বিপাকে ট্রাম্পের উপদেষ্টা ফ্লিন
রাশিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া নিয়ে এক রুশ কূটনীতিকের সঙ্গে আলোচনার অভিযোগ ওঠার পর বেকায়দায় পড়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্টের অভিষেকের কয়েক সপ্তাহ আগেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত সেরগেই কিসলিয়াকের সঙ্গে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। হোয়াইট হাউসের কয়েকজন কর্মকর্তা এখন মাইকেল ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগটির সত্যতা খতিয়ে দেখছেন। ফ্লিন প্রথমে বলেছিলেন, রুশ রাষ্ট্রদূত কিসলিয়াকের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তাঁর কোনো কথা হয়নি। তবে পরে ফ্লিনের একজন মুখপাত্র বলেন, এখন এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য হলো, বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল কি না, তা এখন তাঁর মনে নেই।
তবে হোয়াইট হাউসের সাবেক ও বর্তমান মিলিয়ে নয়জন কর্মকর্তা ওয়াশিংটন পোস্টকে বলেছেন, এ নিয়ে ওই দুজনের মধ্যে কথা হয়েছিল। শপথ নেওয়ার আগেই বিদেশি কূটনীতিকের সঙ্গে দেশের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে আলোচনায় মার্কিন আইনের ব্যত্যয় হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। মাইকেল ফ্লিন প্রথম থেকেই ডোনাল্ড ট্রাম্পের কট্টর সমর্থক বলে পরিচিত। তবে অভিযোগ ওঠার পর এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিক থেকেও তিনি সমর্থন পাচ্ছেন না। ট্রাম্পের নীতিবিষয়ক উপদেষ্টা স্টিফেন মিলারকে এ বিষয়ে সাংবাদিকেরা বারবার জিজ্ঞাসা করলেও তিনি প্রশ্ন এড়িয়ে যান। ট্রাম্প মাইকেল ফ্লিনের পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে মিলার সাংবাদিকদের বলেন, এর জবাব প্রেসিডেন্টই দিতে পারবেন। হোয়াইট হাউস সূত্রগুলো বলছে, এই অভিযোগ ওঠার পর মার্কিন প্রশাসনে ফ্লিনের অবস্থান নাজুক হয়ে পড়েছে।
No comments