ইরান-সৌদি আরব বাকযুদ্ধ
বাকযুদ্ধ
চলছে ইরান ও সৌদি আরবের মধ্যে। নতুন করে এতে দু’দেশের সম্পর্কে আরো টান
লেগেছে। সর্বশেষ ইরানের সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে
‘মধ্যপ্রাচ্যের হিটলার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স
মোহাম্মদ বিন সালমান। এর পাল্টা জবাব দিয়েছে ইরান। তারা বলেছে, সৌদি আরবের
ক্রাউন প্রিন্স ‘অপরিপক্ব’। তাকে এডভেঞ্চারিস্ট হিসেবেও আখ্যায়িত করা হয়।
উল্টো তাকেই মধ্যপ্রাচ্যের সুপরিচিত স্বৈরাচারদের পরিণতি সম্পর্কে ভাবার আহ্বান জানানো হয়েছে ইরানের পক্ষ থেকে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ইরান ক্রমাগাত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ জন্য ইরানকে মধ্যাপ্রাচ্যের ‘ইউরোপ’ হিসেবে ব্যাঙ্গ করেন সালমান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, ইরানকে তার প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না। এ সময়ে তিনি আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা ‘ইউরোপ’ থেকে শিখতে পেরেছি যে, প্রশংসা কাজ করে না। মধ্যাপ্রাচ্যের ‘ইউরোপে’ যা ঘটেছিল তা নতুন করে ঘটনাতে আমরা ইরানের নতুন হিটলারকে অনুমোদন দিতে পারি না। তার এমন বক্তব্যে ফুঁসছে ইরান। রাজনীতিবিদ, জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন আক্রমণের জবাব দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এডভেঞ্চারপ্রিয়। তিনি অপরিণত। অবিবেচক। তার মন্তব্য ও কথাবার্তা ভিত্তিহীন। তিনি আরো বলেন, আমি তাকে দৃঢ়তার সঙ্গে উপদেশ দিচ্ছি, গত কয়েক বছরের মধ্যে আঞ্চলিক সুপরিচিত স্বৈরাচারদের পরিণতি সম্পর্কে জানুন। এখন তিনি তো তাদের নীতি গ্রহণ করছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি তাদের রোল মডেল হয়ে উঠছেন। এসব খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, সৌদি আরবের কার্যত নেতা এখন মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি ইরানের বিুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। দু’বছরের মতো তিনি ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তার করেছেন। এর পর থেকেই ইরান বিরোধী অবস্থান তার। এ মাসের শুরুর দিকে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে লক্ষ্য করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে যুদ্ধের সমান কর্মকান্ড করছে ইরান। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। উল্লেখ্য, সুন্নীপ্রধান মুসলিম দেশ সৌদি আরব ও শিয়া প্রধান ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে ইরান। এই ইয়েমেনেই ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে লড়াই করছে একটি জোট। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান ও ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা। ওদিকে ইয়েমেনে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার সঙ্কটের জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করা হয়। বিশ্বে সবচেয়ে বড় মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে ইয়েমেনেÑ এমনটা বলছে জাতিসংঘ। ওদিকে ইরাকে ইরান ক্রমবর্ধমান হারে প্রভাব বিস্তার করছে এমন অভিযোগ এনে তাদেরকে সতর্ক করেছে সৌদি আরব। শুধু তা-ই নয়, লেবাননকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার জন্য এক দেশ আরেক দেশকে দায়ী করে। লেবাননে সৌদি আরবপন্থি প্রধানমন্ত্রী এমন একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাতে রয়েছে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপ।
উল্টো তাকেই মধ্যপ্রাচ্যের সুপরিচিত স্বৈরাচারদের পরিণতি সম্পর্কে ভাবার আহ্বান জানানো হয়েছে ইরানের পক্ষ থেকে। এ নিয়ে দু’দেশের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে। আঞ্চলিক শক্তি হিসেবে ইরান ক্রমাগাত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। এ জন্য ইরানকে মধ্যাপ্রাচ্যের ‘ইউরোপ’ হিসেবে ব্যাঙ্গ করেন সালমান। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে একটি সাক্ষাতকার দিয়েছেন। তাতে বলেছেন, ইরানকে তার প্রভাব বিস্তার করতে দেয়া হবে না। এ সময়ে তিনি আয়াতুল্লাহ আলী খোমেনিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমরা ‘ইউরোপ’ থেকে শিখতে পেরেছি যে, প্রশংসা কাজ করে না। মধ্যাপ্রাচ্যের ‘ইউরোপে’ যা ঘটেছিল তা নতুন করে ঘটনাতে আমরা ইরানের নতুন হিটলারকে অনুমোদন দিতে পারি না। তার এমন বক্তব্যে ফুঁসছে ইরান। রাজনীতিবিদ, জনগণের মধ্যে দেখা দিয়েছে তীব্র ক্ষোভ। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের এমন আক্রমণের জবাব দিয়েছে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স এডভেঞ্চারপ্রিয়। তিনি অপরিণত। অবিবেচক। তার মন্তব্য ও কথাবার্তা ভিত্তিহীন। তিনি আরো বলেন, আমি তাকে দৃঢ়তার সঙ্গে উপদেশ দিচ্ছি, গত কয়েক বছরের মধ্যে আঞ্চলিক সুপরিচিত স্বৈরাচারদের পরিণতি সম্পর্কে জানুন। এখন তিনি তো তাদের নীতি গ্রহণ করছেন বলে মনে হচ্ছে। তিনি তাদের রোল মডেল হয়ে উঠছেন। এসব খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, সৌদি আরবের কার্যত নেতা এখন মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি ইরানের বিুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। দু’বছরের মতো তিনি ক্ষমতায় প্রভাব বিস্তার করেছেন। এর পর থেকেই ইরান বিরোধী অবস্থান তার। এ মাসের শুরুর দিকে তিনি ইরানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। বলেছেন, প্রতিবেশী দেশ ইয়েমেন থেকে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদকে লক্ষ্য করে একটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছিল। এর মাধ্যমে যুদ্ধের সমান কর্মকান্ড করছে ইরান। তবে এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে ইরান। উল্লেখ্য, সুন্নীপ্রধান মুসলিম দেশ সৌদি আরব ও শিয়া প্রধান ইরানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে উত্তেজনা বিরাজ করছে। সৌদি আরবের অভিযোগ, ইয়েমেনে শিয়া হুতি বিদ্রোহীদের সহায়তা করছে ইরান। এই ইয়েমেনেই ২০১৫ সাল থেকে সৌদি আরবের নেতৃত্বে লড়াই করছে একটি জোট। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইরান ও ইয়েমেনের বিদ্রোহীরা। ওদিকে ইয়েমেনে ব্যাপকভাবে মানবাধিকার সঙ্কটের জন্য সৌদি আরবকে দায়ী করা হয়। বিশ্বে সবচেয়ে বড় মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে ইয়েমেনেÑ এমনটা বলছে জাতিসংঘ। ওদিকে ইরাকে ইরান ক্রমবর্ধমান হারে প্রভাব বিস্তার করছে এমন অভিযোগ এনে তাদেরকে সতর্ক করেছে সৌদি আরব। শুধু তা-ই নয়, লেবাননকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টার জন্য এক দেশ আরেক দেশকে দায়ী করে। লেবাননে সৌদি আরবপন্থি প্রধানমন্ত্রী এমন একটি জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন যাতে রয়েছে ইরান সমর্থিত হিজবুল্লাহ গ্রুপ।
No comments