যুক্তরাজ্যের ভিসা পাবেন না আমির-আসিফ-বাটরা?
বেশি
দিন আগের কথা নয়। এই জানুয়ারিতেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের নিউজিল্যান্ড
সফরের আগে সামনে এসেছিল বিষয়টা। স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে
ইংল্যান্ডে জেল খাটা পাকিস্তানি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমিরকে ভিসা দিতে
চাইছিল না নিউজিল্যান্ড। দুই দেশের ক্রিকেট বোর্ডের হস্তক্ষেপে শেষ
পর্যন্ত সুরাহা হয় ব্যাপারটার। ভিসা পেয়ে দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড আসেন
আমির। সেই পাকিস্তান এবার যাচ্ছে ইংল্যান্ডে। নিশ্চিতভাবেই দলে থাকছেন
আমির। আর আমিরকে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারিতে জড়ানো সাবেক অধিনায়ক সালমান
বাটেরও দলে ফেরার সম্ভাবনা আছে। নাম আসছে তৃতীয় অভিযুক্ত মোহাম্মদ
আসিফেরও। কিন্তু আমির-বাটরা-আসিফরা কি যুক্তরাজ্যে প্রবেশের আদৌ অনুমতি
পাবেন? প্রশ্নটা উঠে গেছে, কারণ তাঁরা অপরাধ করেছিলেন ইংল্যান্ডেই।
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে (পিসিবি) তাই আমির-বাটদের ভিসা পেতে অনেক কাঠখড়
পোড়াতে হবে। পিসিবি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার খানও স্বীকার করেছেন এই
ক্রিকেটারদের ভিসা দিতে কয়েকটি দেশের অনিচ্ছার কথা, ‘আমরা জানি ইংল্যান্ড,
অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ড চায় না এই ক্রিকেটাররা ওদের দেশ সফর করুক। ওরা
আমিরকে ক্ষমা করতে রাজি আছে, কিন্তু অন্য দুজনকে নয়।’ তবে শাহরিয়ার এটাও
বলেছেন, আগে বাট-আসিফরা দলে ঢুকুক, তারপর ভিসা পাওয়ার প্রশ্ন, ‘ওদের আগে
দলে ঢুকতে হবে। আগে দেখি নির্বাচকেরা তাদের দলে নেয় কি না। যদি তারা দলে
আসে, তবেই সমস্যার সমাধানের প্রশ্ন আসবে।’ আমির এখন পাকিস্তান দলে নিয়মিত।
পাকিস্তানের সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনিস টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে নিতে
চেয়েছিলেন বাটকেও। কিন্তু অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদির চাননি বাটের প্রত্যাবর্তন।
তাই শেষ পর্যন্ত দলে এসেছিলেন আহমেদ শেহজাদ। দলটির টেস্ট অধিনায়ক
মিসবাহ-উল-হকের অবশ্য কোনো সমস্যা নেই বাটের দলে ফেরা নিয়ে। সপ্তাহ দু-এক
আগে তিনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন বাট ফিরলে ফিরতেও পারেন, ‘ব্যাটিং লাইনআপের তিন
থেকে সাত নম্বরে কারা ব্যাট করবেন সেটা জানাই। কিন্তু সমস্যা হলো ওপেনিং
নিয়ে। ওই পজিশনে কেউ ধারাবাহিক ব্যাট করতে পারছে না। ব্যাপারটা আমাদের
ভাবাচ্ছে। বিকল্প হিসাবে আমাদের শান মাসুদ ও সালমান বাটকেও ভাবতে হচ্ছে।’
আগামী জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইংল্যান্ড সফরে চারটি টেস্ট, পাঁচটি
ওয়ানডে ও একটি টি-টোয়েন্টি খেলবে পাকিস্তান। তথ্যসূত্র: দ্য এক্সপ্রেস
ট্রিবিউন, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া।
No comments