উজ্জ্বল তারা আর নিষ্প্রভ যারা
সফল যারা
উসাইন বোল্ট
চার বছর আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আই অ্যাম দ্য গ্রেটেস্ট’। রিওতে এসেছিলেন অমরত্বের সুধা পান করতে। ক্যারিয়ারের শেষ অলিম্পিকে ঐতিহাসিক ‘ট্রিপল ট্রিপল’ করে সত্যিই অমর হয়ে গেলেন বোল্ট। ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার রিলেতে টানা তিন অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতে অ্যাথলেটিক্সের গণ্ডি ছাপিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনের সর্বকালের সেরাদের কাতারে চলে গেছেন জ্যামাইকার স্প্রিন্ট-সম্রাট। স্প্রিন্ট ইভেন্টে অলিম্পিকে নয়টি স্বর্ণ জেতার কীর্তি নেই আর কারও।
মাইকেল ফেলপস
সর্বকালের সেরা অলিম্পিয়ানের প্রশ্নে অনেকের পছন্দ বোল্ট, অনেকের ফেলপস। তবে তর্কাতীতভাবেই অলিম্পিক ইতিহাসের সফলতম ক্রীড়াবিদ ফেলপস। ২৩টি স্বর্ণসহ রেকর্ড ২৮টি অলিম্পিক পদক জিতে নিজেকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সাঁতার সম্রাট। বোল্টের মতো ফেলপসেরও শেষ অলিম্পিক ছিল এটি। পাঁচটি স্বর্ণ ও একটি রুপা জিতে মহানায়কের মতোই সাঁতারকে বিদায় জানিয়েছেন পুলের রাজা। কোচ বব বোম্যান যথার্থই বলেছেন, ‘আরেকজন ফেলপস আর কখনোই আসবে না।’
মো ফারাহ
অনেক আগেই নিজেকে কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছেন ফারাহ। এবারের অলিম্পিক তাকে দিয়েছে ব্রিটেনের সর্বকালের সেরা অ্যাথলেটের স্বীকৃতি। দূরপাল্লার দৌড়ে টানা দুই অলিম্পিকে জোড়া স্বর্ণ জিতেছেন সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ দৌড়বিদ। ৫ ও ১০ হাজার মিটার দৌড়ে গত ৪০০ বছরে প্রথম ‘ডাবল ডাবল’ কীর্তি ফারাহর।
সিমোন বাইলস
রিও অলিম্পিকের সেরা আবিষ্কার এই মার্কিন কৃষ্ণকলি। অলিম্পিক অভিষেকেই জিমন্যাস্টিক্সের রানীর আসনটা নিজের করে নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী সিমোন। জিতেছেন চারটি স্বর্ণ ও একটি ব্রোঞ্জ। বিম ইভেন্টে মুহূর্তের ভুলে স্বর্ণ হাতছাড়া না হলে জিমন্যাস্টিক্সে এক অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ জেতার রেকর্ডটা তার একার দখলে চলে যেত।
নেইমার
এবারের অলিম্পিকে স্বাগতিক ব্রাজিলকে উৎসবের সবচেয়ে বড় উপলক্ষটা এনে দিয়েছেন নেইমার। ঘুচিয়েছেন ফুটবলপাগল দেশটির চিরকালের এক আক্ষেপ। অলিম্পিক ফুটবলে ব্রাজিলের প্রথম স্বর্ণ জয়ের নায়ক নেইমারই। জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে দলের একমাত্র গোলটি করার পাশাপাশি টাইব্রেকারে জয়সূচক শটটি নেন তিনি।
ব্যর্থ যারা
নোভাক জোকোভিচ
কয়েক বছর ধরে টেনিসের অবিসংবাদিত রাজা তিনি। জিতেছেন ১২টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা। রিওতে এসেছিলেন ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা ঘোচাতে। কিন্তু অলিম্পিক স্বর্ণ অধরাই রয়ে গেল জোকোভিচের। স্বর্ণ দূরে থাক, কোনো পদকই জোটেনি সার্ব তারকার ভাগ্যে। সবাইকে হতভম্ব করে একক ও দ্বৈতের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যান নাম্বার ওয়ান জোকেভিচ।
লি চং ওয়েই
জোকোভিচের মতোই দুর্ভাগা ব্যাডমিন্টনের একনম্বর তারকা মালয়েশিয়ার লি চং। তার দুঃখ বরং আরও বেশি। হারলেন টানা তৃতীয় ফাইনালে। লিকে হারিয়ে এবার প্রথমবারের মতো এককের স্বর্ণ জিতেছেন র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে থাকা চীনের চেন লং।
কেট ক্যাম্পবেল
মেয়েদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে নিজের বিশ্বরেকর্ড নতুন করে লিখেতে চেয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। কিন্তু রেকর্ড দূরে থাক, নিজেদের প্রিয় ইভেন্টে শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জলকন্যা। ছেলেদের একই ইভেন্টে ক্যাম্পবেলের স্বদেশী ম্যাকভয়ও ডাহা ফেল করেছেন।
অ্যারন কুক
তায়কোয়ান্দোর নিজের ইভেন্টে দ্বিতীয় বাছাই ছিলেন কুক। ব্রিটেনের সাবেক নাম্বার ওয়ান এবার মলদোভার হয়ে অলিম্পিকে অংশ নেন। লক্ষ্য ছিল স্বর্ণ জিতে জন্মভূমিকে জবাব দেয়া। কিন্তু প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যান কুক।
রেনাদ লাভিলেন
অলিম্পিকে রুপার পদকের ওজনও কম নয়। কিন্তু পোল ভল্টের রাজা রেনাদের জন্য এটা ব্যর্থতাই। রিওতে স্বাগতিক ব্রাজিলের থিয়াগো ব্রাজ দ্য সিলভার কাছে স্বর্ণ খুইয়ে দুয়োধ্বনিও শুনেছেন রেনাদ। এ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পরে ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাকে। এএফপি।
উসাইন বোল্ট
চার বছর আগেই তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ‘আই অ্যাম দ্য গ্রেটেস্ট’। রিওতে এসেছিলেন অমরত্বের সুধা পান করতে। ক্যারিয়ারের শেষ অলিম্পিকে ঐতিহাসিক ‘ট্রিপল ট্রিপল’ করে সত্যিই অমর হয়ে গেলেন বোল্ট। ১০০ মিটার, ২০০ মিটার ও ১০০ মিটার রিলেতে টানা তিন অলিম্পিকে স্বর্ণ জিতে অ্যাথলেটিক্সের গণ্ডি ছাপিয়ে গোটা ক্রীড়াঙ্গনের সর্বকালের সেরাদের কাতারে চলে গেছেন জ্যামাইকার স্প্রিন্ট-সম্রাট। স্প্রিন্ট ইভেন্টে অলিম্পিকে নয়টি স্বর্ণ জেতার কীর্তি নেই আর কারও।
মাইকেল ফেলপস
সর্বকালের সেরা অলিম্পিয়ানের প্রশ্নে অনেকের পছন্দ বোল্ট, অনেকের ফেলপস। তবে তর্কাতীতভাবেই অলিম্পিক ইতিহাসের সফলতম ক্রীড়াবিদ ফেলপস। ২৩টি স্বর্ণসহ রেকর্ড ২৮টি অলিম্পিক পদক জিতে নিজেকে এক অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন সাঁতার সম্রাট। বোল্টের মতো ফেলপসেরও শেষ অলিম্পিক ছিল এটি। পাঁচটি স্বর্ণ ও একটি রুপা জিতে মহানায়কের মতোই সাঁতারকে বিদায় জানিয়েছেন পুলের রাজা। কোচ বব বোম্যান যথার্থই বলেছেন, ‘আরেকজন ফেলপস আর কখনোই আসবে না।’
মো ফারাহ
অনেক আগেই নিজেকে কিংবদন্তির কাতারে নিয়ে গেছেন ফারাহ। এবারের অলিম্পিক তাকে দিয়েছে ব্রিটেনের সর্বকালের সেরা অ্যাথলেটের স্বীকৃতি। দূরপাল্লার দৌড়ে টানা দুই অলিম্পিকে জোড়া স্বর্ণ জিতেছেন সোমালিয়ান বংশোদ্ভূত এই ব্রিটিশ দৌড়বিদ। ৫ ও ১০ হাজার মিটার দৌড়ে গত ৪০০ বছরে প্রথম ‘ডাবল ডাবল’ কীর্তি ফারাহর।
সিমোন বাইলস
রিও অলিম্পিকের সেরা আবিষ্কার এই মার্কিন কৃষ্ণকলি। অলিম্পিক অভিষেকেই জিমন্যাস্টিক্সের রানীর আসনটা নিজের করে নিয়েছেন ১৯ বছর বয়সী সিমোন। জিতেছেন চারটি স্বর্ণ ও একটি ব্রোঞ্জ। বিম ইভেন্টে মুহূর্তের ভুলে স্বর্ণ হাতছাড়া না হলে জিমন্যাস্টিক্সে এক অলিম্পিকে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ জেতার রেকর্ডটা তার একার দখলে চলে যেত।
নেইমার
এবারের অলিম্পিকে স্বাগতিক ব্রাজিলকে উৎসবের সবচেয়ে বড় উপলক্ষটা এনে দিয়েছেন নেইমার। ঘুচিয়েছেন ফুটবলপাগল দেশটির চিরকালের এক আক্ষেপ। অলিম্পিক ফুটবলে ব্রাজিলের প্রথম স্বর্ণ জয়ের নায়ক নেইমারই। জার্মানির বিপক্ষে ফাইনালে দলের একমাত্র গোলটি করার পাশাপাশি টাইব্রেকারে জয়সূচক শটটি নেন তিনি।
ব্যর্থ যারা
নোভাক জোকোভিচ
কয়েক বছর ধরে টেনিসের অবিসংবাদিত রাজা তিনি। জিতেছেন ১২টি গ্র্যান্ডস্লাম শিরোপা। রিওতে এসেছিলেন ক্যারিয়ারের একমাত্র অপূর্ণতা ঘোচাতে। কিন্তু অলিম্পিক স্বর্ণ অধরাই রয়ে গেল জোকোভিচের। স্বর্ণ দূরে থাক, কোনো পদকই জোটেনি সার্ব তারকার ভাগ্যে। সবাইকে হতভম্ব করে একক ও দ্বৈতের প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যান নাম্বার ওয়ান জোকেভিচ।
লি চং ওয়েই
জোকোভিচের মতোই দুর্ভাগা ব্যাডমিন্টনের একনম্বর তারকা মালয়েশিয়ার লি চং। তার দুঃখ বরং আরও বেশি। হারলেন টানা তৃতীয় ফাইনালে। লিকে হারিয়ে এবার প্রথমবারের মতো এককের স্বর্ণ জিতেছেন র্যাংকিংয়ের দুই নম্বরে থাকা চীনের চেন লং।
কেট ক্যাম্পবেল
মেয়েদের ১০০ মিটার ফ্রিস্টাইল সাঁতারে নিজের বিশ্বরেকর্ড নতুন করে লিখেতে চেয়েছিলেন ক্যাম্পবেল। কিন্তু রেকর্ড দূরে থাক, নিজেদের প্রিয় ইভেন্টে শেষ পর্যন্ত ষষ্ঠ হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার জলকন্যা। ছেলেদের একই ইভেন্টে ক্যাম্পবেলের স্বদেশী ম্যাকভয়ও ডাহা ফেল করেছেন।
অ্যারন কুক
তায়কোয়ান্দোর নিজের ইভেন্টে দ্বিতীয় বাছাই ছিলেন কুক। ব্রিটেনের সাবেক নাম্বার ওয়ান এবার মলদোভার হয়ে অলিম্পিকে অংশ নেন। লক্ষ্য ছিল স্বর্ণ জিতে জন্মভূমিকে জবাব দেয়া। কিন্তু প্রথম রাউন্ড থেকেই ছিটকে যান কুক।
রেনাদ লাভিলেন
অলিম্পিকে রুপার পদকের ওজনও কম নয়। কিন্তু পোল ভল্টের রাজা রেনাদের জন্য এটা ব্যর্থতাই। রিওতে স্বাগতিক ব্রাজিলের থিয়াগো ব্রাজ দ্য সিলভার কাছে স্বর্ণ খুইয়ে দুয়োধ্বনিও শুনেছেন রেনাদ। এ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে পরে ক্ষমা চাইতে হয়েছে তাকে। এএফপি।
No comments