মানিকগঞ্জে নির্মিত হয়নি তারেক মিশুক স্মৃতিস্তম্ভ
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ, সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ছয় বছর পার হয়ে গেছে। মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকায় দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ স্থাপনের দাবি জানিয়ে আসছে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন। কিন্তু এত দিনেও সরকারের পক্ষ থেকে এ দাবি পূরণ করা হয়নি। ২০১১ সালের ১৩ আগস্ট চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বেপরোয়া গতির বাস ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জোকা এলাকায় তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরদের বহনকারী মাইক্রোবাসকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে দুর্ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন। দুর্ঘটনার পর তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাব এবং প্রথম আলো মানিকগঞ্জ বন্ধুসভাসহ স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠন দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি তোলে। এরপর ছয় বছর পার হয়ে গেল। কিন্তু স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়নি। তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ২০১২ সালের আগস্ট মাসে ইটের গাঁথুনি দিয়ে নিহত পাঁচজনের একটি নামফলক স্থাপন করে।
ফলকটি অযত্ন আর অবহেলা পড়ে আছে। তারেক মাসুদ মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সদস্য ইকবাল হোসেন বলেন, ‘আজ পর্যন্ত স্মৃতিস্তম্ভ নির্মিত হয়নি, এটা আমাদের জন্য চরম দুর্ভাগ্যের।’ বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য আজহারুল ইসলাম বলেন, ‘তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর কোনো সাধারণ মানুষ নন। চলচ্চিত্র ও সাংবাদিকতার অঙ্গনে তাঁরা বাংলাদেশকে বিশ্বদরবারে তুলে ধরেছেন। তাঁদের সম্মানে দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিস্তম্ভ না হওয়াটা আমাদের জন্য লজ্জাজনকই নয়, কষ্টকরও।’ জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস বলেন, ‘তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীরের মতো গুণী ব্যক্তিরা বেঁচে থাকলে দেশের জন্য আরও ভালো কিছু উপহার দিতে পারতেন। এসব ব্যক্তির স্মরণে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হতে পারত। কিন্তু কোনো পক্ষ থেকে এ বিষয়ে লিখিত আবেদন করা হয়নি। এ কারণে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। কেউ আবেদন করলে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে বরাদ্দ চাওয়া হবে। বরাদ্দ পাওয়ার পর স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
No comments