দক্ষিণ চীন সাগর রুলিং নিয়ে বৈশ্বিক সংঘাতের শংকা
পুরনো একটি মানচিত্র নিয়ে এশিয়া কি যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে পারে? মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের হেগের এক আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল রায় দিয়েছেন যে, উনিশশ’ চল্লিশের দশকে দক্ষিণ চীন সাগরের বিশাল এলাকাকে অন্তর্ভুক্ত করে চীন যে ‘নাইন ড্যাশ লাইন’ মানচিত্র এঁকেছিল তার কোনো আইনি ভিত্তি নেই। এ রায়টি বেইজিংয়ের জন্য ছিল ‘নাড়িভুঁড়ি বের করে আনা’র মতো। তাদের দাবি, আন্তর্জাতিক নৌবাণিজ্যের ব্যস্ত রুট এবং সম্পদে ভরপুর বিতর্কিত জলসীমায় তাদের একক ও ঐতিহাসিক অধিকার রয়েছে। ওয়াশিংটনে এক ভাষণে যুক্তরাষ্ট্রে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত চুই টাঙ্কুই বলেছেন, ‘এতে নিশ্চিতভাবেই সংঘাত ঘনীভূত এমনকি মুখোমুখি অবস্থান তৈরি হতে পারে।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, রায়টি ফিলিপাইনের পক্ষে এতটা জোরালোভাবে এসেছে যে চীনের দর-কষাকষির জায়গাও কমে এসেছে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের আইন বিভাগের অধ্যাপক ওয়াং জিয়ানগাইয়ু বলেন, ‘এতে চীনের মতো বিরাট দেশের জাতীয়তাবাদী মনোভাব আরও তুঙ্গে উঠবে। কার্যত এতে চীনের বহু মধ্যপন্থী লোকও রাতারাতি যুদ্ধবাজে পরিণত হবেন।’ ইউনিভার্সিটি অব সিডনির যুক্তরাষ্ট্র গবেষণা কেন্দ্রের রিসার্চ ফেলো অ্যাশলে টাউনশেন্ড বলেন, রায়টি যদি ফিলিপাইনের পক্ষে কম শক্তিশালী বিজয়ের হতো তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশটি এ ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ পেত। কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়টি বেইজিংয়ের বিপক্ষে দ্ব্যর্থহীন এবং এর জবাবে চীন বিশ্বের চোখে তার সুনাম বজায় রাখার জন্য কম উদ্বিগ্ন হবে এবং আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গকারী হিসেবে কম ঝামেলার তকমাকে পাত্তা দেবে না। আইএচএসের এশিয়াবিষয়ক প্রিন্সিপাল অ্যান্টন আলিফান্দি বলেন, বড় যে দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র্র এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মতো বড় শক্তিগুলোর মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় যুদ্ধের সম্ভাবনা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রায়টি ফিলিপাইনের পক্ষে এতটা জোরালোভাবে এসেছে যে চীনের দর-কষাকষির জায়গাও কমে এসেছে। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব সিঙ্গাপুরের আইন বিভাগের অধ্যাপক ওয়াং জিয়ানগাইয়ু বলেন, ‘এতে চীনের মতো বিরাট দেশের জাতীয়তাবাদী মনোভাব আরও তুঙ্গে উঠবে। কার্যত এতে চীনের বহু মধ্যপন্থী লোকও রাতারাতি যুদ্ধবাজে পরিণত হবেন।’ ইউনিভার্সিটি অব সিডনির যুক্তরাষ্ট্র গবেষণা কেন্দ্রের রিসার্চ ফেলো অ্যাশলে টাউনশেন্ড বলেন, রায়টি যদি ফিলিপাইনের পক্ষে কম শক্তিশালী বিজয়ের হতো তবে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশটি এ ইস্যুতে আলোচনার সুযোগ পেত। কিন্তু আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়টি বেইজিংয়ের বিপক্ষে দ্ব্যর্থহীন এবং এর জবাবে চীন বিশ্বের চোখে তার সুনাম বজায় রাখার জন্য কম উদ্বিগ্ন হবে এবং আন্তর্জাতিক আইন ভঙ্গকারী হিসেবে কম ঝামেলার তকমাকে পাত্তা দেবে না। আইএচএসের এশিয়াবিষয়ক প্রিন্সিপাল অ্যান্টন আলিফান্দি বলেন, বড় যে দুশ্চিন্তা দেখা যাচ্ছে তা হচ্ছে চীন, যুক্তরাষ্ট্র্র এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মতো বড় শক্তিগুলোর মধ্যে আন্তঃরাষ্ট্রীয় যুদ্ধের সম্ভাবনা।
তিনি বলেন, চীন উত্তেজনাকে এমন পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাইবে না যাতে যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাঘাত করে এবং চীনকে হারাতে প্রয়োজনীয় সবকিছুই করে। তবে তিনি বলেন, এ ধরনের বিপদের ঝুঁকির ভুল হিসাবের সম্ভাবনা রয়েছে। কানো পক্ষ যদি যুদ্ধংদেহী নীতি অনুসরণ করে এবং মনে করে যে, অন্যপক্ষ পিছু হটবে তবে পরিস্থিতি দ্রুত নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। টাউনশেন্ড বলেন, যে নৌপথটি দিয়ে বছরে ৫ লাখ কোটি ডলারের পণ্য পরিবাহিত হয় সেখানে বৈশ্বিক সংঘাত বাধিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র কারও স্বার্থই রক্ষা হবে না। এর মানে এই নয় যে, ঝুঁকি কম বলে যুক্তি দেয়া যায়, ঝুঁকি বেশ উচ্চমাত্রার। তিনি বলেন, বিনা উসকানিতে উত্তেজনা বৃদ্ধির ঝুঁকি সম্পর্কে চীন পুরোপুরি অবহিত। সাংহাইয়ের ফুডান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক অধ্যয়ন ইন্সটিটিউটের সহযোগী ডিন অধ্যাপক শেন ডিঙ্গলি বলেন, বিতর্কিত জলসীমায় সামরিক নৌবন্দর বানানো চীনের আচরণে সম্ভবত কোনো পরিবর্তন আসবে না। তিনি বলেন, রায়ের পর ফিলিপাইন সংযত আচরণ করছে এবং কোনো আগ্রাসী বিবৃতি দেয়নি। আলোচনার মাধ্যমে ভালো কিছু হতে পারে। তবে টাউনশেন্ড বলছেন, রায়টি গলাধঃকরণ করা চীনের জন্য একটি তিক্ত পিল।
No comments