চরম অব্যবস্থাপনায় ঘরমুখো মানুষের অসহীয় দুর্ভোগ by আবু সালেহ আকন
চরম
অব্যবস্থাপনা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, ট্রাফিক সিগনাল, রাস্তায় যানবাহন
চলাচল; কোনোস্থানেই শৃঙ্খলা নেই। যে কারণে ঘরমুখো মানুষের দুর্ভোগ আরো
বাড়ছে। গতকাল বৃহস্পতিবার যাত্রীদের যে ভোগান্তি হয়েছে আজ সেই ভোগান্তির
মাত্রা ছিলো আরো অনেক বেশি। ঢাকা থেকে বের হতেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা লেগেছে
মানুষের। ৩-৪ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে গাড়ির নাগাল পেতে হয়েছে। আর যারা
দূরপাল্লার বাসের অগ্রীম টিকেট সংগ্রহ করেছিলেন তাদের নির্দিষ্ট গাড়ির জন্য
অপেক্ষা করতে হয়েছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
আজ ফজরের নামাজ আদায় করেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন পটুয়াখালীর বিল্লাল। ভেবেছিলেন গুলিস্তান থেকে বাসে শিমুলিয়া ঘাটে যাবেন। সেখান থেকে ওপাড়ে গিয়ে বরিশালের গাড়িতে উঠবেন। ভোর ৫টার দিকে গুলিস্তান গিয়ে দেখেন কয়েক হাজার মানুষ। গাড়ির জন্য লাইন দিয়েছেন তারা। একটি করে গাড়ি আসছে, আর যাত্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে। সেই লাইন দিয়ে গাড়িতে উঠতে তার দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। শিমুলিয়া যেতে ঘাটে ঘাটে থেমেছে গাড়িটি। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে গাড়িটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার কাছে গিয়ে অবস্থান নেয়। কিন্তু গাড়ি আর চলছে না। সেই সকালে শিমুলিয়া ঘাটে প্রায় একশ’ গাড়ির জট।
বিল্লাল জানান, এতোটুকু রাস্তা পায়ে হেটে যেতে হয়েছে। ঘাটে গিয়ে দেখেন আরো করুন দশা। হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন লঞ্চ ও স্পিড বোটের জন্য। স্পিডবোটের সিরিয়ালে রয়েছেন অন্তত দুশ’ মানুষ। প্রায় এক ঘণ্টা লেগেছে স্পিডবোটে চড়তে। ওপাড়ে কাঠালতলী গিয়ে দেখেন মানুষের দীর্ঘ লাইন বাসে চড়ার। প্রতিটি কাউন্টার থেকে অন্তত পাঁচটি বাসের অগ্রীম টিকেট আগেই বিক্রি করা হয়ে গেছে। বেলা একটার দিকে তিনি গাড়ি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, এমন ভোগান্তি হবে তা ভাবতেও পারেননি।
এদিকে, বিল্লাল জানালেন, পরিবহনগুলোতেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে শিমুলিয়ার ভাড়া ৭০ টাকা। সেখানে আজ রাখা হয়েছে একশ’ টাকা। স্পিডবোটের ভাড়া রাখা হয়েছে দ্বিগুন। ওপাড়ে কাঠালতলী থেকে বরিশালের ভাড়া নন এসি দুশ’। আর এসি টিকেট যাত্রী প্রতি আড়াইশ’ টাকা। আজ রাখা হয়েছে পাঁচশ’ টাকা।
একাধিক যাত্রী বলেছেন, গুলিস্তান, শিমুলিয়া ঘাট, কাঠালতলী পরিবহন কাউন্টার কোথাও শৃঙ্খলা নেই। বিশৃঙ্খলার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি আরো বেড়েছে।
ভূক্তভোগিরা বলেছেন, দিন যতো বাড়তে থাকে শিমুলিয়া ঘাটের যানজটও ততোই বাড়তে থাকে।
দুপুরের দিকে কাওসার নামের এক যাত্রী জানান, ঘাটে তিন কিলোমিটার যানজট। সেখানে অন্তত ৬শ’ গাড়ি আটকে পড়েছে। বিকেলে খবর পাওয়া গেছে ঘাটে তখনো তিনশ’য়ের মতো গাড়ি আটকে আছে।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডেও আজ তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
এক যাত্রী জানিয়েছেন, মেঘনা থেকে গোমতি ব্রিজ পর্যন্ত আজ দিনভর যানজট লেগেছিল।
এদিকে, ঢাকা-পাটুরিয়া রুটে আজ তীব্র পরিবহন সঙ্কট লক্ষ্য করা গেছে। গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে সকালে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু গাড়ি নেই। যে দু’একটি গাড়ি আছে তাতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ।
দূরপাল্লার বাসে যারা অগ্রীম টিকেট সংগ্রহ করেছিলেন তারাও পড়েন চরম বিপাকে।
আজ সকালে গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য। অধিকাংশ কাউন্টারেই নির্দিষ্ট সময়ে আজ গাড়ি পাওয়া যায়নি। ফলে যাত্রীদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকে বলেছেন, তারা ঝামেলা এড়ানোর জন্য সেহরি সেরেই টার্মিনালের উদ্দেশ্যে এসেছেন। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে তারা হতাশ।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক বলেছেন, পথে পথে তাদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এই টাকাতো আর মালিক দিবেন না। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে তাদেরকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও আজ তীব্র যানজট ছিলো।
একাধিক যাত্রী মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, গাড়ির চরম ধীরগতিতে চলছে। এই চলছে, এই থামছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবেই তারা বাসের মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে, যাত্রীদের অনেকেই বলেছেন, গাড়ির চালক রাস্তার উপর গাড়ি থামিয়ে মহাসড়কের যাত্রী তুলছে যে কারণে কোথাও কোথাও দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঘাটগুলোতে বাড়তি টাকার জন্য কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে রাখা হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, বিপ্লবী সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বলেছেন, রাস্তায় যানবাহনের খুব চাপ। যে কারণে কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
লঞ্চ টার্মিনালেও ছিলো চরম বিশৃঙ্খলা।
একাধিক যাত্রী বলেছেন, টার্মিনালে পৌঁছতেই তাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। আজ পল্টন মোড় থেকেই যানজট লক্ষ্য যায়। বিকেলে শত শত যাত্রীকে এই পল্টন মোড় থেকে সদরঘাট টার্মিনালের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
আজ ফজরের নামাজ আদায় করেই বাসা থেকে বের হয়েছিলেন পটুয়াখালীর বিল্লাল। ভেবেছিলেন গুলিস্তান থেকে বাসে শিমুলিয়া ঘাটে যাবেন। সেখান থেকে ওপাড়ে গিয়ে বরিশালের গাড়িতে উঠবেন। ভোর ৫টার দিকে গুলিস্তান গিয়ে দেখেন কয়েক হাজার মানুষ। গাড়ির জন্য লাইন দিয়েছেন তারা। একটি করে গাড়ি আসছে, আর যাত্রী নিয়ে চলে যাচ্ছে। সেই লাইন দিয়ে গাড়িতে উঠতে তার দুই ঘণ্টা সময় লেগেছে। শিমুলিয়া যেতে ঘাটে ঘাটে থেমেছে গাড়িটি। প্রায় দুই ঘণ্টা পরে গাড়িটি শিমুলিয়া ঘাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার কাছে গিয়ে অবস্থান নেয়। কিন্তু গাড়ি আর চলছে না। সেই সকালে শিমুলিয়া ঘাটে প্রায় একশ’ গাড়ির জট।
বিল্লাল জানান, এতোটুকু রাস্তা পায়ে হেটে যেতে হয়েছে। ঘাটে গিয়ে দেখেন আরো করুন দশা। হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন লঞ্চ ও স্পিড বোটের জন্য। স্পিডবোটের সিরিয়ালে রয়েছেন অন্তত দুশ’ মানুষ। প্রায় এক ঘণ্টা লেগেছে স্পিডবোটে চড়তে। ওপাড়ে কাঠালতলী গিয়ে দেখেন মানুষের দীর্ঘ লাইন বাসে চড়ার। প্রতিটি কাউন্টার থেকে অন্তত পাঁচটি বাসের অগ্রীম টিকেট আগেই বিক্রি করা হয়ে গেছে। বেলা একটার দিকে তিনি গাড়ি পেয়েছেন।
তিনি বলেন, এমন ভোগান্তি হবে তা ভাবতেও পারেননি।
এদিকে, বিল্লাল জানালেন, পরিবহনগুলোতেও বাড়তি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। ঢাকা থেকে শিমুলিয়ার ভাড়া ৭০ টাকা। সেখানে আজ রাখা হয়েছে একশ’ টাকা। স্পিডবোটের ভাড়া রাখা হয়েছে দ্বিগুন। ওপাড়ে কাঠালতলী থেকে বরিশালের ভাড়া নন এসি দুশ’। আর এসি টিকেট যাত্রী প্রতি আড়াইশ’ টাকা। আজ রাখা হয়েছে পাঁচশ’ টাকা।
একাধিক যাত্রী বলেছেন, গুলিস্তান, শিমুলিয়া ঘাট, কাঠালতলী পরিবহন কাউন্টার কোথাও শৃঙ্খলা নেই। বিশৃঙ্খলার কারণে যাত্রীদের ভোগান্তি আরো বেড়েছে।
ভূক্তভোগিরা বলেছেন, দিন যতো বাড়তে থাকে শিমুলিয়া ঘাটের যানজটও ততোই বাড়তে থাকে।
দুপুরের দিকে কাওসার নামের এক যাত্রী জানান, ঘাটে তিন কিলোমিটার যানজট। সেখানে অন্তত ৬শ’ গাড়ি আটকে পড়েছে। বিকেলে খবর পাওয়া গেছে ঘাটে তখনো তিনশ’য়ের মতো গাড়ি আটকে আছে।
এদিকে, ঢাকা-চট্টগ্রাম রোডেও আজ তীব্র যানজট লক্ষ্য করা গেছে।
এক যাত্রী জানিয়েছেন, মেঘনা থেকে গোমতি ব্রিজ পর্যন্ত আজ দিনভর যানজট লেগেছিল।
এদিকে, ঢাকা-পাটুরিয়া রুটে আজ তীব্র পরিবহন সঙ্কট লক্ষ্য করা গেছে। গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে সকালে দেখা যায় হাজার হাজার মানুষ পাটুরিয়া ঘাটে যাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু গাড়ি নেই। যে দু’একটি গাড়ি আছে তাতে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপ।
দূরপাল্লার বাসে যারা অগ্রীম টিকেট সংগ্রহ করেছিলেন তারাও পড়েন চরম বিপাকে।
আজ সকালে গাবতলী টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায় শত শত মানুষ অপেক্ষা করছেন গাড়ির জন্য। অধিকাংশ কাউন্টারেই নির্দিষ্ট সময়ে আজ গাড়ি পাওয়া যায়নি। ফলে যাত্রীদেরকে ঘণ্টার পর ঘণ্টার অপেক্ষা করতে হয়েছে। অনেকে বলেছেন, তারা ঝামেলা এড়ানোর জন্য সেহরি সেরেই টার্মিনালের উদ্দেশ্যে এসেছেন। কিন্তু গাড়ি না পেয়ে তারা হতাশ।
অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের ব্যাপারে কয়েকজন পরিবহন শ্রমিক বলেছেন, পথে পথে তাদেরকে চাঁদা দিতে হচ্ছে। এই টাকাতো আর মালিক দিবেন না। তাই বাধ্য হয়ে যাত্রীদের কাছ থেকে তাদেরকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করতে হচ্ছে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও আজ তীব্র যানজট ছিলো।
একাধিক যাত্রী মোবাইল ফোনে জানিয়েছেন, গাড়ির চরম ধীরগতিতে চলছে। এই চলছে, এই থামছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা এভাবেই তারা বাসের মধ্যে রয়েছেন।
এদিকে, যাত্রীদের অনেকেই বলেছেন, গাড়ির চালক রাস্তার উপর গাড়ি থামিয়ে মহাসড়কের যাত্রী তুলছে যে কারণে কোথাও কোথাও দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। ঘাটগুলোতে বাড়তি টাকার জন্য কৃত্রিম যানজট সৃষ্টি করে রাখা হচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেছেন।
এদিকে, বিপ্লবী সড়ক পরিবহন ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আলী রেজা বলেছেন, রাস্তায় যানবাহনের খুব চাপ। যে কারণে কোথাও কোথাও যানজট সৃষ্টি হচ্ছে।
লঞ্চ টার্মিনালেও ছিলো চরম বিশৃঙ্খলা।
একাধিক যাত্রী বলেছেন, টার্মিনালে পৌঁছতেই তাদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়েছে। আজ পল্টন মোড় থেকেই যানজট লক্ষ্য যায়। বিকেলে শত শত যাত্রীকে এই পল্টন মোড় থেকে সদরঘাট টার্মিনালের দিকে হেঁটে যেতে দেখা যায়।
No comments