বাংলাদেশের জন্য একটি সুখবর! by ইকবাল হোসাইন চৌধুরী
দাড়ি-গোঁফে
ঢাকা মুখ। উষ্কখুষ্ক চুল। ইশতিয়াক জিকোকে চিনতে কষ্ট হচ্ছিল সেদিন। সেদিন
মানে গত ১৬ জানুয়ারি। ওপেন ডোরসের প্রতিনিধি পাওলো বের্তোলিন সেদিন
এসেছিলেন ঢাকার গ্যেটে ইনস্টিটিউটের আলোচনায়। জিকো সেই সম্ভাবনাময় তরুণ
নির্মাতা, যাঁর স্বল্পদৈর্ঘ্য ছবি ৭২০ ডিগ্রিজ জায়গা করে নিয়েছিল ভেনিস
চলচ্চিত্র উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগে। এখন জিকোকে আরও একবার ঠিকঠাক চিনে
নেওয়ার সময়। গত ২৮ এপ্রিল ইউরোপের আরেক বড় চলচ্চিত্র উৎসব লোকার্নো ঘোষণা
করেছে, ওপেন ডোরস হাবের জন্য নির্বাচিত চলচ্চিত্র প্রকল্পের নাম। সেখানে
জায়গা করে নিয়েছে ইশতিয়ার জিকোর কাহিনিচিত্র সিটি অ্যান্ড ক্যাটস। সঙ্গে
আছে আরেক নির্মাতা কামার আহমাদ সাইমনের ছবি ডে আফটার টুমরো। যিনি তাঁর
শুনতে কি পাও ছবির সুবাদে বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সম্মান বয়ে এনেছেন
আগেই। বাংলাদেশের দুটি ছাড়াও এবারের ওপেন ডোরস হাবে জায়গা পেয়েছে দক্ষিণ
এশিয়ার নানা দেশের আরও ছয়টি ছবির প্রকল্প। কামার আহমাদ সাইমন বলছিলেন,
‘আন্তর্জাতিকভাবে কাজ করার জন্য ওপেন ডোরস আমাদের নির্মাতাদের জন্য খুব
ভালো একটি সুযোগ। এই সুযোগ ২০১৮ সাল পর্যন্ত থাকবে। আমি আশা করব, বিশেষভাবে
আমাদের তরুণ নির্মাতারা নিজেদের প্রমাণ করার এই দারুণ সুযোগটা নেবেন।’
ওপেন ডোরসে নির্বাচিত প্রকল্পগুলোর মধ্যে বিজয়ী প্রকল্প পাবে ৫০ হাজার সুইস
ফ্রাঁ (৪০ লাখ টাকার বেশি)। তার চেয়েও বড় কথা, এই ছবির প্রকল্পগুলো পেতে
পারে ইউরোপের প্রযোজনা ও পরিবেশনা সহায়তা। বাংলাদেশের জন্য সুখবর আছে ওপেন
ডোরসের আরেক শাখা ওপেন ল্যাবেও। এখানে অংশগ্রহণের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন
বাংলাদেশের নির্মাতা রুবাইয়াত হোসেন (মেহেরজান), আবু শাহেদ ইমন (জালালের
গল্প) ও আদনান ইমতিয়াজ আহমেদ। তাঁরা পাঁচ দিনের একটি বিশেষ কর্মশালায়
অংশগ্রহণের সুযোগ পাবেন। মূলত সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড
কো-অপারেশনের (এসডিসি) সহায়তায় ওপেন ডোরস কার্যক্রম পরিচালনা করে
সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব। সহযোগী হিসেবে আছে একাধিক ইউরোপ ও
এশীয় প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার যে দেশগুলোতে বড় প্রযোজনা সংস্থার
বাইরে ইনডিপেনডেন্ট বা মুক্ত ছবির চর্চা নেই বললেই চলে, সেসব দেশের সিনেমা ও
নির্মাতাদের সহায়তার জন্য এখন কাজ করছে ওপেন ডোরস। ওপেন ডোরসের এ বছরের
আয়োজন হবে ৪-৯ আগস্ট।
No comments