যোগীকে নিয়ে আতংক মোছার চেষ্টা বিজেপির
ভারতের
উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যোগী আদিত্যনাথের শপথ নেয়ার
চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই এলাহাবাদ পৌরসভায় তালা ঝুলল দুটি কসাইখানায়। বন্ধ করা
হয়েছে একটি গরুর মাংসের হোটেল। নতুন মুখ্যমন্ত্রীর অভিষেকের সঙ্গেই
সংখ্যালঘু সমাজে, অসন্তোষ বাড়ছে। তা টের পাচ্ছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারাও।
কেননা, অতীতে যোগীর বিভিন্ন বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে।
সেই বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব যোগী আদিত্যনাথ এখন মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসে ওই
ধরনের কোনো বক্তব্য সামনে নিয়ে এলে তা নিয়ে আরও বিতর্ক হতে পারে। এতে
আধুনিক মনস্ক হিন্দুদের মনেও ক্ষোভ বাড়তে পারে বলে মনে করছে বিজেপি। তাদের
পাশে রাখতে তাই যোগীর ভাবমূর্তি এখন ঘষামাজা করা হচ্ছে। যোগীকে নিয়ে
অসন্তোষ দূর করতে একটি সুদীর্ঘ নিবন্ধই লিখে ফেলেছেন নরেন্দ্র মোদি সরকারের
তথ্য-সম্প্রচারমন্ত্রী বেঙ্কাইয়া নাইডু। লক্ষৌয়ে তার তত্ত্বাবধানেই
যোগীকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছিল। আদিত্যনাথের অভিষেকে আরএসএসের কোনো
হাত ছিল না বলে বেঙ্কাইয়া প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আধিপত্য বজায় রাখার
চেষ্টা করেছেন। তিনি বলেন, ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’-এর মন্ত্র সামনে রেখে
যোগীর হাত ধরে উত্তরপ্রদেশের উন্নয়ন মুখ বন্ধ করে দেবে বিরোধীদের।
এনডিটিভি
জানায়, সোমবার প্রথম কার্যদিবসে কসাইখানা বন্ধ করে দিয়েছেন যোগী।
এলাহাবাদের রামপুর এবং অটালাতে পুলিশ পাঠিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় দুটি
কসাইখানা। ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল গত বছরেই কসাইখানা দুটিকে বন্ধ করে
দিতে বলেছিল। নতুন মুখ্যমন্ত্রী যোগী শপথ নেয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গে কসাইখানা
বন্ধের সিদ্ধান্ত হল। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, সোমবার রাজ্যের জয়পুর
শহরে হায়াত রব্বানি নামের একটি হোটেল বন্ধ করা হয়। মাংসের উচ্ছিষ্টাংশ সঠিক
স্থানে না ফেলার অভিযোগে হোটেল বন্ধ করা হয়েছে। হোটেলটির একজন কর্মীকে
গ্রেফতারও করা হয়েছে। অশোক কুমার গুপ্ত নামে জয়পুর পুলিশের জ্যেষ্ঠ এক
কর্মকর্তা জানান, হোটেলটি গরুর মাংসের উচ্ছিষ্টাংশ যেখানে-সেখানে ফেলত।
সেগুলো খেত গরুগুলো। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মধ্যে ক্ষোভ ও তাদের অভিযোগের
পরিপ্রেক্ষিতেই হোটেলটি বন্ধ করা হয়েছে। বিজেপিরই এক সূত্রের মতে, যোগীকে
বাছাই করা হয়েছে ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের দিকে লক্ষ্য রেখে। বিজেপি মনে
করছে, মোদিকে ঠেকাতে সেই সময়ে সব বিরোধী দল একাট্টা হবেই। উত্তরপ্রদেশের
মতো রাজ্যে সংখ্যালঘু ভোটও বিরোধী জোটের ঝুলিতেই যাবে।
No comments