এখন বাকি প্রাণভিক্ষা
২০০৪ সালে সিলেটে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর ওপর গ্রেনেড হামলা ও তিনজনকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা মুফতি আবদুল হান্নানসহ তিন জঙ্গির রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা অপর দুজন হলেন শরীফ শাহেদুল আলম ওরফে বিপুল ও দেলোয়ার ওরফে রিপন। পাঁচ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও বিচারিক আদালত (সিলেট)-সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী প্রক্রিয়া সম্পর্কে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম প্রথম আলোকে বলেন, রায় কারাগারে পৌঁছানোর পরপরই পরবর্তী কার্যক্রম শুরু হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে মুফতি হান্নানসহ তিনজন প্রাণভিক্ষা চাইবেন কি না, তা জানতে চাওয়া হবে। যদি প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন, তাহলে এর নিষ্পত্তি করতে যতক্ষণ সময় লাগে, তারপর দণ্ড কার্যকর করার প্রক্রিয়া শুরু হবে। রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা না চাইলে কারাবিধি অনুসারে কারা কর্তৃপক্ষ দণ্ড কার্যকর করবে।
কারাবিধির ২১ থেকে ২৮ দিনের বিধান প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, ২১ দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে আপিল বিভাগের রায় (আপিল খারিজের রায়) যেদিন কারাগারে পৌঁছে সেদিন থেকে। এরপর মৃত্যু পরোয়ানাও জারি হয়। তবে রিভিউ করার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পর প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। রিভিউর রায় পাওয়ার পর এখন সে প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে। আগে যদি পাঁচ দিন ব্যয় হয়ে থাকে, ধরতে হবে ২১ দিনের মধ্যে পাঁচ দিন আগে ব্যয় হয়েছে। দণ্ড কার্যকরে সরকারের আলাদা নির্দেশের প্রয়োজন নেই। কেননা, কারাবিধিতে সব বিধি-বিধান উল্লেখ করা আছে। কারাগার সূত্র বলেছে, মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল কাশিমপুর কারাগারে এবং দেলোয়ার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই তিনজনের করা আবেদন ১৯ মার্চ খারিজ করেন আপিল বিভাগ। গতকাল সকালে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজি-প্রিজন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,
কারাবিধির ২১ থেকে ২৮ দিনের বিধান প্রশ্নে মাহবুবে আলম বলেন, ২১ দিন গণনা শুরু হয়ে গেছে আপিল বিভাগের রায় (আপিল খারিজের রায়) যেদিন কারাগারে পৌঁছে সেদিন থেকে। এরপর মৃত্যু পরোয়ানাও জারি হয়। তবে রিভিউ করার (২৩ ফেব্রুয়ারি) পর প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে গিয়েছিল। রিভিউর রায় পাওয়ার পর এখন সে প্রক্রিয়া আবার শুরু হবে। আগে যদি পাঁচ দিন ব্যয় হয়ে থাকে, ধরতে হবে ২১ দিনের মধ্যে পাঁচ দিন আগে ব্যয় হয়েছে। দণ্ড কার্যকরে সরকারের আলাদা নির্দেশের প্রয়োজন নেই। কেননা, কারাবিধিতে সব বিধি-বিধান উল্লেখ করা আছে। কারাগার সূত্র বলেছে, মুফতি হান্নান ও শরীফ শাহেদুল কাশিমপুর কারাগারে এবং দেলোয়ার সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ওই তিনজনের করা আবেদন ১৯ মার্চ খারিজ করেন আপিল বিভাগ। গতকাল সকালে পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার অরুনাভ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, হাইকোর্ট, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজি-প্রিজন, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার, ঢাকার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট,
সিলেট জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, বিচারিক আদালত (সিলেটের) ও অ্যাটর্নি জেনারেল বরাবর রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি পাঠানো হয়েছে। সিলেটে ডাকযোগে রায়ের প্রত্যায়িত অনুলিপি পাঠানো হয়। ২০০৪ সালের ২১ মে সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.)-এর মাজারের ফটকের কাছে গ্রেনেড হামলায় ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীসহ ৭০ জন আহত হন, নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তাসহ তিনজন। ওই ঘটনায় করা মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর সিলেটের দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল জঙ্গিনেতা মুফতি হান্নান, জঙ্গি শরিফ শাহেদুল ও দেলোয়ারকে মৃত্যুদণ্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন। গত বছরের ১১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট রায়ে তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও দুজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বহাল রাখেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা আসামিদের আপিল ৭ ডিসেম্বর খারিজ করেন আপিল বিভাগ। এর পূর্ণাঙ্গ রায় গত ১৭ জানুয়ারি প্রকাশ পায়। এরপর আসামিদের মৃত্যু পরোয়ানা কারাগারে পাঠানো হয় ও তা পড়ে শোনানো হয়। আসামিরা ২৩ ফেব্রুয়ারি রিভিউ আবেদন করেন, যা ১৯ মার্চ খারিজ হয়।
No comments