সেমিফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনী
ড্র করলেই সেমিফাইনাল, এমন সমীকরণ নিয়ে আজ খেলতে নেমেছিল চট্টগ্রাম আবাহনী। সে লক্ষ্যে সফল দলটি। শেখ জামালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেই সেমিতে উঠল এবারে বড় দলে পরিণত হওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী। দুই দলের লড়াইটা শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও ছিল। ফুটবলারদের দলবদল ঘিরে মৌসুম শুরুর আগেই শেখ জামাল ধানমন্ডি ও চট্টগ্রাম আবাহনীর মধ্যে একটা লড়াই চলে আসছে। মাঠের বাইরের ওই লড়াইয়ের পর স্বাধীনতা কাপেও মুখোমুখি হলো শেখ জামাল ও চট্টগ্রাম আবাহনী। এই লড়াইয়ে অবশ্য জেতেনি কোনো দলই। ম্যাচের ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম আবাহনীর গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা পেনাল্টি উপহার দেন শেখ জামালকে। বক্সের মধ্যে আগুয়ান শেখ জামাল ফরোয়ার্ড এমেকা ডার্লিংটনের পা টেনে ধরেন আশরাফুল! এরপরই রেফারি পেনাল্টির বাঁশি বাজান। গোল করে দলকে এগিয়ে নেন এমেকা (১-০)। পিছিয়ে পড়া চট্টগ্রাম আবাহনীকে সমতায় ফিরিয়েছেন অ্যালিসন উদোকা। ৭৩ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে তারিক আল জানাবির ফ্রি কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে। সেই বলে মাথা ছুঁয়ে গোল করেন অ্যালিসন সেমিফাইনাল নিশ্চিত হতেই যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলেন চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ জোসেফ পাভলিক। ম্যাচ শেষে তাঁর মুখে লেগে ছিল এক টুকরা হাসি। ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্রয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ গ্রুপ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে উঠল শেখ জামাল। ৫ ম্যাচে ৩ জয় ও ১ ড্র ও ১ হারে ১০ পয়েন্ট পাওয়া চট্টগ্রাম আবাহনী হয়েছে রানার্স আপ।
No comments