‘বল পেলে স্ট্রোক খেলে দিই’
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন শুনেছিলেন ছেলেটা ব্যাটিং-বোলিং দুটিই ভালো করে। অনুশীলন ক্যাম্পে দেখে ছেলেটিকে তাঁর পছন্দ হয়ে গেল। আর মিরপুরে কাল প্রিমিয়ার লিগে অভিষেক ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি করে ফেললেন মেহেদী হাসান। ম্যাচ শেষে খুলনার এই তরুণ আরও অনেক কিছুর সঙ্গে বললেন তাঁর ক্রিকেটার হয়ে ওঠার গল্প
* প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি। ভাবতে পেরেছিলেন এ রকম হবে? মেহেদী হাসান: না, এটা কখনোই ভাবতে পারিনি। খেলতে খেলতে হয়ে গেছে। আর কিছুই না।
* লিগে অভিষেক ম্যাচ নিশ্চয়ই স্বপ্ন ছিল?
মেহেদী: স্বপ্ন একটা ছিলই...তবে কাল (পরশু) রাতে একটু চাপ ছিল। প্রথম খেলব, একটু চাপ তো চলে আসেই। তবে ম্যাচে নামার পর আর কোনো চাপই থাকে না। বললাম তো খেলতে খেলতে হয়ে গেছে (হাসি)।
* এর আগে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট বা নিচের দিকের লিগে খেলেছেন। সেসবের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের কী পার্থক্য দেখলেন?
মেহেদী: এটা শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট। এখানে সবকিছুই ভিন্ন। কেউ বাজে বল করে না। অনেক হিসাব-নিকাশ করে খেলতে হয়।
* এই ইনিংস নিয়ে কী পরিকল্পনা ছিল?
মেহেদী: আমি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, স্ট্রোক খেলতে পছন্দ করি। আজও (গতকাল) খেলেছি...লেগেছে। খেলতে খেলতে ইনিংসটা বড় হয়ে গেছে। ড্রেসিংরুম থেকে স্যার (কোচ সালাউদ্দিন) কিছু বার্তা পাঠিয়েছেন। সেভাবে খেলেছি, হয়ে গেছে।
* ক্রিকেটে শুরুটা কীভাবে?
মেহেদী: আমার বাসা খুলনা শহরে। সেখানে শুরুটা হয়েছিল প্রয়াত শেখ সালাহউদ্দিন স্যারের মাধ্যমে। খুলনায় লিগ খেলেছি, বয়সভিত্তিক দলে খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলে খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও ছিলাম, তবে খেলিনি। এর আগে ২০১২ সালেও একবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পেয়েছিলাম।
* ঢাকার ক্রিকেটে প্রথম খেলেছেন কবে?
মেহেদী: প্রথমবার ঢাকা লিগ খেলি ২০১০ সালে। বর্তমানে প্রথম বিভাগের দল শেখ জামাল ক্রিকেটার্সের হয়ে তৃতীয় বিভাগ খেলি। গত বছর প্রথম বিভাগে খেলেছি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়েই। তখন নাম ছিল ম্যাগনাম ক্রিকেটার্স।
* প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুটি সেঞ্চুরির অভিজ্ঞতা কতটা সাহায্য করেছে এখানে?
মেহেদী: বিসিএল, জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলার অভিজ্ঞতা অনেক সাহায্য করছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেক বড় বোলারদের বল খেলেছি। ভালো ভালো ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেেলছি। সে জন্য চাপ কিছুটা কমে গেছে। এখানে ও রকম চাপ অনুভব করিনি।
* গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কোচ নেটে দেখেই আপনাকে দলে নিয়ে নিলেন। আপনার ব্যাটিং দেখে কী বলেছিলেন উনি?
মেহেদী: রাজশাহীতে আমাদের ছয় দিনের অনুশীলন ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে উনি আমাকে দেখেছেন। এরপর কাল (পরশু) স্যার বললেন যে আমি খেলব।
* সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর নার্ভাস লাগেনি?
মেহেদী: ৯০-এর ঘরে গেলে এটা হয়। তবে আমি খুব কম নার্ভাস হই। আমি বল পেলে স্ট্রোক খেলে দিই।
* সেঞ্চুরি দিয়ে লিগ শুরু। এখন নিশ্চয়ই লিগে বড় কিছু করার লক্ষ্য আছে...
মেহেদী: লক্ষ্য তো ভেতরে আছেই। আমি চেষ্টা করব। যত দূর যাওয়া যায়।
* ক্রিকেটে কাউকে আদর্শ মানেন বা কারও মতো হতে চান?
মেহেদী: আমি আমার মতোই হতে চাই। সেভাবে কাউকে অনুসরণ করি না। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকের খেলাই ভালো লাগে। এবিকে (এবি ডি ভিলিয়ার্স) ভালো লাগে, পাকিস্তানের উমর আকমলকেও। আর দেশে সাকিব ভাই সেরা। সাকিব ভাইকে খুব পছন্দ করি।
* প্রিমিয়ার লিগে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমেই সেঞ্চুরি। ভাবতে পেরেছিলেন এ রকম হবে? মেহেদী হাসান: না, এটা কখনোই ভাবতে পারিনি। খেলতে খেলতে হয়ে গেছে। আর কিছুই না।
* লিগে অভিষেক ম্যাচ নিশ্চয়ই স্বপ্ন ছিল?
মেহেদী: স্বপ্ন একটা ছিলই...তবে কাল (পরশু) রাতে একটু চাপ ছিল। প্রথম খেলব, একটু চাপ তো চলে আসেই। তবে ম্যাচে নামার পর আর কোনো চাপই থাকে না। বললাম তো খেলতে খেলতে হয়ে গেছে (হাসি)।
* এর আগে বয়সভিত্তিক ক্রিকেট বা নিচের দিকের লিগে খেলেছেন। সেসবের সঙ্গে প্রিমিয়ার লিগের কী পার্থক্য দেখলেন?
মেহেদী: এটা শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট। এখানে সবকিছুই ভিন্ন। কেউ বাজে বল করে না। অনেক হিসাব-নিকাশ করে খেলতে হয়।
* এই ইনিংস নিয়ে কী পরিকল্পনা ছিল?
মেহেদী: আমি টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, স্ট্রোক খেলতে পছন্দ করি। আজও (গতকাল) খেলেছি...লেগেছে। খেলতে খেলতে ইনিংসটা বড় হয়ে গেছে। ড্রেসিংরুম থেকে স্যার (কোচ সালাউদ্দিন) কিছু বার্তা পাঠিয়েছেন। সেভাবে খেলেছি, হয়ে গেছে।
* ক্রিকেটে শুরুটা কীভাবে?
মেহেদী: আমার বাসা খুলনা শহরে। সেখানে শুরুটা হয়েছিল প্রয়াত শেখ সালাহউদ্দিন স্যারের মাধ্যমে। খুলনায় লিগ খেলেছি, বয়সভিত্তিক দলে খেলেছি। অনূর্ধ্ব-১৭ জাতীয় দলে খেলেছি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত বছর অনূর্ধ্ব-১৯ দলেও ছিলাম, তবে খেলিনি। এর আগে ২০১২ সালেও একবার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে সুযোগ পেয়েছিলাম।
* ঢাকার ক্রিকেটে প্রথম খেলেছেন কবে?
মেহেদী: প্রথমবার ঢাকা লিগ খেলি ২০১০ সালে। বর্তমানে প্রথম বিভাগের দল শেখ জামাল ক্রিকেটার্সের হয়ে তৃতীয় বিভাগ খেলি। গত বছর প্রথম বিভাগে খেলেছি গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের হয়েই। তখন নাম ছিল ম্যাগনাম ক্রিকেটার্স।
* প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে দুটি সেঞ্চুরির অভিজ্ঞতা কতটা সাহায্য করেছে এখানে?
মেহেদী: বিসিএল, জাতীয় ক্রিকেট লিগে খেলার অভিজ্ঞতা অনেক সাহায্য করছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অনেক বড় বোলারদের বল খেলেছি। ভালো ভালো ব্যাটসম্যানের সঙ্গে খেেলছি। সে জন্য চাপ কিছুটা কমে গেছে। এখানে ও রকম চাপ অনুভব করিনি।
* গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের কোচ নেটে দেখেই আপনাকে দলে নিয়ে নিলেন। আপনার ব্যাটিং দেখে কী বলেছিলেন উনি?
মেহেদী: রাজশাহীতে আমাদের ছয় দিনের অনুশীলন ক্যাম্প হয়েছে। সেখানে উনি আমাকে দেখেছেন। এরপর কাল (পরশু) স্যার বললেন যে আমি খেলব।
* সেঞ্চুরির কাছাকাছি চলে যাওয়ার পর নার্ভাস লাগেনি?
মেহেদী: ৯০-এর ঘরে গেলে এটা হয়। তবে আমি খুব কম নার্ভাস হই। আমি বল পেলে স্ট্রোক খেলে দিই।
* সেঞ্চুরি দিয়ে লিগ শুরু। এখন নিশ্চয়ই লিগে বড় কিছু করার লক্ষ্য আছে...
মেহেদী: লক্ষ্য তো ভেতরে আছেই। আমি চেষ্টা করব। যত দূর যাওয়া যায়।
* ক্রিকেটে কাউকে আদর্শ মানেন বা কারও মতো হতে চান?
মেহেদী: আমি আমার মতোই হতে চাই। সেভাবে কাউকে অনুসরণ করি না। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেকের খেলাই ভালো লাগে। এবিকে (এবি ডি ভিলিয়ার্স) ভালো লাগে, পাকিস্তানের উমর আকমলকেও। আর দেশে সাকিব ভাই সেরা। সাকিব ভাইকে খুব পছন্দ করি।
No comments