মৃত্যুর দিন গুনতে থাকা শিশুটির শেষ ইচ্ছে
স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনে গত রোববার পরিবারের পক্ষ থেকে হ্যারিসন ও অ্যালেইয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়। ছবিটি টুইটার থেকে নেওয়া। |
কনে
পরেছে সাদা ও গোলাপি রঙের পোশাক। রাজকন্যার মতো মাথায় মুকুটও আছে। বরের
গায়ে স্কটল্যান্ডের ঐতিহ্যবাহী পোশাক। দুজনই হাস্যোজ্জ্বল। কনের ফোকলা
দাঁতের হাসি বিয়ের মুহূর্তটিকে করে তুলেছে আরও প্রাণবন্ত।
তবে এই বিয়ের পেছনের গল্পটি মধুর নয়। বরং তাতে আছে দুরারোগ্য মরণব্যাধির বিষাক্ত ছোবল। কনের নাম অ্যালেই প্যাটারসন। বয়স তার মোটে পাঁচ বছর। বর তার চেয়ে এক বছরের বড়। নাম তার হ্যারিসন গ্রিয়ার। বর-কনে একে-অপরের ‘সেরা বন্ধু’।
জন্মের কিছুদিন পরই নিউরোব্লাস্টোমা নামের দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয় অ্যালেই। এটি একধরনের ক্যানসার। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, অ্যালেইয়ের রোগ নিরাময়ের অবস্থায় নেই। এরপরই নিজের ইচ্ছের তালিকা বানাতে বসে সে। মৃত্যুর আগেই এসব ইচ্ছে পূরণ করতে চায় অ্যালেই। তালিকার প্রথমেই ছিল সেরা বন্ধু হ্যারিসনকে বিয়ে করার ইচ্ছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার পরিবারের পক্ষ থেকে হ্যারিসন ও অ্যালেইয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। এতে দুই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত বন্ধু ও পরিজনেরা।
মেয়ের জীবন নিয়ে এখন একটি রূপকথার গল্প লিখছেন অ্যালেইয়ের মা গেইল প্যাটারসন। তাতে ক্যানসার রোগটিকে দেখানো হয়েছে ‘অশুভ জন্তু’ হিসেবে। আর অ্যালেইয়ের চরিত্রটি হলো রাজকন্যার।
গেইল প্যাটারসন বলেন, ‘অ্যালেই ও হ্যারিসনের মধ্যে একটি জাদুকরী বন্ধন রয়েছে। হ্যারি সব সময়ই বলে যে সে অ্যালেইকে খুবই ভালোবাসে এবং বিয়ে করতে চায়। আর অ্যালেই হাসপাতালের সেবিকাদের বলত, তার একজন প্রেমিক আছে। শিগগিরই বিয়ে করবে তারা।’
বরের বাবা বিলি গ্রিয়ার বলেন, ‘হ্যারিসন আগে কখনো বিয়েতে আসেনি। সুতরাং এ সবই তার কাছে নতুন। কিন্তু আমার মনে হয়, অনুষ্ঠানটি কি নিয়ে তা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে সে। বেশ উপভোগও করেছে।’
অথচ বিয়ের আগের দিনই অ্যালেইকে রক্ত দিতে হয়েছে। ওই সময়ে কিছু শারীরিক জটিলতাও হয়েছিল তার। কিন্তু গেইল জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে সেই ক্লান্তির ছাপ ছিল না অ্যালেইয়ের মুখে। বরং নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তুলেছিল অনুষ্ঠানটি। বিয়ের পর বর-কনে নেচেছিল সাইয়ের গ্যাংনাম স্টাইল গানের সঙ্গে।
তবে এই বিয়ের পেছনের গল্পটি মধুর নয়। বরং তাতে আছে দুরারোগ্য মরণব্যাধির বিষাক্ত ছোবল। কনের নাম অ্যালেই প্যাটারসন। বয়স তার মোটে পাঁচ বছর। বর তার চেয়ে এক বছরের বড়। নাম তার হ্যারিসন গ্রিয়ার। বর-কনে একে-অপরের ‘সেরা বন্ধু’।
জন্মের কিছুদিন পরই নিউরোব্লাস্টোমা নামের দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত হয় অ্যালেই। এটি একধরনের ক্যানসার। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর জানা যায়, অ্যালেইয়ের রোগ নিরাময়ের অবস্থায় নেই। এরপরই নিজের ইচ্ছের তালিকা বানাতে বসে সে। মৃত্যুর আগেই এসব ইচ্ছে পূরণ করতে চায় অ্যালেই। তালিকার প্রথমেই ছিল সেরা বন্ধু হ্যারিসনকে বিয়ে করার ইচ্ছে।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত রোববার পরিবারের পক্ষ থেকে হ্যারিসন ও অ্যালেইয়ের বিয়ের আয়োজন করা হয়। স্কটল্যান্ডের অ্যাবারডিনে বিয়ের অনুষ্ঠান হয়। এতে দুই পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি উপস্থিত বন্ধু ও পরিজনেরা।
মেয়ের জীবন নিয়ে এখন একটি রূপকথার গল্প লিখছেন অ্যালেইয়ের মা গেইল প্যাটারসন। তাতে ক্যানসার রোগটিকে দেখানো হয়েছে ‘অশুভ জন্তু’ হিসেবে। আর অ্যালেইয়ের চরিত্রটি হলো রাজকন্যার।
গেইল প্যাটারসন বলেন, ‘অ্যালেই ও হ্যারিসনের মধ্যে একটি জাদুকরী বন্ধন রয়েছে। হ্যারি সব সময়ই বলে যে সে অ্যালেইকে খুবই ভালোবাসে এবং বিয়ে করতে চায়। আর অ্যালেই হাসপাতালের সেবিকাদের বলত, তার একজন প্রেমিক আছে। শিগগিরই বিয়ে করবে তারা।’
বরের বাবা বিলি গ্রিয়ার বলেন, ‘হ্যারিসন আগে কখনো বিয়েতে আসেনি। সুতরাং এ সবই তার কাছে নতুন। কিন্তু আমার মনে হয়, অনুষ্ঠানটি কি নিয়ে তা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছে সে। বেশ উপভোগও করেছে।’
অথচ বিয়ের আগের দিনই অ্যালেইকে রক্ত দিতে হয়েছে। ওই সময়ে কিছু শারীরিক জটিলতাও হয়েছিল তার। কিন্তু গেইল জানান, বিয়ের অনুষ্ঠানে সেই ক্লান্তির ছাপ ছিল না অ্যালেইয়ের মুখে। বরং নেচে-গেয়ে মাতিয়ে তুলেছিল অনুষ্ঠানটি। বিয়ের পর বর-কনে নেচেছিল সাইয়ের গ্যাংনাম স্টাইল গানের সঙ্গে।
No comments