সেনবাগে সাংসদের অনুসারী নেতা–কর্মীদের সড়ক অবরোধ
সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় সাংসদ মোরশেদ আলমের অনুসারী নেতা-কর্মীরা। গতকাল বুধবার বেলা আড়াইটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত উপজেলার রাস্তারমাথা এলাকায় ফেনী-নোয়াখালী সড়ক অবরোধ করেন নেতা-কর্মীরা। সাংসদের অনুসারী নেতা-কর্মীরা সড়কের ওপর বাস আড়াআড়ি করে ফেলে রাখেন। এ সময় তাঁরা সড়কের ওপর টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। অবরোধের কারণে সড়কের দুদিকে যানবাহন আটকা পড়ে। এতে চরম ভোগান্তির শিকার হন যাত্রীরা। পরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহজাহান শেখের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, গতকাল বেলা আড়াইটার দিকে সাংসদ মোরশেদ আলমের অনুসারী হিসেবে পরিচিত উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কয়েক শ নেতা-কর্মী ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের সেনবাগ রাস্তারমাথা এলাকায় অবস্থান নেন। এ সময় সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন তাঁরা। বক্তারা নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সভায় গঠিত সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটিকে অবৈধ ও দলের গঠনতন্ত্রবিরোধী উল্লেখ করেন।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি বাতিলের আলটিমেটাম দেন তাঁরা। তা না হলে সেনবাগে সর্বাত্মক হরতালের ডাক দেওয়া হবে বলে জানান তাঁরা। উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আলী আক্কাস, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গোলাম কবিরসহ সাংসদের অনুসারী আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য দেন। সভা চলাকালে দলীয় নেতা-কর্মীরা জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাংসদ মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বছরখানেক আগে ভেঙে দেওয়া হয়। ১৮ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীমের উপস্থিতিতে সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা শওকত হোসেনকে আহ্বায়ক ও সেনবাগ পৌরসভার মেয়র আবু জাফরকে সদস্যসচিব করে ১৪ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয় বলে জানান উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আলী আক্কাস। তিনি বলেন, এ কমিটি নিয়ে নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
No comments