সারা দেশে যখন বন্যা মিঠাপুকুরে তখন খরা
রংপুরে মিঠুপুকুরে তীব্র খরার কারণে চাষীরা শ্যালো মেশিন দিয়ে আমন ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছে। ছবিটি রোববার গোপালপুর ইউনিয়নের শাল্টি গোপালপুর থেকে তোলা -যুগান্তর |
সারা দেশে বন্যার পানিতে জমির ফসল তলিয়ে গেলেও রংপুরের মিঠাপুকুরে খরায় পুড়ছে আমন ক্ষেত। উপজেলার বেশিরভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করা হলেও অবশিষ্ট জমিতে পেট্রলচালিত শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকূপের পানি দিয়ে চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। আবার অনেকের আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় কূপ খনন করে ধানের জমিতে সেচ দিচ্ছেন। এ জন্য কৃষককে আমন ধান উৎপাদনে বাড়তি খরচ বহন করতে হচ্ছে।
রোববার দুপুরে সরেজমিন চেংমারী, বালুয়া মাসিমপুর, রাণীপুকুর, ময়েনপুর, গোপালপুর ও খোড়াগাছ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক কৃষকই পেট্রলচালিত শ্যালোমেশিন ও গভীর নলকূপের পানি দিয়ে আমন ধানের চারা রোপণ করছেন। এ সময় কথা হয় রূপসী গাছুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক রাজা মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে ৩ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। মৌসুমের প্রথমে বৃষ্টির পানি দিয়ে চারা রোপণ করা হয়েছে প্রায় ২ একর জমিতে। বাকি জমিতে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চারা রোপণ করা হচ্ছে। কৃষক শাহাদত হোসেন বলেন, ‘খরার কারণে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চারা রোপণ করতে হচ্ছে।
রোববার দুপুরে সরেজমিন চেংমারী, বালুয়া মাসিমপুর, রাণীপুকুর, ময়েনপুর, গোপালপুর ও খোড়াগাছ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, অনেক কৃষকই পেট্রলচালিত শ্যালোমেশিন ও গভীর নলকূপের পানি দিয়ে আমন ধানের চারা রোপণ করছেন। এ সময় কথা হয় রূপসী গাছুয়াপাড়া গ্রামের কৃষক রাজা মিয়ার সঙ্গে। তিনি জানান, চলতি মৌসুমে ৩ একর জমিতে ধান চাষ করেছি। মৌসুমের প্রথমে বৃষ্টির পানি দিয়ে চারা রোপণ করা হয়েছে প্রায় ২ একর জমিতে। বাকি জমিতে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চারা রোপণ করা হচ্ছে। কৃষক শাহাদত হোসেন বলেন, ‘খরার কারণে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চারা রোপণ করতে হচ্ছে।
রোববার ১৫ শতক জমিতে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চারা রোপণ করেছি। এর ফলে আমন ধান উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে।’ উপজেলা কৃষি দফতর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৩৫০ হেক্টর। এর মধ্যে, হাইব্রিড জাত ২ হাজার ৫শ’ হেক্টর, উফশি ৩২ হাজার ৩০০ হেক্টর ও স্থানীয় জাত ৫৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হচ্ছে। ইতিমধ্যে, প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। বৃষ্টির পানি দিয়ে এসব জমির ধানের চারা রোপণ করেছেন কৃষকরা। বাকি জমিতে চারা রোপণের জন্য কৃষকদের নির্ভর করতে হচ্ছে শ্যালো মেশিন ও গভীর নলকূপের পানির ওপর।
উপজেলা কৃষি অফিসার খোরশেদ আলম এ পরিস্থিতি স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির পানি দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন কৃষকরা। বাকি জমিগুলোতে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চারা রোপণ করছেন তারা। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মিঠাপুকুরে গভীর নলকূপ রয়েছে ১৪৩টি। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে সংযোগ রয়েছে ১০৫টির। ওই দফতরের সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবীর বলেন, ‘আমার দফতরের বেশিরভাগ গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। কৃষকরা জমিতে পানি সেচ দেয়ার জন্য এসব নলকূপের ওপর নির্ভরশীল হয়েছে।’
উপজেলা কৃষি অফিসার খোরশেদ আলম এ পরিস্থিতি স্বীকার করে বলেন, বৃষ্টির পানি দিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার হেক্টর জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন কৃষকরা। বাকি জমিগুলোতে শ্যালো মেশিনের পানি দিয়ে চারা রোপণ করছেন তারা। বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের মিঠাপুকুরে গভীর নলকূপ রয়েছে ১৪৩টি। এর মধ্যে চলতি মৌসুমে সংযোগ রয়েছে ১০৫টির। ওই দফতরের সহকারী প্রকৌশলী আলমগীর কবীর বলেন, ‘আমার দফতরের বেশিরভাগ গভীর নলকূপ চালু রয়েছে। কৃষকরা জমিতে পানি সেচ দেয়ার জন্য এসব নলকূপের ওপর নির্ভরশীল হয়েছে।’
No comments