গাবতলীতে পুলিশ ও পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলছে
রাজধানীর গাবতলী এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে পরিবহন শ্রমিকদের সংঘর্ষ চলছে। রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছেন শ্রমিকেরা। পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়েছে। সর্বশেষ আজ বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পরিবহন শ্রমিকেরা রাস্তার পাশে থাকা অস্থায়ী দোকানগুলো মাঝখানে এনে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছেন। এখনো দফায় দফায় শ্রমিক-পুলিশ ও র্যাবের সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে। গতকাল মঙ্গলবার শ্রমিকদের অবস্থান ছিল গাবতলী গরুর হাটের ক্রসিংয়ের সামনে। আজ তাঁরা গাবতলীর আন্ডারপাস পেরিয়ে মসজিদের কাছাকছি স্থানে অবস্থান নিয়েছেন এবং ধীরে ধীরে মাজার রোডের দিকে এগোচ্ছেন। সংঘর্ষের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করার কথা জানিয়েছে পুলিশ। এদিকে শ্রমিকেরা টায়ার জ্বালিয়েছেন। কোনো ধরনের যানবাহন রাস্তা দিয়ে যেতে দিচ্ছেন না। বর্তমানে গাবতলী এলাকায় সব ধরনের দোকান ও কারখানা বন্ধ।
আন্দোলনের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ আন্তজেলা ট্রাকচালক ইউনিয়নের সভাপতি তাজুল ইসলাম বলেন, আন্দোলনে শ্রমিকেরা কতটুকু ছাড় দেবেন, তা নির্ভর করছে সরকারের আচরণের ওপর। সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব তারেক মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজনের প্রাণহানির মামলায় ঘাতক বাসের চালক জামির হোসেনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। গত ২২ ফেব্রুয়ারি দেওয়া এই রায়ের প্রতিবাদে প্রথমে আঞ্চলিকভাবে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। এদিকে সাভারে ট্রাকচাপায় এক নারীকে হত্যার দায়ে চালকের বিরুদ্ধে সোমবার মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন আদালত। এরপরই গতকাল থেকে সারা দেশে ধর্মঘট ডাকা হয়। পুলিশ সূত্র জানায়, গতকাল রাত আটটার দিকে গাবতলী বাস টার্মিনালের সামনের সড়ক দিয়ে যান চলাচলে বাধা দেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় তাঁরা কিছু গাড়িও ভাঙচুর করেন। পুলিশ বাধা দিলে তাঁরা সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল ছোড়েন। গাবতলী বালুর মাঠের পাশের পুলিশ বক্স ও একটি রেকারে আগুন ধরিয়ে দেন আন্দোলনকারীরা। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শ্রমিকদের অভিযোগ, বিনা উসকানিতে পুলিশ তাঁদের লাঠিপেটা করেছে। আমিনবাজার থেকে ঢাকামুখী ও টেকনিক্যাল মোড় হয়ে সাভারের দিকে যাওয়া যাত্রীরা এ ঘটনায় চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
No comments