই পরিস্থিতিতেও পোপের সফরে আশা দেখছেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে পোপ ফ্রান্সিস বাংলাদেশের ৩ লাখ ৬০ হাজার ক্যাথলিকদের মধ্যে প্রথম কার্ডিনাল নিয়োগ দেন প্যাট্রিক ডি’রোজারিওকে।
সফরসূচী অনুযায়ী, সোমবার মিয়ানমার পৌঁছাবেন পোপ। বাংলাদেশ আসবেন বৃহস্পতিবার। সূচীতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন না থাকলেও রোহিঙ্গাদের সঙ্গে পোপের সাক্ষাতের ব্যবস্থা করা হবে ঢাকায়। আন্ত-ধর্মীয় একটি সভায় আনা হবে একদল রোহিঙ্গাকে।
কার্ডিনাল প্যাট্রিক রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দুই দিন সময় কাটিয়েছেন। জাতিসংঘ আখ্যায়িত জাতিগত নিধনের পরিকল্পিত সহিংসতা ও নিপীড়নের মুখে রাখাইনে নিজ বাড়িঘর থেকে বাধ্য হয়ে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। মি. প্যাট্রিক বলেন, ‘ওদেরকে যেটা বলা জরুরি তা হলোÑ আমরা তোমাদের পাশে আছি।’ চার্চের ভূমিকা ফিল্ড হাসপাতালের মতো হওয়ার উচিত বলে পোপ ফ্রান্সিস প্রায়ই যে মন্তব্য করেন সেখান থেকে অনুপ্রেরণা ধারণ করেন কার্ডিনাল প্যাট্রিক।
চার্চের মানবিক ও দাতব্য অঙ্গ কারিটাস শরণার্থী ক্যাম্পে ৪০ হাজার পরিবারের খাওয়ার সংস্থান করতে সহায়তা করছে। সংখ্যায় সেটা হবে আনুমানিক ৩ লাখ মানুষ। প্যাট্রিক বলেন, ‘ভাবুন তোÑ আমাদের মতো ছোট্ট একটি চার্চ এক তৃতীয়াং শরণার্থীকে দেখভাল করছে।’
বাংলাদেশের ছোট খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ভূমিকা নিয়ে গর্ব প্রকাশ করলেও তিনি স্বীকার করলেন যে, ভবিষ্যতটা খুব বেশি ভালো বোধ হচ্ছে না। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের পক্ষে একা এটা সামাল দেয়া সম্ভব না। ভবিষ্যত অত্যন্ত অনিশ্চিত।’
কার্ডিনাল প্যাট্রিক আরো বলেন, শরণার্থীদের আশ্রয় দিতে বাংলাদেশের প্রচেষ্টা প্রশংসার দাবিদার।
No comments