কাতারকে তাবেদার রাষ্ট্র বানাতে চায় সৌদি আরব: নাসির আল-ওমারি
সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান |
সৌদি
নেতৃত্বাধীন দেশগুলো কাতারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার শর্ত হিসেবে
১৩ দফা দাবি দোহার কাছে হস্তান্তর করেছে। এদিকে এসব দাবিকে অগ্রহণযোগ্য
হিসেবে আখ্যায়িত করেছে দোহা। এছাড়া, কাতারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া
হলেই কেবল চারটি আরব দেশের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে বলে দোহার পক্ষ থেকে সাফ
জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কথা বলেছেন নিউইয়র্ক থেকে লেখক এবং রাজনৈতিক
ভাষ্যকার নাসির আল- ওমারি।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ওমারি বলেছেন, 'কাতারের ওপর সৌদি আরবের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই রিয়াদ এবং তার মিত্রদেশগুলো দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কাতারকে তার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। তাদেরকে তাদের অত্যন্ত প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। কোন্ কোন্ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে এবং কোন্ কোন্ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার সৌদি আরবের ওপর ছেড়ে দিতে রিয়াদ সরকার দোহার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।'
ওমারি বলেন, কাতারি জনগণ সৌদি আরব এবং তার মিত্রদেশগুলোর অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করলে তা মোটেও আশ্বর্চজনক হবে না এবং এর ফলে আরব দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবের নগ্ন হস্তক্ষেপে উদ্বিগ্ন হয়ে কাতার আরব অঞ্চলে তার মিত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। তাই রিয়াদকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে দোহা মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তুরস্কের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে।কারণ কাতার ভাল করেই জানে যে, মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব বিস্তার লাভ করুক রিয়াদ তা মোটেই চায় না।
অন্যদিকে, রিয়াদ এবং দোহার মধ্য সম্পর্কের মারাত্মক অবনতির জন্য প্রখ্যাত এ রাজনৈতিক ভাষ্যকার সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান জটিলতা ও সংকট মোকাবেলার জন্য প্রিন্সের কোনো অভিজ্ঞতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনৈতিক ভাষ্যকার ওমারি বলেছেন, 'কাতারের ওপর সৌদি আরবের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই রিয়াদ এবং তার মিত্রদেশগুলো দেশটির ওপর চাপ সৃষ্টির চেষ্টা করছে। কাতারকে তার স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব ত্যাগ করতে বলা হচ্ছে। তাদেরকে তাদের অত্যন্ত প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বন্ধের জন্য নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। কোন্ কোন্ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে এবং কোন্ কোন্ দেশের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা যাবে না সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ভার সৌদি আরবের ওপর ছেড়ে দিতে রিয়াদ সরকার দোহার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে।'
ওমারি বলেন, কাতারি জনগণ সৌদি আরব এবং তার মিত্রদেশগুলোর অযৌক্তিক দাবি প্রত্যাখ্যান করলে তা মোটেও আশ্বর্চজনক হবে না এবং এর ফলে আরব দেশগুলোর মধ্যে উত্তেজনা আরো বেড়ে যাবে।
তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবের নগ্ন হস্তক্ষেপে উদ্বিগ্ন হয়ে কাতার আরব অঞ্চলে তার মিত্র খোঁজার চেষ্টা করছে। তাই রিয়াদকে মোকাবেলা করার লক্ষ্যে দোহা মুসলিম ব্রাদারহুড এবং তুরস্কের সাথে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ করছে।কারণ কাতার ভাল করেই জানে যে, মধ্যপ্রাচ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব বিস্তার লাভ করুক রিয়াদ তা মোটেই চায় না।
অন্যদিকে, রিয়াদ এবং দোহার মধ্য সম্পর্কের মারাত্মক অবনতির জন্য প্রখ্যাত এ রাজনৈতিক ভাষ্যকার সৌদির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের প্রতি ইঙ্গিত করেছেন। মধ্যপ্রাচ্যের চলমান জটিলতা ও সংকট মোকাবেলার জন্য প্রিন্সের কোনো অভিজ্ঞতা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
No comments