কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানকে দুষল ভারত
এখনো থমথমে কাশ্মীর। এএফপি |
ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর পরিস্থিতির অবনতির দায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং পুরোপুরি পাকিস্তানের ওপর চাপিয়ে দিলেন। উপত্যকার পরিস্থিতি নিয়ে চলা দিনভর বিতর্কের শেষে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের ঘাড়ে এই দায় চাপানোর পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান যা চাইছে তা কখনো সফল হতে দেব না।’ রাজনাথ বলেন, তিনি নিজে উপত্যকায় গিয়ে সাধারণ শান্তিপ্রিয় মানুষের সঙ্গে কথা বলবেন। নিরাপত্তারক্ষীদের বলা হয়েছে, প্ররোচনার মুখে ন্যূনতম বলপ্রয়োগ করতে। এই নির্দেশ নিরাপত্তারক্ষী বাহিনী অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে চলা কারফিউয়ের জন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জোগান দিতে রাজ্য সরকারকে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, গুরুতর আহত ব্যক্তিদের বিশেষ বিমানে দিল্লি এনে চিকিৎসার পূর্ণ দায়িত্ব নিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রস্তুত। কাশ্মীর পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিরোধীদের দাবি সরকার মেনে নেয়।
বিতর্ক শুরু করে বিরোধী নেতা গোলাম নবী আজাদ বলেন, বন্দুক দিয়ে এই সমস্যার সমাধান সম্ভব বলে যদি সরকার মনে করে, তাহলে তা ভুল। সরকার মনে করছে, গোটা উপত্যকার মানুষজনই সন্ত্রাসবাদী ও বিচ্ছিন্নতাবাদী। সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের মোকাবিলায় যা করা হয়, সেই বুলেট ও পেলেট দিয়ে মারা হচ্ছে সাধারণ নাগরিকদের। সরকারের কাছে আজাদের আরজি, ‘দয়া করে উপত্যকার মানুষজনের পিঠ দেয়ালে ঠেকিয়ে দেবেন না। তাতে হিতে বিপরীত হবে।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের সঙ্গে সব রকমের সহযোগিতায় কংগ্রেস প্রস্তুত। কিন্তু সাধারণ মানুষের প্রতি এই ব্যবহার সমর্থন করতে পারব না।’ হিজবুল মুজাহিদীনের নেতা বুরহান ওয়ানির মৃত্যুর পর থেকে উত্তাল উপত্যকায় এখনো পর্যন্ত ৪০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন প্রায় দুই হাজার। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৬০০ জন পেলেটের আঘাতে দৃষ্টিশক্তি হারাবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আজ মঙ্গলবারও উপত্যকা অশান্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা। কারণ, পাকিস্তান সরকার এই দিনটিকে ‘কালা দিবস’ পালনের ঘোষণা করেছে। এই উপলক্ষে উপত্যকায় পাকিস্তানপন্থীরাও সক্রিয় হয়ে উঠবে বলে গোয়েন্দারা আগে থেকেই সরকারকে সতর্ক
করে দিয়েছে।
করে দিয়েছে।
No comments