স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তরফে তদন্ত প্রয়োজন
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অনিয়ম বাড়ছে। রোগীদের জন্য বরাদ্দ বিনা মূল্যের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে বাইরে, চলছে অ্যাম্বুলেন্স-বাণিজ্য এবং অবৈধভাবে আদায় করা হচ্ছে টাকা। এ তিনটি অপচর্চা যাঁরা চালাচ্ছেন, তাঁরা হাসপাতালেরই কর্মকর্তা-কর্মচারী। অনিয়মকে নিয়ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, অথচ প্রতিকারের চেষ্টা নেই। এ অবস্থা চলতে পারে না। যেকোনো হাসপাতালে চিকিৎসাসেবার দুটি দিক। সরাসরি চিকিৎসার দিকটি দেখেন চিকিৎসক ও নার্সরা। রোগীর ভোগান্তি কমানোর দ্বিতীয় দিকটিতে জড়িত হাসপাতালের প্রশাসন। প্রথমআলোয় সম্প্রতি তিন কিস্তিতে প্রশাসনিক অনিয়মের কয়েকটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চিকিৎসকের নির্দেশিত ওষুধ হাসপাতাল থেকে দেওয়ার কথা থাকলেও তা দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতালের জন্য বরাদ্দ ওষুধের অর্ধেকই চোখের সামনে বাইরে বিক্রি করা হয়। এভাবে বিক্রি করা ওষুধের মূল্য কমপক্ষে ১০ কোটি টাকা।
হাসপাতালের মোট সাতটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায়ই অচল রাখার ব্যবস্থা করে চলছে অ্যাম্বুলেন্স-বাণিজ্য। একশ্রেণির কর্মচারীর মালিকানার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে বাধ্য করা হয় রোগীর স্বজনদের। লাশ পরিবহনের বেলায়ও তাদের খপ্পরের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। এই চক্র নিয়মিতভাবে পুলিশকেও ঘুষ দিয়ে ব্যবসাটি চালিয়ে আসছে। এমনকি হাসপাতাল ছাড়তেও আদায় করা হচ্ছে টাকা। হাসপাতালের সব যাতায়াতের মুখে আনসার রাখা হয়েছিল চুরি-অনিয়ম ঠেকাতে। কিন্তু হাসপাতাল ছাড়ার সময় রোগীদের কাছ থেকে তাঁরাই টাকা আদায় করেন। বিষয়টা অনেকটা খোলাখুলিভাবেই চলছে। প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে, তিনটি ক্ষেত্রেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না জানার অজুহাত দেয়। নিয়মিত ও ব্যাপকভাবে অনিয়ম চলছে, বিপুল পরিমাণ ওষুধ বাইরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, অথচ হাসপাতালের পরিচালক বা তাঁর অধীন প্রশাসকেরা কেউই তা জানবেন না, তা হয় না। এই না জানা সরাসরি গাফিলতির নমুনা। আমরা আশা করব, প্রথমআলোর প্রতিবেদনের আলোকে নিজস্ব তদন্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনিয়মগুলো দূর করবে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেবে।
হাসপাতালের মোট সাতটি অ্যাম্বুলেন্স প্রায়ই অচল রাখার ব্যবস্থা করে চলছে অ্যাম্বুলেন্স-বাণিজ্য। একশ্রেণির কর্মচারীর মালিকানার অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে বাধ্য করা হয় রোগীর স্বজনদের। লাশ পরিবহনের বেলায়ও তাদের খপ্পরের বাইরে যাওয়ার উপায় নেই। এই চক্র নিয়মিতভাবে পুলিশকেও ঘুষ দিয়ে ব্যবসাটি চালিয়ে আসছে। এমনকি হাসপাতাল ছাড়তেও আদায় করা হচ্ছে টাকা। হাসপাতালের সব যাতায়াতের মুখে আনসার রাখা হয়েছিল চুরি-অনিয়ম ঠেকাতে। কিন্তু হাসপাতাল ছাড়ার সময় রোগীদের কাছ থেকে তাঁরাই টাকা আদায় করেন। বিষয়টা অনেকটা খোলাখুলিভাবেই চলছে। প্রতিবেদন থেকে দেখা যাচ্ছে, তিনটি ক্ষেত্রেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ না জানার অজুহাত দেয়। নিয়মিত ও ব্যাপকভাবে অনিয়ম চলছে, বিপুল পরিমাণ ওষুধ বাইরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, অথচ হাসপাতালের পরিচালক বা তাঁর অধীন প্রশাসকেরা কেউই তা জানবেন না, তা হয় না। এই না জানা সরাসরি গাফিলতির নমুনা। আমরা আশা করব, প্রথমআলোর প্রতিবেদনের আলোকে নিজস্ব তদন্ত করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনিয়মগুলো দূর করবে এবং দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেবে।
No comments